স্বাস্থ্য ভালো যার সব ভালো তার, আর স্বাস্থ্যই হলো সকল সুখের মুল

আসসালামু আলাইকুম, তোমরা কেমন আছো সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছো। আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করব, খুব সহজেই কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য কি কাজ করবেন। আজ আমি আপনাদেরকে এ বিয়ষে কিছু ধারনা দিবো চলেন আর দরে না করে শুরু করা যাক।

 

যাদের শরীর রোগা ভাত খেতে পারেন না, মুখে রুচি নেই তাদের জন্য আজ আমি কিছু টিপ্স দিবো।

 

নিজেকে কখনো রোগা ভাববেন না। যদি নিয়ম অনুযায়ী সঠিক সময়ে আপনি খেতে পারেন। তাহলে রোগ আপনে কাছে এসে কখনো গেসবে না। বরং রোগ আপনাকে দেখে ভয় পাবে। তার জন্য আপনাকে দামী দামী খাবার খেতে হবে না। যেটাকে আপনি সত্তা ভেবে কিনতে চান না সেটা কিনে খেয়ে দেখেন আপনার পরিবর্তন হয় কিনা। যেমন, কচু শাক, পুইশাক, লাউ শাক, লাউ, গাজর, পেঁপে ইত্যাদি।

 

 

আমরা অনেক সময় পেঁপেকে অবহেলা করে থাকি। আসলেই সেটা ঠিক নয়। আপনি যদি পেঁপের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতেন তাহলে কখনো এটাকে অবহেলা করতেন না। পেঁপে খেলে আপনার পেটের ভিতর কখনো গ্যাস হবে না। এটা আমি ১০০% নিশ্চিত দিয়ে বলতে পারি। কাজ না হলে আমাকে বকবেন।

 

আপনারা বলতে পারেন আপনি কি ডাক্তার কিনা। হে সেটা আপনি অবশ্যই বলতে পারেন৷ আমি আপনাকে বলছি পেঁপে আমি প্রতিদিন খেয়ে থাকি। তাই আমার কখনো পেটে গ্যাস হয় না। বিশ্বাস না হলে আপনার বন্ধু বা বান্ধবী যদি কেউ ডাক্তার থাকেন তাদের কাছে এই কথাটা শেয়ার করতে পারেন।

 

এটা কোন অপকারি ফল নয় বরং এই ফলটাই পারে আপনাকে পরিবর্তন করে দিতে। তাই আর দেরি না করে বাজার থেকে কিনে এনে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করে দেখেন। তারপর আপনি এই ফলটাকে ছাড়বেন না।

 

যাদের চোখের সমস্যা তাদের কে বলছি আপনি কখনো নিজেকে দুষা রুপ করবেন না। কারণ এতদিন না যেনেই সব ধরনের খাবার খেয়েছেন। আজ আমি আপনাকে বলছি যে ধরনের খাবার খাবেন তাহচ্ছে, পুইশাক লালশাক, ডাটাশাক, কচু শাক, সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল। মাছের ভিতরে যে সকল মাছ বেশি খাবেন তাহলে মলা মাছ, ডেলা মাছ, পাপদা মাছ, পুটি মাছ, এবং ছোট ছোট মাছ গুলো বেশি করে খাবেন। তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে কিনা।

 

 

আর যারা বেশি করে পরিশ্রম করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, অনেক সময় আমরা দেখে থাকি কাজ করতে করতে অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। শরীর থেকে গাম ঝরে। তখন তারা দেখা যায় ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বের করে খায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় পানি ভিতর কিছু মিষ্টি জাতীয় জিনিস দিয়ে নেড়ে খেয়ে নিচ্ছে। আসলেই এ কাজ গুলো থেকে আমাদেরকে সরে আসতে হবে এবং যে কাজটা আমার শরীরের জন্য ভালো এবং কে যে খাবার খেলে আমিও ভালো থাকবো সে ধরনের খাবার খাওয়া উচিত।

 

তাহলে চলোন আমরা দেখে আসি বেশি ক্লান্ত হলে কি ধরনের খাবার খাবো।

 

আমরা যখন কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাবো তখন আমরা অবশ্যই কোন বাজে খাবার খাবো না। যখন ক্লান্ত হবো তখন বসে কয়েক মিনিট বসে রেস্ট নিবো। তারপর হালকা চিনি বা গুড় মুখে দিবো। তারপর আমরা “বোল্ড” এই জিনিসটা খাবো। “বোল্ড” কোথায় পাবেন সেটাও আমি বলে দিচ্ছি। কোন মুদির দোকানেও পেতে পারেন বা কোন ডাক্তারের দোকানে গেলেও পেতে পারেন। এটার মূল্য মাত্র ১০/- টাকা।

 

 

ক্লান্ত হওয়ার পর খাবেন তাহলেই আপনি এর গুনাগুণ সহজেই বুঝতে পারবেন। বোল্ড খাওয়ার নিয়মটা হলো ১ গ্লাস পানিতে পুরা পেকেটের গুড়া ডেলে নিয়ে কিছুক্ষন নাড়াতে থাকেন। তারপর সম্পূন্নটা খেয়ে ফেলেন। দেখেন ফলাফল কি আসে ভালো না কি খারাপ৷

 

পুরো Post পড়ার জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। আমার Post পড়ে যদি কাহারো কোন প্রকার খারাপ লেগে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন এই কামনাই করি

 

—————খোদা হাফেজ ———

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন