২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল। মুখোমুখি দুই জায়ান্ট উইন্ডিজ-ইংল্যান্ড। ভারতের মাঠের ঐ ফাইনালে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় শিরোপা জিতে ক্যারিবিয়ানরা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে সমানতালে।
বর্তমানের উইন্ডিজ দল অন্য ফরম্যাটের তুলনায় টি-২০ ফরম্যাটে একটু বেশিই ভয়ংকর। আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারাইন, কাইরন পোলার্ড, ক্রিস গেইলরা সাম্প্রতিক বছর গুলোতে উইন্ডিজকে এই ফরম্যাটে আরো বিধ্বংসী করে তুলেছেন।
চলমান বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে গেইল-নারাইনরা দলে না থাকলেও কোন বেগ পেতে হচ্ছে না দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গড়া দেশটির। নিজেদের মাঠে প্রথম টি-২০ ম্যাচে জিতে সিরিজে লিড নিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
আজ ভোরে সিরিজ জয়ের সুযোগ সাকিব-তামিমদের। ফ্লোরিডায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতলে প্রথমবারের মত টি-২০ চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতবে টাইগাররা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আজ বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট উইন্ডিজ।
শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট চলছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। সেখানে ১৬৮ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন জো রুট। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ১৩৫ রানে অলআউট হবার পর দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির কারণে খেলা আগেই শেষ হয়ে যায়। তখন ইংল্যান্ডের স্কোর ছিলো- ৯৪ ওভারে ৩২০ রান এবং চারটি উইকেট হারিয়েছে তারা।
স্কোরের হিসেবে বেয়ারস্ট্রো ৪৭ এবং লরেন্স ৭৩ রান করেন। কিন্তু রুটের একার রানই শ্রীলঙ্কার দলীয় সংগ্রহের চেয়ে বেশি। ইনিংসের শুরুতে শ্রীলঙ্কা হিমশিম খেলেও বেশ সাবলীলভাবেই খেলছিলেন ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়েরা। এর মধ্যে ১৩১ রান দিয়ে চারটির মধ্যে তিনটি উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এম্বুলদেনিয়া।
রুটের পারফর্মেন্স নিঃসন্দেহে ভালো ছিলো কিন্তু এটা শিরোনাম হবার আরেকটা কারণ আছে। এমনিতে টেস্টে নিয়মিত দল ইংল্যান্ড। এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো টেস্ট বেশি খেলে এবং তুলনামূলক বেশি অভিজ্ঞ আর দক্ষ হয়। কিন্তু গতবছর একটিও সেন্ঞ্চুরি পাননি রুট!এই প্রথমবার পুরো একবছর টেস্টে একটিও সেন্ঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। বিষয়টি হতাশাজনক বটে। সেই হিসেবে এই বছরের প্রথমেই এরকম রানের সংগ্রহ অবশ্যই তাকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। এখন শ্রীলঙ্কার চেয়ে ১৮৫ রান এগিয়ে আছে রুটের দল।
এই দিয়ে টেস্টে ১৮ তম সেন্ঞ্চুরি পেলেন রুট এবং টেস্টেই ১৫০ ছাড়ানো ব্যক্তিগত অষ্টম ইনিংস তার। দিন শেষে তখনো উইকেটে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়া শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে তার ইনিংস সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড করেছে। এর আগে ২০১২ সলে কেভিন পিটারসনের ১৫১ রানের ইনিংসটি এই রেকর্ড দখল করে ছিলো। আট বছর পর রুট নতুন করে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইতিহাস গড়লেন।
এই ইনিংসে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন এই টেস্টেই অভিষেক ম্যাচ খেলা ড্যান লরেন্স। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৪৩.১ ওভারে করেছেন ১৭৩ রান। এছাড়া এটাই শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইংলিশদের সর্বোচ্চ রানের জুটি হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। ২৫৪ বলের ইনিংসে রুট ১২টি চার মেরেছেন এবং ৭২ টি একক রান নিয়েছেন কিন্তু একটাও ছক্কা মারেননি। কিন্তু লরেন্স তার ৭৩ রানের ইনিংসে ৬টি চার এবং একটি ছয় মেরেছেন। অনেকেই বলছে- রুট একটি নিখুঁত ইনিংস খেলেছে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে স্কোর করার চেয়ে উইকেটে টিকে থাকাটা বেশি জরুরী। একটা প্রচলিত কথা আছে- টেস্টের মাঠে টিকে থাকলে রান হবেই।
যদিও খেলাটা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার মাঠে এবং শ্রীলঙ্কাকেই এখানে ফেভারিট মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু টেস্টে অভিজ্ঞ ইংল্যান্ড দলের সামনে তাদের অবস্থা বেশ শোচনীয় মনে হয়েছে। তবে রুটের পারফর্মেন্স অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। আর যে ম্যাচ একাধিক ইতিহাস গড়েছে সেই ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
দেখা যাক, বাকি তিন দিনে ম্যাচের কোনো মোড় ঘোরে কিনা। এছাড়া বৃষ্টির আগমনেরও সম্ভাবনা আছে। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন। লেখাটি পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলার নবাব,বাংলার অহংকার, ক্রিকেটের রাজ্য জয় করে আনা, তার নাম সাকিব আল হাসান। বিশ্বের সেরা ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে জ্যাক ক্যালিস কিংবা শচীন টেন্ডুলকারের মতো খেলোয়াড় ১০০ বছরে একবার জন্মায়। কিন্তু সাকিবের মতো খেলোয়াড় ১০০০০ বছরে একবার জন্মায়।
শুধু বাঙালিদের কাছে সাকিব বেয়াদব সার্থপর আরও অনেক কিছু। কিন্তু ভিনদেশিদের কাছে ছেলেটা প্রসংশায় উচ্চমুখ।
T20: ম্যাচ:৭২ উইকেট: ৮৮ বোলিং গড়: ২১.১৭ ৫উইকেট:১ বার সেরা বোলিং: ৫/২০।
সাকিব আল হাসান একজন যোদ্ধা। তিনি প্রতিবাদি। সাকিব দূরনিতির বিপক্ষে প্রতিবাদ করলে সে খারাপ।
সাকিব যদি খেলা না করে তাহলে তার চলবে। কিন্তু সে তো সেটা করে না, সে কিন্তু খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। তার একটাই আশা,২৩ বিশ্বকাপ টা যেনো ভালোভাবে পার করতে পারে।আর একটা জয় ছিনিয়ে আনতে পারে।
গত বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্ট এ খারাপ খেলার জন্য সবাই সাকিব কে গালিগালাজ করছে। কিরন্তু শকুনের অভিশাপে তো গরু মরে না।
সাকিব দীর্ঘ ১বছর না খেলার জন্য খারাপ খেলছে।সে তো ভালো করার চেষ্টা করছে।ব্যাটে খারাপ খেললেও বলে ভালো করেছে। উইকেটে না পেলেও বোলিং ইকোনমি ভালো।
গত বিশ্বকাপে সাকিব যেটা করেছে , সেটি কারোর মনে নেই। সাকিব বিশ্বসেরা ১নং অলরাউন্ডার। আমরা তো শোভাগ্গো, মে কিনা আমাদের দেশে একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
সাকিব কে নিয়ে সবাই বাজে মন্তব্য করে। সাকিব প্রতিবাদ করে এজন্য কী সাকিব বেয়াদব। সাকিব মাঠে প্রতিবাদ করে এজন্য কী সাকিব বেয়াদব। আমরা মানুষ, এজন্য অন্যের ভালো দেখতে পারি না।
সাকিব আল হাসান রাজা,সে আবার ক্রিকেটে এ ফিরছে, তার রাজ্য দখল করার জন্য। সাকিব তুমি এগিয়ে যাও, আমরা তোমার পাশে ছিলাম,আছি আর থাকবো।
টি-২০ ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার খেলা। ক্রিকেটের এই জনপ্রিয় ফরমেট এ যেমন ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পায়, তেমন ই বোলারদের জন্য এই ফরমেটটি খুব সুবিধার নয়। বল ও ব্যাট এর মাঝে সমতা আনার জন্যই বিগ ব্যাশ কমিটি কিছু নতুন নিয়মের সূচনা করেছে যাতে বোলার ও ব্যাটসম্যান উভয় ই সমান সুযোগ পায় নিজেকে মেলে ধরার। নিয়মগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য খুব ই চমকপ্রদ। চলুন দেখা যাক নিয়মগুলো কেমন।
এক্স-ফ্যাকটরঃ ম্যাচ এ একটি দল ১২ তম ও ১৩ তম খেলোয়াড় বাছাই করতে পারবে এবং মূল একাদশের ১১ জন এর মধ্যে যেকোন একজনকে সেই ১২ বা ১৩ তম খেলোয়াড় দ্বারা পরিবর্তন করতে পারবে। ম্যাচ চলাকালীন ১০ ওভার এর পর এই নিয়মটি কার্যকর হবে। তবে, মূল একাদশের এমন একজন খেলোয়াড় কে পরিবর্তন করতে হবে যিনি এখনো ব্যাটিং করেন নি বা ১ টি মাত্র ওভার বল করেছেন। একজন এক্স-ফ্যাক্টর অবশ্যই ম্যাচ এর মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে।
পাওয়ার সার্জঃ সাধারণত টি-২০ ম্যাচ এ পাওয়ার প্লে থাকে প্রথম ৬ ওভার অর্থাৎ ইনিংসের প্রথম ৬ ওভার বৃত্তের বাহিরে সর্বোচ্চ ২ জন ফিল্ডার রাখার নিয়ম আছে। বিগ ব্যাশ এবার নিয়মটি পরিবর্তন করেছে। তারা পাওয়ার প্লে কে ২ ভাগে বিভক্ত করেছে। ইনিংসের প্রথম ৪ ওভার পাওয়ার প্লে বিদ্যমান রেখে বাকি ২ ওভার ইনিংসের ১০ ওভার এর পর যেকোনো সময় ব্যাটিং দল তাদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে।
ব্যাশ বুস্টঃ ব্যাশ বুস্ট নিয়মটি হলো বোনাস পয়েন্ট এর একটি সুযোগ। কোন দল প্রথম ইনিংস এর প্রথম ১০ ওভার এ যে রান করেছে, বিপক্ষ দল যদি তাদের ১০ ওভারে এর চেয়ে বেশি রান করে তাহলে তারা ১ পয়েন্ট বোনাস পাবে ম্যাচ হারলেও। যদি তারা কম রান করে তাহলে বিপক্ষ দল ১ পয়েন্ট বোনাস পাবে। এছাড়াও আগে ম্যাচ জিতলে দেয়া হত ২ পয়েন্ট, এবার দেয়া হবে ৩ পয়েন্ট। তার সাথে ব্যাশ বুস্ট এর ১ পয়েন্ট প্রতিটি দল কে প্লে অফ এ কোয়ালিফাই করার একটি সুযোগ করে দিয়েছে বটে।
এমন অনেক কিছুই আমরা আগে দেখিনি। টি-২০ ক্রিকেট আমাদেরকে নতুন কিছু বিষয়ের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে ক্রিকেট এ অনেক কিছু যোগ হয়েছে, বিয়োগ হয়েছে। তবে, সব ক্ষেত্রেই বোলারদের সুবিধার কথা খুব একটা ভাবা হয়না। টি-২০ বা টি-১০ এগুলো বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ। সেই চিন্তা থেকে ব্যাট বলের মাঝে সমতা আনার জন্যই বিগ ব্যাশের এই অভিনব নিয়মগুলোর অবতারণা। তাছাড়া, খেলাটাকে আরেকটু মনোমুগ্ধকর করার একটি প্রচেষ্টা নিয়েছে বিগ ব্যাশ কমিটি।
কৌশলগত দিক বিবেচনা করলে, নিয়মগুলো প্রতিটি দল এর জন্য চিন্তার বিষয়। কারণ, কাকে এক্স ফ্যাক্টর হিসাবে নামানো হবে, তাকে নামালেও সে কাজে আসবে কিনা অথবা ম্যাচ এর কোন সময় পাওয়ার সার্জ ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়া যাবে, এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করে কাজে লাগানো চ্যালেঞ্জ এর। তবে, বলতেই হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি রোমাঞ্চকর অবশ্যই।
You must be logged in to post a comment Login