আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।শারীরিক ব্যায়াম কি? এটি সম্পর্কে এবং এটির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে এই এপিসোডে।
শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা হলো এমন একটি কার্যক্রম যা আমাদের শরীরের সুস্থতা রক্ষা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।বিভিন্ন কারণে ব্যায়াম করা হয়, ওজন হ্রাস করা,কিংবা ওয়ার্কআউট ইত্যাদি কারণে ব্যায়াম করে থাকে অনেকেই। শারিরীক ব্যায়াম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীর ও মনকে ভালো রাখে।আপনি যদি ব্যায়াম না করেন তাহলে আপনার মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়বে।
ব্যায়ামের উপকারিতা কি?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:আমরা শরীরের ফিটনেস ভালো রাখার জন্য বিশেষত ব্যায়াম করে থাকি।কিন্তু ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরের অনেক জটিল রোগ থেকেও আমরা মুক্তি পেতে পারি। যেমন: কেন্সার, উচ্চ রক্তচাপ , হৃদরোগ ইত্যাদি রোগ থেকে ব্যায়াম করলে আমরা ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারি।
শক্তি ও শরিরের ভারসাম্যতা বৃদ্ধি: এক ধরনের ব্যায়াম আছে যা আমাদের শরিরের ভারসাম্যতা রক্ষা করে এবং শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখে তাছাড়াও শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এমন ব্যায়াম গুলো হলো: পুশ আপ, বাইসেপ কার্লস , পুল আপ ইত্যাদি।
ফেক্সিবেলিটি বৃদ্ধি: ব্যায়াম আমাদের মাংসপেশির প্রসারণ এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া ব্যায়াম আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে যার ফলে আমরা কোনো কিছু করার ফলে ইঞ্জুরি হলে অথবা বড় কোনো ব্যাথা পেলে তার প্রবণতা হ্রাস পাবে।যার ফলে আপনি আরামবোধ বেশি পাবেন।
মানসিক শান্তি ও ভালো ঘুম : সাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবসময় পরামর্শ দেন নিয়মিত শরীরচর্চা করতে। এতে শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ভালো ঘুম হয়।আর শারিরীক ব্যায়াম এর কারণে মানসিক চাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্মতিশক্তি বৃদ্ধি: ব্যায়াম আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক সহায়তা করে। ব্যায়াম এর ফলে আমাদের চিন্তাভাবনা করার শক্তি প্রকট হয়। ব্যায়ামের কারণে আমাদের শরীরের হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায় এবং ব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের কোষ গুলোকে সাভাবিক রাখে আর সুস্থ রাখে। এটি মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ ও অক্সিজেন কে সাভাবিক রাখে।যার ফলে আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে: নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন অন্তত ২০মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।যদি তাও না পারেন তাহলে সপ্তাহে অন্তত ৫দিন ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তার সাথে চর্বিযুক্ত খাবার কম খেলে দেখবেন শরীরের ওজন হ্রাস পেতে শুরু করেছে।
আর তাই যারা ওজন বৃদ্ধি হওয়া নিয়ে চিন্তায় আছেন তারা নিয়মিত ব্যায়াম করুন তার সাথে খাবার কন্ট্রোল করে খেলেই আপনার ওজন আস্তে আস্তে হ্রাস পাবে।
ব্যায়ামের কারণে সব মানুষ একভাবে উপকৃত হয় না।তবে সভাবিকভাবে সবাই ব্যায়াম করার ফলে এটা থেকে কিছু না কিছু বেনিফিট পেয়ে থেকেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মর্ধবয়সে যারা ব্যায়াম করেন পরবর্তীতে তাদের শরীরের কার্যক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়।