বাজারে টপ পজিশনে থাকা নতুন প্রযুক্তির কিছু ই-বাইকের দাম ও কার্যকারিতা

 

কম দাম বা শুধু পরিবেশ বান্ধব বলেই নয় নানা কারনে দিন দিন বাড়ছে ই-বাইকের চাহিদা আর বিভিন্ন কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসছে নতুন নতুন মডেলের ই-বাইক ।

পকেট-রকেট(Pocket-Rocket Electric Bike)- শুধু নামেই  নয়, এই ই-বাইকটির বডি দেখতে অনেকটা রকেটের মত । তবে রকেটের মত দ্রুত গতি সম্পন্ন না হলেও বাইকের মধ্যে যুক্ত ৬ বা ৮.৫ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন যুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । এতে করে বাইকটি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে অনায়াসেই । আর একবার ব্যাটারি চার্জ করেই সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ভ্রমন করার সুবিধা পাওয়া যায় এই বাইকটিতে । ব্যাটারি চালিত হওয়ায় এই ই-বাইকটি একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব অন্যদিকে বাইকটির বডি এলুমেলিয়াম দিয়ে তৈরি হওয়াই ওজনও অনেক কম মাত্র ৫৫ কেজির মত । জার্মানির এসওএ কোম্পানির তৈরি এই ই-বাইকটির দাম ধরা হয়েছে ৬ হাজার এবং সাড়ে ৭ হাজার মার্কিন ডলার ।

স্কেমব্লার (Scrambler Electric Bike)-পুরনো দিনের বাইকের মত দেখতে এই ই-বাইকটি শুধু দামেই সস্তা নয়, ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি দারুন আরাম দায়ক । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চুস বাইক-এর তৈরি Scrambler তিনটি মডেল এখন পর্যন্ত বাজারে এসেছে । ক্যাব, সিটি এবং হাইপার নামের তিনটি মডেল দেখতে একই রকম হলেও এগুলোর ফিচারে কিছু কিছু পার্থক্য রয়েছে । এবড়োখেবড়ো  রাস্তায় চালানোর জন্য তৈরি হবেছে ক্যাম মডেলটি যেখানে শহরে চালানোর জন্য সিটি মডেল । অবশ্য এই দুইটি মডেল-ই ঘন্টায় সর্বোচ ৪৫ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে আর হাইপার মডেলটি ঘন্টায় ৫৪ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম । হালকা শক্তিশালি এই ই-বাইকগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে । হাইড্রোলিক ব্রেক এবং বিশেষ ধরনের ফ্রগ ছাড়াও এলইডি ডিস্প্লে বা লাইট বাড়তি মাত্র দিয়েছে এই ই-বাইক গুলোকে । ক্যাব এবং সিটি মডেল দুটির দাম ১৭ শ মার্কিন ডলার। এবং হাইপার মডেলটির দাম ২৭শ মার্কিন ডলার ।

ডেলফাস্ট (Delfast Electric Bike)- বাজারে প্রচলিতু অধিকাংশ ই-বাইকের মূল অসুবিধা হচ্ছে ব্যাটারি দুর্বলতা অর্থাৎ একবার চার্জে খুব বেশি চালালোর সুযোগ থাকে না । কিন্তু এই সমস্যার যুগান্তকারি সবাধান নিয়ে এসেছে ডেল ফাস্টের তিনটি মডেলের এই ই-বাইক । অবিশ্বাস্য মনে হলেও ডেল ফাস্টের এই ব্যাটারি একবার ফুল চার্জ করে নিলে চোখ বন্ধ করে ৩৮০ কিলোমিটার ভ্রমন করা যাবে । শুধু তাই নয় এই ই বাইকের নকশা এবং আনুষঙ্গিক তৈরি করা হয়েছে চালকের সুবিধার কথা মাথায় রেখে । এর প্রাইম মডেলটি ঘন্টায় ৫৫ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে এবং ৩৮০ কিলোমিটার ভ্রমন করা যায় । যেখানে চক মডেলটি ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারলেও ভ্রমন রেঞ্জ ২৮০ কিলোমিটার । আর লাইট মডেলটি গতি তুলতে পারে ঘনটায় ৪২ কিলোমিটার এবং ১৮০ কিলোমিটার ভ্রমন করা যায় এতে । আর এদের দাম যথাক্রমে ৫২০০, ৬৯০০ এবং ৪২০০ মার্কিন ডলার ।

ডিসি ট্রাই (DC TRI Electric Bike )- নাম ইলেকট্রিক মোটর সাইক্যাল হলেও এটি শুধু তিন চাকা বিষিষ্ঠই নয়; বাইকটি দেখতেও সম্পূর্ণ আলাদা । আর বসার পরিবর্তে এই বাইকটি চালাতে হয় দাঁড়ানো অবস্থায় । যদিও তিন চাকা বিশিষ্ঠ বলেই এই বাইকটির নিয়ন্ত্রন আরও সহজ বলে দাবি এর নির্মাতাদের । তবে এই বাইকটি ঘন্টার সর্বোচ ২৪ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে । আর একবার চার্জে ৫০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমন করা যায় । হেন্ডেল বারের সাথে যুক্ত ডিস্প্লের সাহায্যে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায় এর বিভিন্ন ফিচার । এই বাইকের দাম ধরা হয়েছে ২১ শ মার্কিন ডলার ।

<

Related Posts

3 Comments

মন্তব্য করুন