ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং এবং আরও অনেক শহর দূষণের কবলে। জলবায়ু পরিবর্তন এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যর্থতা পুরো মানব জাতিকে হুমকির সম্মুখীন করবে। এখানে কিছু শহর যেগুলি পরিবেশ বান্ধব নগর হিসাবে বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
১। কোপেনহেগেন
কোপেনহেগেনকে ইউরোপের সবুজ রাজধানী বলা হয়। এই শহরটি প্রাকৃতিক সংরক্ষণের দায়িত্বটি বেশ ভালভাবে নিয়েছে। তারা গাড়ির চেয়ে সাইকেল ব্যবহার করে বেশি। শহরটি কার্বন নিঃসরণও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। তারা তাদের ছাদে প্রচুর গাছ লাগায়।
২) রেইকজাভিক
আইসল্যান্ডের বৃহত্তম শহরটি এখন আইসল্যান্ডের সবুজ শহর হিসাবে পরিচিত। এই শহরে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার লোক বাস করে এবং তারা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো একটি বড় চ্যালেঞ্জ সমাধানের জন্য কাজ করছে। তারা ২০৫০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার বন্ধ করতে চায়। তাদের ভূ-তাপীয় কাঠামো বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশ সহায়ক এবং পরিবেশ বান্ধব। আরও মজার বিষয় হল, জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে মাত্র ০.১ শতাংশ বিদ্যুৎ উত্পাদিত হয়।
৩) কেপ টাউন
আফ্রিকার এই শহরটি কার্বন ডিস্কোলাসার প্রজেক্টের দরুণ বিশ্বের সেরা ৫টি দেশের মধ্যে নাম লিখিয়েছে যারা জলবায়ু মোকাবেলায় বেশ সচেতন। এই শহরের ১০-২০% শক্তি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসে। এছাড়া তারা বর্জ্য নিষ্কাশনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
৪) সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুর এশিয়ার সবুজতম শহর হিসাবে পরিচিত। এবং শহরটি বিশ্বের সবুজতম শহর হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠছে। এই শহরের বাড়িগুলি এবং স্থাপনাগুলিতে সবুজ দেখা যায়। ছাদে গাছ, বাড়ির দেয়াল বরাবর গাছ, সবুজ উদ্যান সিঙ্গাপুরের বৈশিষ্ট্য। গ্রিন হাউসগুলি নির্মাণের কাজ ২০০৮ থেকে শুরু হয়েছিল। ট্রি হাউজ কন্ডো নামের বিশ্বের সবচেয়ে বড় উল্লম্ব বাগান আছে।
৫) ভ্যানকুভার
কানাডার ভ্যানকুভার কম কার্বন নিঃসরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ২০১০ সাল থেকে এই শহরের মানুষ সাইকেল চালানোর ব্যাপারে উত্সাহী হয়ে উঠেছে। শহরটি অনেকগুলি বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পও হাতে নিয়েছে। কৃষকদের জন্য এমন বাজার রয়েছে যেখানে উন্নত খাদ্য সামগ্রী সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনা যায়।