চাকরিপ্রার্থী বেকার যুবকদের কোটা সংস্কার আন্দোলন, কিশোরদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, পানি সমস্যা, দূষন সমস্যা, গ্যাস সমস্যা বা ধর্ষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সহ জনগনের এসব যৌক্তিক আন্দোলনগুলো যখন হয় তখন সহিংসতা ঘটার আগেই জনগনের সাথে বসে সরকার প্রধান ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিগন কেন সমাধানের পথ বের করে না? গনতান্ত্রিক দেশে তো সেই প্রাকটিসটাই হওয়া উচিৎ। এধরনের আন্দোলন নিয়ে যখন জনগন রাস্তায় নেমে আসে তখন সরকারের উচিৎ সংসদ অধিবেশনের অপেক্ষায় বসে না থেকে সরাসরি জনগনের সাথে বসা। ধরুন, কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সরকার সরাসরি চাকরিপ্রার্থীদের সাথে বসতে পারতো। কিংবা নিরাপদ সড়কের জন্য বাচ্চারা যে আন্দোলন করছে তা নিয়ে কালক্ষেপণ না করে সবাইকে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ডেকে সমন্নিত সিদ্ধান্তে আসতে পারতো, এসব বড় বড় মাঠগুলোকে জাতীর জাতীয় গণসংসদ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারত, আর এর চেয়ে মহান সংসদ আর কি হতে পারে। ৩৫০ জনের চেয়ে কি ৩০০০৫০ জনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া কি বেশি গনতান্ত্রিক নয়? অথচ সেই সোহরাওয়ার্দি উদ্যান এসব কাজে ব্যবহৃত না হয়ে রাজনৈতিক মহাসমাবেশে ব্যবহৃত হয়।
জনগনের সিদ্ধান্ত জনগনকেই নিতে দেওয়া উচিৎ, সরকার এখানে মধ্যস্ততাকারি বা বাস্তবায়নকারি সংস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে, গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এটাই হওয়া উচিৎ। এতে সরকারের ভাবমুর্তিও সমুন্নত থাকতো আর সরকারের প্রতি আস্থাও থাকতো। কিন্তু এটা বাস্তবায়ন করা যাবে না, কারন এভাবে দেশ চালালে দেশ কল্যানমুলক রাষ্ট্র হবে ঠিকই কিন্তু দেশে কোনো রাজনীতি থাকবে না। আর সরকার প্রধান বা মন্ত্রিও কেউ হতে চাইবে না।
কিশাের অপরাধের প্রভাব ও প্রতিরােধ
বাংলাদেশে কিশােররা সাধারণত যেসব অপরাধ করে তার মধ্যে রয়েছে চুরি, পকেটমার, বিনা টিকিটে রেলভ্রমণ; মানুষ, দোকানপাট, বাড়িঘর ও যানবাহনের উপর...