টি-২০ ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার খেলা। ক্রিকেটের এই জনপ্রিয় ফরমেট এ যেমন ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পায়, তেমন ই বোলারদের জন্য এই ফরমেটটি খুব সুবিধার নয়। বল ও ব্যাট এর মাঝে সমতা আনার জন্যই বিগ ব্যাশ কমিটি কিছু নতুন নিয়মের সূচনা করেছে যাতে বোলার ও ব্যাটসম্যান উভয় ই সমান সুযোগ পায় নিজেকে মেলে ধরার। নিয়মগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য খুব ই চমকপ্রদ। চলুন দেখা যাক নিয়মগুলো কেমন।
এক্স-ফ্যাকটরঃ ম্যাচ এ একটি দল ১২ তম ও ১৩ তম খেলোয়াড় বাছাই করতে পারবে এবং মূল একাদশের ১১ জন এর মধ্যে যেকোন একজনকে সেই ১২ বা ১৩ তম খেলোয়াড় দ্বারা পরিবর্তন করতে পারবে। ম্যাচ চলাকালীন ১০ ওভার এর পর এই নিয়মটি কার্যকর হবে। তবে, মূল একাদশের এমন একজন খেলোয়াড় কে পরিবর্তন করতে হবে যিনি এখনো ব্যাটিং করেন নি বা ১ টি মাত্র ওভার বল করেছেন। একজন এক্স-ফ্যাক্টর অবশ্যই ম্যাচ এর মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে।
পাওয়ার সার্জঃ সাধারণত টি-২০ ম্যাচ এ পাওয়ার প্লে থাকে প্রথম ৬ ওভার অর্থাৎ ইনিংসের প্রথম ৬ ওভার বৃত্তের বাহিরে সর্বোচ্চ ২ জন ফিল্ডার রাখার নিয়ম আছে। বিগ ব্যাশ এবার নিয়মটি পরিবর্তন করেছে। তারা পাওয়ার প্লে কে ২ ভাগে বিভক্ত করেছে। ইনিংসের প্রথম ৪ ওভার পাওয়ার প্লে বিদ্যমান রেখে বাকি ২ ওভার ইনিংসের ১০ ওভার এর পর যেকোনো সময় ব্যাটিং দল তাদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে।
ব্যাশ বুস্টঃ ব্যাশ বুস্ট নিয়মটি হলো বোনাস পয়েন্ট এর একটি সুযোগ। কোন দল প্রথম ইনিংস এর প্রথম ১০ ওভার এ যে রান করেছে, বিপক্ষ দল যদি তাদের ১০ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান করে তাহলে তারা ১ পয়েন্ট বোনাস পাবে ম্যাচ হারলেও। যদি তারা কম রান করে তাহলে বিপক্ষ দল ১ পয়েন্ট বোনাস পাবে। এছাড়াও আগে ম্যাচ জিতলে দেয়া হত ২ পয়েন্ট, এবার দেয়া হবে ৩ পয়েন্ট। তার সাথে ব্যাশ বুস্ট এর ১ পয়েন্ট প্রতিটি দল কে প্লে অফ এ কোয়ালিফাই করার একটি সুযোগ করে দিয়েছে বটে।
এমন অনেক কিছুই আমরা আগে দেখিনি। টি-২০ ক্রিকেট আমাদেরকে নতুন কিছু বিষয়ের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে ক্রিকেট এ অনেক কিছু যোগ হয়েছে, বিয়োগ হয়েছে। তবে, সব ক্ষেত্রেই বোলারদের সুবিধার কথা খুব একটা ভাবা হয়না। টি-২০ বা টি-১০ এগুলো বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ। সেই চিন্তা থেকে ব্যাট বলের মাঝে সমতা আনার জন্যই বিগ ব্যাশের এই অভিনব নিয়মগুলোর অবতারণা। তাছাড়া, খেলাটাকে আরেকটু মনোমুগ্ধকর করার একটি প্রচেষ্টা নিয়েছে বিগ ব্যাশ কমিটি।
কৌশলগত দিক বিবেচনা করলে, নিয়মগুলো প্রতিটি দল এর জন্য চিন্তার বিষয়। কারণ, কাকে এক্স ফ্যাক্টর হিসাবে নামানো হবে, তাকে নামালেও সে কাজে আসবে কিনা অথবা ম্যাচ এর কোন সময় পাওয়ার সার্জ ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়া যাবে, এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করে কাজে লাগানো চ্যালেঞ্জ এর। তবে, বলতেই হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি রোমাঞ্চকর অবশ্যই।
Wow
Exciting. Isn’t it?
Exciting
Exciting
#
Good
wonderful article!
Gd
gd
Gd
Thanks
nc
valo post
Gd
nice
Nice
❤️
❤️
Good