আপনি ভালো আপনার কাছে সব ভালো তাই বলে,
আপনার ভালোয়ে জগৎবাসী ভালো ব্যবহার দেবে এমনটা আশা করা ঠিক নয়। কারণ “ভালোকে সবাই ভালো বলবে না “পৃথিবীর কোন মানুষ সবার মন জয় করার সৌভাগ্য নিয়ে জন্মায় না। আপনি ভালো জগৎ ভালো,আপনি খারাপ জগৎ খারাপ। একথার মানে এই নয় যে,আপনি ভালো মানুষ হলেই পুরো জগৎবাসী আপনার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে,আপনার সঙ্গ দিবে,বাহবা মারহাবা রবে সাধুবাদ জানাবে।আবার আপনি খারাপ বলে সবাই আপনার সঙ্গ ত্যাগ করে চলে যাবে। এবং খারাপ খারাপ রব তুলে গালমন্দ ও নিন্দাবাদ করবে।
রাত দিনের সম্পর্কের মত ভালো ও মন্দের সম্পর্ক আছে বলেই পৃথিবীটা সবার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে যদি কেবল মাত্র ভালোই থাকবে তবে এ পার্থিবীর আবশ্যকতাই বা কী? মন্দ আছে বিধায় ভালোর গুরুত্ব আছে, যেমনিভাবে ক্ষুধার পীড়া নিবারণের জন্য খাদ্যের আবশ্যকীয়তা সবারই।স্বর্গের গুরুত্বটা তখনই বাড়ে মন্দের পরিণাম ফল স্বরূপ যখন নরককে প্রদর্শন করা হয়।প্রত্যেক মানুষই তাঁর নিজ কর্মের জন্য নিজে দায়ী। এবং যার কর্মফল সে নিজেই ভোগ করে থাকে। পৃথিবীর মানব প্রকৃতির বৈচিত্র্য তো এমনই যে, অভিজাত বংশে জন্ম নিয়েও জীবনকে সুন্দর মার্জিত এবং প্রশংসনীয় চরিত্রের মালিক হতে পারে না।
আবার সর্বোনিকৃষ্ট পরিবারে জন্ম নিয়েও অনন্য ও উৎকৃষ্টতম চরিত্র মাধুর্যতায় নিজেকে পুষ্পের ন্যায় প্রস্ফুটিত করে তোলে। এ জন্য বলা হয় গোবরে পদ্মফুল। যান্ত্রিক এই পৃথিবীতে মানুষ গুলোও যেন যান্ত্রিক প্রকৃতির! তাই যান্ত্রিক এ পদ্ধতি কারো মন বোঝার চাইতেও ভুল বোঝার মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। ব্যর্থ মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি করা আর সফল মানুষকে হিংসা করার মত সাধু রূপী লোকের তো আর বালাই নেই এ সমাজে! যতটা বালাই সভ্য শান্ত ভালো মানুষের হয়। তাই “আপনি ভালো মানুষ হলেই পুরো জগৎবাসী আপনার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে এমনটা আশা করা ঠিক নয়।” জীবনকে আপনার জন্যই প্রস্ফুটিত করতে হয়।
“ঈশ্বর কর্তৃক মহিমান্বিত জ্ঞান ও হেকমতে অলঙ্কৃত
জীবন্ত ও জাগ্রত মানবাত্মা পুণ্য অর্জনে হব গর্বিত ।
অন্যেরে না ভাবিয়া কুৎসিৎ হব আত্মসমালোচক,
পাপের বিভ্রমকে অতিক্রম করে ফুটিব সপুষ্পক।
মানুষ মানুষের তরে হবো নিরাময়ক ফুল ফল ছায়
অস্তিত্ব রাখিব আমার ন্যায় পূণ্যে দুনিয়া সেরা।”
“স্বর্ণজ্জ্বল সোনালী স্বপ্ন সব”
মুহা. কবির হোসেন
এই পৃথিবীর সূর্যরশ্মী আমি দেখেছি ক্ষণকাল
দেখেছি চাঁদ তারা উজ্জ্বল আর শুকতারাটারও হাল।
পেয়েছি আমি জীবন সূর্যই উজ্জ্বল যে সর্বকাল
রামধনুর সাতরঙ অপেক্ষা রঙিন আমার এজীবনকাল
রঞ্জন রশ্মি দেখেছি ছেপে স্বচ্ছ দেহ অভায়ব
মন্ত্রের সুর যেন ছাপে শাহ্নাঈ বাদ্যযন্ত্র তব।
জীবন যন্ত্র লিখে সমস্ত রঙিন স্বপ্ন ও অভাব
দুঃখ কষ্ট সহে যে হাসে রঙিন এ ধরনীর সে রব।
রামধনু তার রঙ হারায় নীলে অম্বরী অতলে
শুকতারাটাও চাই সূর্যের আভাসে ভারী ঝলমলে
মানুষ কেবলই যে তাঁর মনুষ্য চমকায় মহৎউজ্জ্বল
সুখকর অস্তহীন সূর্যে ভাসে অনন্ত আকাশে জ্বলজ্বল।
আকাশ ছোঁয়া বাহারি রঙের স্লোগানে ভরা
সসীম দেহের মাঝে অসীম জাগ্রত মোরা।
সোনারোদের ঝলমলানি শিশিরের মত পান্না হীরা
খসে পড়বে জীবাত্মার সঞ্চালন বলছে মানবাত্মার শিরা উপশিরা।
এই জীবনে রঙের তামাশা তাসের ঘর কাচের
রঙ ফুরাইলে নিরাশা আসে ভাঙবে সুখের ঘর।
রঙ বেরঙের স্বপ্ন আমার নয়নভরা জ্যোতি বলে
স্বর্ণজ্জ্বল সোনালী স্বপ্ন সব গোলাপের মত না ফলে।
(কাচের আয়না যতবার ভাঙ্গে
ততবার জোড়ানো বা জড়ান সম্ভব,
হৃদয়ের আয়নাটা একবার ভেগে বসে
তা আর জোড়ান জড়ানো কোনটাই সম্ভব নয়।)