ফ্রিল্যান্সিং নাকি ইউটিউবিং কোনটা থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।

আশা করি সবাই ভালো আছেন।বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের চাকরির বাজার হলো সোনার হরিনের মতো।প্রতি বছর প্রায় লাখ লাখ তরুন বেকার থাকে।যার ফলে তাদের ব্যবসা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।কিন্তু অনেক মানুষ ব্যবসাতে ইনভেস্ট করতে পারে না।এবং অনেকে আবার ব্যবসা করতে প্রছন্দ করে না।ফলে তারা ফ্রিল্যান্সিং এবং ইউটিউবিং এর মতো সম্মার্নজনক পেশা গুলোতে বেশি আসছে।

অনেকেই আবার স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় এই পেশাগুলো থেকে ইনকাম করা শুরু করে দেয়।যার ফলে তাদের পরর্বতিতে চাকরি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না।এবং এই পেশাগুলোতে রয়েছে স্বাধীনতা।যা অন্যান্য পেশাগুলোতে পাওয়া যায় না।অনেক মানুষ আছেন যারা একটু দুশ্চিন্তায় থাকেন যে ইউটিউবিং নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি থেকে তারা বেশি অর্থ ইনকাম করতে পারবে।এই বিষয়টা নিয়েই আজ আমি আপনাদেরকে একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।ইউটিউব থেকে যেভাবে ইনকাম করতে পারবেন তা নিচে দেওয়া হলো।

ইউটিউব থেকে ইনকামঃ

১.ইউটিউব থেকে আপনি এড ক্লিক এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।তার জন্য আপনার দরকার হবে ১০০০ সাবস্ক্রাইবারস এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম।এবং এগুলো আপনাকে ১ বছরের মধ্যেই সম্পুর্ন করতে হবে।এগুলো সম্পুর্ন করা হয়ে গেলে আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন এড দেখাবে এর ফলে যারা সেই এডটা ক্লিক করবে তার বিনিময়ে আপনি কিছু টাকা পাবেন।

২.ইউটিউবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি ভালো ভিওস থাকে।তাহলে আপনি এফিলিয়েট লিংক দিয়ে রাখতে পারেন।যার ফলে তারা কোনো পন্য কিনলে আপনি সেখান থেকে ও ইনকাম করতে পারবেন।

৩.ইউটিউব থেকে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির স্পনসর নিয়ে ও ইনকাম করতে পারবেন।কোনো কোম্পানি বা দোকান নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচার করার জন্য ইউটিউবারদের কে স্পনসর দয়ে থাকে।এর ফলে ও আপনি ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।

৪.আপনি ইউটিউবে একটা ভিডিও আপলোড করে রাখলে তা প্রতিদিন ভিওস হতেই থাকবে।এবং আপনি ও সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।সারাজীবন ধরেই ভিডিওটা থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

৫.প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ যদি আপনার ভিডিও দেখে প্রতিদিন তাহলে আপনি তার বিনিময়ে ১ ডলার ইনকাম করে থাকবেন।বাংলাদেশের সিপিসি রেট অনেক কম।এখন আপনার ভালো পরিমান ভিওস থাকলে মাসে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা ইউটিউবে ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকামঃ

১.ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটা কাজে দক্ষ হয়ে মার্কেটপ্লেসে বিট করে ক্লায়েন্টদের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।আপনি বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাজগুলো যদি ঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারেন।

২.ফ্রিল্যান্সিং এর ফলে আপনি বিভিন্ন ডিনাইন এবং থিম বিক্রি করে ও ইনকাম করতে পারেন।এইক্ষেত্রে আপনার থিম বা ডিজাইনটি যত বেশি বিক্রি তত বেশি আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

৩.বাংলাদেশের এবং দেশের বাইরে ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি বছর চাকরি দেওয়া হয়।এক্ষেত্রে আপনি দক্ষ হলে সেই চাকরিগুলো করে ইনকাম করতে পারবেন।বাংলাদেশের চাকরিগুলোতে আপনি ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আপনি পেতে পারেন।কিন্তু যদি দেশের বাইরের চাকরি গুলো করেন তাহলে ২ থেকে ৪ লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

৪.আপনি যেই কাজটিতে দক্ষ বা যেই কাজটি আপনি করছেন সেটা আরো সকল ফ্রিল্যান্সারদের শিখিয়ে ইনকাম করতে পারেন।এর ফলে ও আপনি ভালো ইনকাম করতে পারেন।

৫.আপনি মার্কেটপ্লেস বা চাকরি বাদ দিয়ে ও নিজের পোর্টফুলিও থেকে ও ক্লায়েন্ট পেয়ে ইনকাম করতে পারেন।এর জন্য আর আপনার ইনকামের ২০ ভাগ মার্কেটপ্লেসকে দিতে হচ্ছে না।

এই ৫ টি উপায়ে আপনি ইউটিউব এবং ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করতে পারেন।তবে আপনি যেই কাজটাই করুন যদি দক্ষ হতে পারেন তাহলে আপনার টাকা নিয়ে আর ভাবতে হবে না।এমনি অনেক ইনকামের পথ খুলে যাবে।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।

 

 

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন