আরো অনেকে আছে অন্যের অধীনে চাকরি কিংবা ব্যবসা কোনটাই করতে চাইনা। স্বাধীনভাবে নিজের মনের ইচ্ছা মত কাজ করতে চাই। এখন তরুণদের কাছে জব একটি ফ্যাশন। আমরা এমন জব করতে চাই যেখানে আমাদের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা আছে। কিন্তু একটা সময় আমরা চাইলেও নিজের ইচ্ছামত কোন জব করতে পারতাম না। আবার মনের মতো জব পেলেও, সেখানে নিজের স্বাধীনতা বলতে কোন কিছু থাকে না। অন্যের অধীনে কাজ করতে কে চায়? তবু আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদেরকে করতে হয়।
একটা সময় ছিল যখন মানুষের স্বপ্ন ছিল, এমন একটি জব পাওয়া যাবে যেখানে নিজের ইচ্ছে মত কাজ করতে পারব। কিন্তু তেমনটি কখনো হয়নি। আধুনিক যুগের প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ইন্টারনেট সেবা প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে, আমাদের অসম্ভব সম্ভব স্বপ্নগুলো এখন সাধ্যের মধ্যেই পূরণ করা সম্ভব। জব স্যাটিসফেকশন প্রত্যেক মানুষেরই দরকার। কিন্তু সেই জব স্যাটিসফেকশন সবাই পায়না। এখন আসা যাক কিভাবে আপনি জব স্যাটিসফেকশন পেতে পারেন। জব স্যাটিসফেকশন পাওয়ার অনেকগুলো পদ্ধতি থাকলেও, বর্তমানে দুটি পদ্ধতি তুমুল জনপ্রিয়।
আসুন জেনে নেই পদ্ধতি গুলো:
- নিজেই একটি বিজনেস চালু করুন।
- অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ফ্রিল্যান্সার হয়ে যায়।
আমি শুধু মাত্র দুটি পদ্ধতির কথা বললাম, কারণ এই দুটি পদ্ধতি বর্তমানে তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। দেখুন একটা সময় ছিল যখন আমাদের ইনকাম পদ্ধতি ছিল মাত্র দুই ধরনের।
- কারও অধীনে চাকরি করে মাসিক বেতন কিংবা বাৎসরিক বেতনের।
- কোন ব্যবসা করে ইনকাম করা।
এছাড়াও অন্যান্য কৃষি কাজ কিংবা গ্রামদেশে বলে থাকে কামলা বেচা। মোটামুটি ভাবে এগুলোই কমন।
তবে একবিংশ শতাব্দীর উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির বিকাশ আমাদেরকে অনেকটাই স্বাধীন করে দিয়েছে। বর্তমানে আমরা অনেক কিছু খুব সহজেই করে ফেলতে পারে।তাও আবার ঘরে বসে। একটা সময় এগুলো ছিল মানুষের স্বপ্ন। বর্তমানে এগুলো চরম বাস্তবতা।আপনি অনলাইন কিংবা ইন্টারনেট ঘুরলে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পারবেন আপনার-আমার এমনকি হাজারো তরুণদের এখন পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং।আসুন জেনে নিই ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং: খুব সহজভাবে বলতে গেলে, ফ্রীলান্সিং হলো নিজের ইচ্ছামত পছন্দ মাফিক, আপনার সময় অনুযায়ী, আপনি যে কাজে দক্ষ, সেই কাজটা আপনি সমাধান করে দিয়ে, স্বাধীনভাবে আয় করতে পারেন।এককথায় ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝায় অবাধ স্বাধীনতা আর মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি, ও নিজের মনের মতো কাজ করা। বর্তমান বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং, সবার উপরে টপলিস্টে থাকে। কারণ এখান থেকেই আপনি ঘরে বসে বিশ্বের যে কোন কোম্পানির কিংবা ব্যক্তির কাছে তার সেবাগুলো পৌঁছে দিতে পারছেন। ঘরে বসে আপনি কাদের কাজ করে দিতে পারবেন। আপনি যখন তাদের কাজ কমপ্লিট করে দিবেন, তখন সে কাজের বিনিময়ে তারা আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। এটাকে বলে এক কথায় অসাধারণ। যার কোন তুলনা হয় না। এখন আপনি ভেবে দেখুন আপনি কেন ফ্রিল্যান্সিং করবেন না।
প্রচলিত ভুল ধারনা: এখনো আমাদের বাংলাদেশ অনেক লোক মনে করে, অনলাইন থেকে ইনকাম একটি ভুয়া কথা/আসলে তারা বিষয়টি সম্পর্কে তেমন অবগত নয়/ফ্রিল্যান্সিং কিংবা ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়তে আপনাকে খুব বেশি বেগ পেতে হয়না/এখানে আপনি ছোটখাটো কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে পারলেই মোটামুটি আপনার অর্থনৈতিক দরজা খুলে যেতে পারে/যারা মনে করেন ইন্টারনেট কিংবা অনলাইন কিংবা ডিজিটাল ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন সম্ভব নয় তারা এখনও বোকার স্বর্গে বসে আছেন। আপনাদেরকে বলবো একটু সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা টোটাল নিউজ গুলো ফলো করেন। তাহলে সেখানে আপনি উজ্জ্বল কিছু নিদর্শন এ যাবেন। সুতরাং এটি এখন আর গুজব নয় চরম বাস্তবতা। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান।
কিভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সার হবেন:প্রত্যেক মানুষের ভিতরে কিছু না কিছু গুণাবলী থাকে। একজন মানুষ এত কি কাজ ভালো বুঝবেন। আপনি যে কাজটি খুব ভালো করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার কাছ থেকে বেছে নিতে পারেন। মনে রাখবেন ইন্টারনেটে অনলাইনে কাজের কোনো কমতি নেই।এখানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার নতুন নতুন কর্ম যুক্ত হচ্ছে। এমনকি দেখা যায় অনেক কাজ পেন্ডিং থাকে। লোকের অভাবে সে কাজগুলো করা যাচ্ছে না। সুতরাং এখানে একটি ভালো অপরচুনিটি রয়েছে। আস্তে আস্তে একসময় দেখবেন এই জায়গাগুলো ফিলাপ হয়ে গেছে। সুতরাং আগে আসলে লাভবান হবেন বেশি।সুতরাং আপনার অল্প অভিজ্ঞতা কে একটু ঝালাই করে নিয়ে আপনি এই লাইনে এসে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা লাভ করতে পারবেন।
কি কি বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং করা যায়: দেখুন আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিংয়ের, সীমানা এবং পরিধি অনেক ব্যাপক। সচরাচর অনলাইনে যে কাজগুলো করা যায় বর্তমানে সেগুলো অফলাইন এক সময় জনপ্রিয় ছিল।বর্তমানে যুগের কল্যাণে এখন অনলাইনে জনপ্রিয় হয়েছে। সাধারণভাবে বলা যায় আপনি অফলাইনে যে কাজগুলো করেন, ঠিক সেই কাজগুলো আপনি অনলাইনে ঘরে বসে করতে পারবেন।শুধু জানতে হবে আপনাকে কিছু প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা। বাস হয়ে গেল। আস্তে আস্তে আপনি হয়ে উঠবেন একজন ভাল মানের ফ্রিল্যান্সার। যেসব বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং করা যায়:
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- টাইপিং
- ফটোশপ
- আর্কিটেকচার
- বিজনেস
- টিউটোরিয়াল
- অনলাইন রিভিউ
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ডাটা এন্ট্রি
- ডিজাইনার, ফ্যাশন
- এপ ডিজাইনার
- ভিডিও এডিটিং
- ওয়েব সাইট ডেভলপার
- ব্লগিং
- অ্যানিমেশন
- কনটেন্ট রাইটার
- স্টোরি রাইটার
- স্ক্রিপ্ট রাইটার
- ট্রানসলেশন
- কম্পোজিটর
- টিচিং অনলাইন
- হ্যাকিং
- কপি পেস্ট/অ্যাডভার্টাইজমেন্ট
- মার্কেটিং
এরকম শত শত বিষয় আছে। যে বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞ আছেন সেই বিষয়টি আপনি বেছে নিবেন। তারপর সেই বিষয়ের উপরে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন সাইটে কাজ করবেন। এখানে বলে রাখা ভাল কাজ আপনি অতি সহজে পেয়ে যাবেন। আপনি যত ভালো কাজ করতে পারবেন আপনার ইনকাম কত ভালো হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবেন:দেখুন ফ্রিল্যান্সিং শেখা এখন অনেক ইনস্টিটিউট আমাদের দেশে অলরেডি তৈরি হয়ে গেছে/তবে চেষ্টা করবেন কোন ভালো ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার জন্য/কারণ একটু ভালো ইনস্টিটিউট আপনাকে ভালো মানের একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলবে/ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি রাজত্ব করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে/আপনি একটু গুগলে সার্চ দিলেই বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন যেখানে ফ্রিল্যান্সিং শিখায়/তারপর সেখান থেকে আপনার যেখানে সুবিধা হবে যেখানে আপনি ভালো শিখতে পারবেন সেই জায়গাতে আপনিতো ট্রেনিং করে নিবেন/মনে রাখবেন একটি ভালো ট্রেনিং আপনাকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলবে/
তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো খুব ভালো ফ্রিল্যান্সিং শিখায়
- সাইবারটেক
- এ ওয়ান
- কম্পিউটার ইনস্টিটিউট
- যুব উন্নয়ন কর্পোরেশন
- টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার
- কোরিয়ান টেকনোলজি
- জার্মান টেকনোলজি
এছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে আপনার ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।তবে চেষ্টা করবেন একটু ভালো মানের ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে। টাকা একটু বেশি লাগলেও আপনি ভালো মানের শিক্ষা এখানে লাভ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ঘরে বসেও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এখন অনলাইনে দেওয়া থাকে।একটু চেষ্টা করলে সেখান থেকেও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন একজন ভাল মানের ফ্রিল্যান্সার।
ডান্সিং এখন কঠিন কিছু নয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে যান। ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের grathor.com ডটকমের বিভিন্ন post পড়তে পারেন। কোনো না কোনো ভালো ইনফর্মেশন আপনি পেয়ে যাবেন। কারণ ভালো একটু ইনফরমেশন আপনাকে ভালো কোন কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। আপনি হয়ে উঠবেন একজন সফল মানুষ। ডিজিটাল দুনিয়া আর দুনিয়াতে, হয়ে উঠবে একজন ভাল মানের ফ্রিল্যান্সার।