শিশুদের সামনে যা করবেন না

    শিশুদের সামনে যা করবেন না

শিশুরা হচ্ছে আল্লাহর তায়ালার রহমত ,পবিত্র আত্মা, নিষ্পাপ , অবুঝ, মায়াবী । শিশুরা, কোমলমতি বলতে তারা শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই কোমল , তাদের সামনে যা করা হবে বা বলা হবে তারা তা কপি করে নেই অর্থাৎ নকল করে নেয় , তাই তাদের সামনে যেকোনো আচরণ এবং যেকোনো ধরনের কথা বার্তা বলা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত । কিন্তু আমরা সচরাচর একাজগুলো করিনা বরং আমরা বিভিন্ন গালি গালাজের শব্দগুলো তাদের সামনে উচ্চারণ করি , তাদের সামনে স্বামী -স্ত্রীর ঝগড়া ঝাটি করে থাকে , তাদের সামনে অশালীন কাজ এবং তাদেরকে ধমকানো ,মারধরসহ আরো অনেক কাজগুলো করেথাকি । আসলেই আমরা এসব বিষয়ে জানিনা যে ,শিশুদের সামনে আমাদের কেমন আচরণ করা দরকার ।

শিশুরা পবিত্র আত্মা। তাদের মন ও পবিত্র। তাই তাদের সামনে কিছু কাজ বাবা -মা এমনি পরিবারের করোরই করা উচিত নয়। শিশুদের শুধু  আদর -যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করবেন।তবে তাদের মাঝে কপি করার প্রবনতা অনেক বেশি আছে। সত্য বলতে তারা কপি করেই তো শিখে থাকে, তাই সাবধান থাকা বাঞ্চনীয়।

যে যে বিষয়গুলো শিশুর সামনে করবেন না, তা নীচে দেয়া হলো–

★শিশুর পিতামাতা হিসেবে আপনারা আপনাদের প্রেমের  সময়টা একটু গোপন করবেন যেনো শিশুরা সেই বিষয়টা টের না পেয়ে যায়। আপনারা হয়তো জানেন না শিশুরা সব কথা বলে বেড়ায় বা বলার সম্ভাবনা থাকে বেশি। আর তাই আপনারা সাবধান থাকবেন।শিশু একটু বড় হলেই তাদের আলাদা রাখার ব্যবস্হা করবেন। এটা করা জরুরী কাজ বলে মনে হয় আমার।

★শিশুদের সামনে কোনো ঝগড়া ঝাটি করবেন না। এতে তারা বিভিন্ন অপভাষা শিখে ফেলতে পারে অথবা তাদের মধ্যে মানসিক সমস্যারর সৃষ্টি হতে পারে। যা একটা শিশুকে তার স্বাভাবিকতাকে হারিয়ে ফেলতে সহায়তা করে থাকে।

★শিশুদের সামনে কাউকে মারধর করবেন না। এতে তারা ভয় পেয়ে থাকে আর তাদের মাঝে মানসিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অথচ আমরা এ বিষয় টা খেয়ালই করিনা , শিশুরা আছে কি না, অবশ্যই আপনারা এরপর থেকে সতর্ক থাকবেন।

★ শিশুদের কে কখোনো ধমক দিয়ে কথা বলবেন না। এতে তারা ভয় পায়। তারা যদি অপরাধ করে তাহলেও তাদেরকে স্নেহের সাথে একটু বুঝিয়ে বললেই তারা পরবর্তীতে আর ঐ কাজ করবেনা।

★ কখোনো আমরা দেখতে পায় শিশুরা মনেযোগ দিয়ে কিছু একটা কাজ করছে, আমাদের উচিত তাদের কে কাজটি করতে দেয়া, এতে তাদের মানসিক বিকাশ সাধিত হয়।

★তাদেরকে কোনো বিষয় জোর না করা বা দেয়া। এতে তারা ঐ বিষয়টিতে বার বার আগ্রহী হয়ে ওঠে।

এই বিষয় গুলো পালন করলে আপনার শিশু সুস্হ থাকবে আর স্বাভাবিক ভাবে গড়ে ওঠবে, সাথে তারা ট্যালেন্ট  হয়ে উঠবে।সুস্হ থাকুন, ভালো থাকুন।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শিক্ষিত মানুষের অভাব । এখানে জন্ম বৃদ্ধির হার অনেক । এখানে একটা শিশুকে পালন করার জন্য কোনো নিয়ম কানুন নেই ,নেই কোনো সরকারি সহযোগিতা । তাছাড়া একেকজনের দশ – বারেটার মতো সন্তান সন্ততি আছে ,এখানে সরকার চাইলেও সহযোগিতা করতে পারবেনা । আর তাই একেকটা পরিবার তাদের সন্তানদের অযত্নে ই লালন পালন করে ,এতে তাদের ব্রেইন এর বিকাশ স্বাভাবিক হয় না এবং তাদের অধিকাংশ অপুষ্টি তে বড় হয় ।

তাছাড়া ও আমাদের দেশে শিশুদের দিয়ে শ্রমিকের কাজ করানো হয় , তারা যদি ঠিক মতো কাজ না করে তাহলে তাদের উপর শারিরীক অত্যাচার করা হয় এমনকি তাদের হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে ।

 আর ছোট ছোট মেয়ে শিশুরা তো ধর্ষণের শিকার হচ্ছে । তাদেরকে ধর্ষণের পর মেরে ফেলা হচ্ছে । এসব তো আজকাল এর নিত্য দিনের খবর হয়ে দাড়িয়েছে ।

  

Related Posts