র্যাগিং অর্থ পরিচিত হওয়া, তিরস্কার করা অথবা আবেগে কিছু করা ইত্যাদি। আরও ভালো ভাবে বললে, র্যাগিং শব্দের প্রচলিত অর্থ হচ্ছে ‘পরিচয় পর্ব’ অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের সাথে পুরাতন শিক্ষার্থীদের একটা সখ্যতা গড়ে তোলার জন্য যে পরিচিতি প্রথা সেটাকে র্যাগিং নামে অভিহিত করা হয়।
কিন্তু আজকাল মানুষের মাঝে “র্যাগিং মানেই খারাপ কিছু করা” বিষয় টি ফুটে উঠে। কারন বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ র্যাগিং এর নাম দিয়ে অনেকে ছেলে মেয়েদের জীবন নষ্ট করা হচ্ছে।বিশেষ করে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই র্যাগিং এর প্রভাব বেশি। সাধারণত যখন একটা ছেলে বা একটা মেয়ে উক্ত কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পা দেয়, তখন সেই ছেলে বা মেয়ে প্রতিষ্ঠানটির সব বিষয়ে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে পারে নি অর্থাৎ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ভাইয়া বা আপু রা কেমন,শিক্ষকরা কেমন এসব বিষয় এ তারা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারে নি।ফলে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেওয়া মাত্রই ছেলে বা মেয়েটি সিনিয়র ভাইয়া বা আপুদের দ্বারা র্যাগিং এর শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা উচিত যে বিভিন্ন ধরনের র্যাগিং আছে, যথাক্রমে, ” কোনো ছেলে বা মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া,কোনো শিক্ষক কে দেখিয়ে তার সাথে বন্ধুর মত ব্যবহার করা,ম্যাডাম সাথে বিভিন্ন আচরণ করা,কোনো ছেলেকে মারতে বলা”। এই র্যাগিং এর কারনে অনেক মেধাবী ছেলে বা মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যায় আবার অনেকে আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নেয়। কারন র্যাগিং এ এমন কিছু কাজ করতে বলে যা করলে নিজের মান সম্মান শেষ হয়ে যায়।
অথচ র্যাগিং মানে হলো একে অপরের সাথে আলাপ, পরিচিত হওয়া, সিনিয়র দের সাথে জুনিয়র এবং শিক্ষক দের সাথে শিক্ষার্থী দের আলাপ ও পরিচিতি পর্ব হওয়া,যাতে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা নতুনরা যেনো উক্ত প্রতিষ্ঠানের সব কিছুর সাথে সহজে নিজেকে মিশাতে পারে।একজন সিনিয়র ভাই বা আপুর করনীয় হলো জুনিয়র দের সাথে এমন ভাবে ভদ্রতার সাথে কথা বলা যাতে জুনিয়ার তার কোনো বিপদে আপনার কাছে আসতে পারে।সব সময় ভালো কাজে উৎসাহিত প্রদান করা এবং ভালো মন্দ বিশ্লেষণ করা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধ হলে মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি হবে এবং এর সাথে সাথে দেশ ও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।আমাদের সকলের উচিত এই র্যাগিং এর নামে এর অপব্যবহার বন্ধ করা এবং স্বাভাবিকভাবে নতুনদের সাথে কোনো ভয় ভীতি না দেখিয়ে ভদ্রতার সাথে কথা বার্তা বলা।