বর্তমানে ই- কমার্স প্ল্যাটফরম এ আয়ের সুযোগ অনেক বেড়েছে। আধুনিক এই যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার অতি দ্রুত গতির উপর ভিত্তি করে ই-কমার্স কোম্পানি গুলো তাদের ব্যবসার দিন দিন অবাধ প্রসার ঘটাচ্ছে। সাথে আয়ের খাত ও বাড়ছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং আয়ের অনেক বড় সুযোগ করে দিয়েছে। এই পোস্ট এ বাংলাদেশ থেকে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন সে সম্পর্কে বলব। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরুর আগে কিভাবে এখানে কাজ করতে হয় এবং কিভাবে এই মাধ্যমে আয় করতে পারেন এ সম্পর্কে আপনার অবশ্যই ধারনা থাকতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে আপনার কিছু দক্ষতা থাকতে হবে নইলে আপনি এখানে সফল হতে পারবেননা। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এজন্য কি দক্ষতা থাকা প্রয়োজন জানতে ক্লিক করুন- এখানে।
বাংলাদেশ এফিলিয়েট মার্কেটিং :
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু হয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানি হলোঃ
- অ্যামাজন
- ইবে
- ইভান্টো
- আলি এক্সপ্রেস
কিন্তু বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে যদি এই সাইটগুলো ব্যবহার করেন তাহলে হবেনা। কারন আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরুর আগে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন জানতে ক্লিক করুন –এখানে।
এর মধ্যে অন্যতম লক্ষণীয় বিষয় হলো যে কোম্পানির পণ্য দিয়ে মার্কেটিং শুরু করবেন সেই কোম্পানি আপনার দেশে সার্ভিস দেয় কিনা। বাংলাদেশ এ এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে বাংলাদেশি কোম্পানি সিলেক্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
বাংলাদেশি এফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানি :
এখন আপনার মনে হতে পারে বাংলাদেশি কোম্পানি কোনগুলো! বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেগুলো অনলাইন এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে। আপনি এই সব কোম্পানির পণ্য দিয়ে আপনার মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশি এরকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো:
- দারাজ (Daraz)
- বিডিশপ (BDshop)
- সহজ এফিলিয়েট (sohoj affiliate)
- আড়ং
- স্টারস্ফেয়ার ২৫ (stars fair 25)
বাংলাদেশি ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান :
আপনি পণ্য বিক্রয় ছাড়াও ডিজিটাল কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশে ডিজিটাল কন্টেন্ট বিক্রয় কিছু কোম্পানি রয়েছে। আপনি চাইলে এদের তৈরিকৃত সেবা বিক্রি করে আয় শুরু করতে পারেন। এধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
- ডায়ানা হোস্ট (Dayana host), সেবা : ডোমেইন এন্ড হোস্টিং।
- হোস্টিং বিডি (hosting BD), সেবা: ডোমেইন এন্ড হোস্টিং।
- থিম বাজার ( theme bazar),
- বহুব্রীহি অনলাইন কোর্স, কন্টেন্ট: বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স।
এই ডিজিটাল সেবা গুলো প্রচারের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যম:
বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যান্য নামকরা কম্পানির এফিলিয়েট মার্কেটিং এর চেয়ে একটু কঠিন হবে। তবে আপনি যদি প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তাহলে অবশ্যই সফল হবেন। এজন্য আপনার পণ্য বিক্রয় বাড়াতে হবে। পণ্য বিক্রয় বাড়ানোর জন্য পণ্য সম্পর্কে তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আর তাই বাংলাদেশে প্রচলিত জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই মাধ্যমগুলো হলো:
- সোসিয়াল সাইট, যেমন- ফেসবুক পেজ এ আপনার পণ্যের বিবরণ পোস্ট করতে পারেন।
- ইমেইলের মাধ্যমে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
- বাংলাদেশি সাইট এ আপনার পন্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
- ইউটিউব এ আপনার পণ্যের প্রচার চালাতে পারেন।
আশা করি এই পোস্ট টি পড়ে আপনি বাংলাদেশ থেকে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন তার ধারণা পেয়েছেন।