বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কিছু সাফল্য যা জানলে আপনিও অবাক হবেন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া-রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ । আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন । চলুন আজ নতুন কিছু বিষয় সম্পকে জেনে নেই ।
বিজ্ঞান নিয়ে মানুষের ভাবনা যেমন এক দিনের নয় । তেমনই বিজ্ঞান কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা । তাদের এই পরিশ্রম এর জন্য আমরা আজ এই পর্যায় এ পৌছেঁচি এই দুনিয়া কে উপভোগ করতেসি । আজ যেখানে বিজ্ঞান ছাড়া আমদের এক মুহূর্ত চলে না , সেখানে বিজ্ঞান এর সাফল্য অকল্পনীয় ।

আজ আমি বিজ্ঞান এর কিছু সুন্দর ঘটনা ও সাফল্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
চাঁদে যাওয়ার বিষয়টা নিয়ে মানুষ এর ভাবনার শেষ নেই । তাই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা স্ংস্থা নাসা চাঁদে যাওয়ার জন্য নতুন প্রযুক্তি তৈরি করছে । এপোলো মিশনের সম্পূর্ণ প্ৃথক এক কৌশলে চাঁদের মিশন সম্পন্ন করবে নাসা । ন্যাশনাল জিওগ্রাফি এর একটি প্রতিবেদনে এই নতুন প্রযুক্তির কথা টি জানা যায় । তাতে আরও জানা যায় যে, ভিন্ন প্রযুক্তিতে ৈতরি ওরিওন স্পেস ক্যাপসুলের ভেতর মানুষ ভরে চাঁদের উদ্দেশে নিক্ষেপ করা হবে ।

আরও জানা যায় ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহেও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে । এই প্রযুক্তি বিজ্ঞানের এক অসামান্য অবদান ।
ইন্টারনেট তো আমরা প্রায় সবাই ব্যবহার করি । আর অনেক এই এটি ওয়াইফাই এর মাধ্যমে । কিন্তু ইন্টারনেট স্পিড স্লো হওয়ার কারনে সেখানেও বহু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা । সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষে বিজ্ঞানীরা এবার নিয়ে এলো লাইফাই ।
এটা এমন এক প্রযুক্তি যার কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে ওয়াইফাই এর থেকে ১০০ গুন এগিয়ে । এটি কাজ করবে এলইডি বাল্বের সাহায্যে । আপনার বাড়িতে লাগানো এলইডি হাইস্পিড ডেটা ট্রান্সমিট করবে । ওয়াইফাই এর চেয়ে এর কার্য ক্ষমতা বেশি থাকবে । লাইফাই এর রেডিয়াস প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত । যার জন্য ইন্টারনেট চলবে এখন হাইস্পিড এ ।

বর্তমান যুগ এখন এমন পর্যায় এ গেছে যে চাঁদে ও চালু হবে ৪জি সেবা । ভোডাফোনের তোরফ থেকে এই ৪জি নেটওয়ার্কটি বসানো হবে । আর এই প্রোজেক্ট আর জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ।
এবার অন্য একটি প্রযুক্তির ব্যাপারে বলবো যার নাম ব্লাক বক্স । মূলত ব্লাক বক্স এর নাম ফ্লাইট রেকর্ডার । আসলে বর্তমান প্রায় সময় বিমান দূরঘটনা কথা শোনা যায় । আর এই দূরঘটনা কিসের জন্য সংঘটিত হয় তা জানার জন্য এই প্রযুক্তি টি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা । বিমান চলাকালে সকল তথ্য এটি রেকর্ড করে রাখে ।

যদিও এটির নাম ব্লাক বক্স কিন্তু এটি রং কালো নয় এটার রং কমলা । এটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেকোনো তাপমাত্রায় টিকে থাকতে পারবে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের যন্ত্র ৈতরির জন্য প্রথম উদ্যোগ নেন । অস্ট্রেলীয় সরকারের এয়ারোনটিকাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে কেমিস্ট ডেভিড ওয়ারেন এটি আবিষ্কার করেন ।

পরীক্ষামূলকভাবে এটির ব্যবহার ১৯৬২ সালের ২৩ শে মার্চ ব্যবহার করা হয় । বর্তমান এই ব্লাক বক্স গুলো ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিমানের সকল তথ্য ধারন করে থাকেন । তবে বিজ্ঞানীরা এটিকে ফ্লাইট রেকর্ডার নামে ডাকেন ।
আজ এ পর্যন্ত আর একদিন নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে । ভালো থাকবেন সুস্তথ থাকবেন এই কামনা করি । আসসালামু আলাইকুম ওয়া-রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ।

Related Posts

50 Comments

মন্তব্য করুন