লাইফস্টাইল
স্বার্থপর বন্ধু চিনার উপায়

✮ প্রথমে সেই মানুষের মনে যা চায় সে সম্পর্কে আগ্রহ জাগিয়ে তোলা। এ কাজ যে করতে পারে সারা দুনিয়া তার সঙ্গে থাকবে। আর যে না পারবে তাকে একাই চলতে হবে।
✮ আপনি কোথাও নিজেকে এমনভাবে প্রকাশ করবেন না যেন কেউ বলতে না পারে আপনার মাঝে কিছু নেই। কারণ সস্তা দরের মানুষের সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না।
✮ কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে তার কাজকর্মের বেশি ভুল ধরবেন না। এতে সে আপনাকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবে।
✮ কারও সঙ্গে অযথা তর্কে জড়াবেন না। কারণ তর্কবাজ লোকদের সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না। তর্কের ফলে বন্ধুত্ব হারাতে হয়। তর্ক হলো দু’টি মনের লড়াই। অতঃপর এ কাজটি করা থেকে বিরত থাকুন।
✮ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিষ্টাচার হল গর্ব বা অহমিকা পরিহার করা। অসম মানসিক অনুভূতি সুসম্পর্কের অন্তরায়। যদি এক বন্ধু অপর বন্ধু অপেক্ষা নিজেকে বড় মনে করে তাহলে তাদের মধ্যে এক অদৃশ্য অসমতা বিরাজ করে। আর এই অসমতার ফলে অপরের সম্মান যেমন নষ্ট হয় তেমনি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এতটাই হালকা হয়ে পড়ে যে তা রাখা আর না রাখা একই সমান।
[the_ad_group id=”299″]
স্বার্থপর বন্ধু চিনার উপায়ঃ
স্বার্থপরতা বিভিন্ন রকমের হয়। কিছু কিছু স্বার্থপরতা এতই সূক্ষ্ণ যে হুট করে বুঝা যায় না, যদিনা এ বিষয়ে পূর্ব জ্ঞান না থাকে। তাই একজন স্বার্থপর ব্যক্তির বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া জরুরীঃ
✮বাস ভাড়া, ফটোকপির টাকা, খাওয়ার টাকা কিংবা এটা-ওটা বলে নানা রকম খরচ সবসময় বন্ধুর উপর চাপিয়ে দেয়াই এই ধরনের মানুষের বৈশিষ্ট্য। এঁদের আর একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সবসময় কৃত্রিম সমস্যা দেখানো। যা আদৌ সত্য নয় কিংবা অল্প হলে বাড়িয়ে বলা। এঁরা কখনো বন্ধুর আর্থিক ও পারিপাশ্বিক অবস্থার কথা চিন্তা করেনা। স্বার্থপরতা যে সকল বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে গঠিত এটা তার মধ্যে অন্যতম।
একজন ব্যক্তি যখন বন্ধুত্ব সম্পর্কে আবদ্ধ হয় এবং যদি এই ভালবাসাটা সত্যি হয় তখন উক্ত ব্যক্তি যুক্তি তর্কের বোধশক্তি হারিয়ে ফেলে। তখন তার কাছে ভালবাসার মানুষটিকেই অতি মূল্যবান মনে হয় এবং তার সমস্ত চিন্তা ভাবনার কেন্দবিন্দুতে ঐ ভালবাসার মানুষটিই অবস্থান করে। মোঘল সম্রাট হুমায়ুন এর একটি শের এরকম, ‘যুক্তির উপর হৃদয়ের অবস্থান।’ আর এই যুক্তি তর্কের উপর থাকা হৃদয়ের দুর্বলতার সুযোগ একতরফা ভালবাসার প্রেমিক-প্রেমিকারাই নিয়ে থাকে। এটা একতরফা ভালবাসা চিহ্নিত করার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়। মনে রাখবেন এই ধরনের বন্ধু বা বান্ধবী কখনোই আপনাকে ভালবাসে না; ভালবাসে তার প্রয়োজনকে। আপনার সামনে যে উষ্ণ ভালবাসার নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে তা প্রয়োজন মেটানোর জন্য। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে নাটকীয়তারও অবসান ঘটবে। মঞ্চের পর্দা নেমে যাবে; সেই সাথে আপনার চোখের পর্দা সরে যাবে। যদিও নাটক শেষ, সময়ও নেই, সেই সাথে অভিনেতা বা অভিনেত্রী লাপাত্তা।
✮কিছু স্বার্থপর ব্যক্তি এরকম যে সবসময় তারা চেষ্টা করেন আলোচনার সব বিষয়বস্তু নিজের দিকে টেনে আনতে। এঁরা সকলের মধ্য থেকে নিজেদেরকে বড় করার জন্য নানা রকম বড় বড় কথা বলেন। তাদের কথাগুলো নিজেদের ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক হয় যেন তার নিজের কোন ভুল থাকতেই পারে না।
✮লাজুক এবং শান্ত প্রকৃতির স্বার্থপর আগ বাড়িয়ে নিজেকে বড় করে দেখাতে আসে না এবং বেশি কথা বলে না। তবে যখন তাদের সঙ্গে কেউ কথা বলতে আসে এবং কম কথার মাঝে যে দু-চারটে কথাই তারা বলে, সে কথাগুলোর মাধ্যমে নিজেকে বড় করে জাহির করতে চেষ্টার কমতি থাকে না।
✮সফল না হলেও তারা নিজেকে সর্বদা নেতৃত্বের পর্যায়ে রাখতে তৎপরতা দেখায়। তাক লাগানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভন্ন রকম ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা এঁদের কৌশল। এমন কি এসকল লোকের সাথে তার ব্যাক্তিগত যোগাযোগের কথাও বলে থাকে বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়ার জন্য।
✮এক ধরনের স্বার্থপর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বকে জাহির করতে নানা রকম পছন্দের কথা বলে থাকে। বলে আমার ফেরারি গাড়ি খুব পছন্দ, ঐ দোকানের পোশাক তার পছন্দ, সে দামি দোকানের খাবার ছাড়া খায় না ইত্যাদি।
✮সব স্থানে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়ার একটা প্রবল তৎপরতা দেখায়। তারা নিজেকে অন্যের কাছে আকর্ষণ করতে শারীরিকভাবেও তৎপরতা দেখায়। যেমন: তারা বিভিন্ন স্টাইলের চুল, নখ প্রভৃতি দিয়ে অন্যের আকর্ষণের কারণ হতে চায়। সবার মধ্য থেকে ভিন্ন কোন কথা বা কাজ করার চেষ্টা করে যাতে সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
✮এক ধরনের স্বার্থপর এরকম যে তারা অন্যের সমালোচনা করলেও নিজেদের সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা।
✮এরা নিজেরা কাউকে সহজে বিশ্বাস করেনা। কারণ তাদের মানসিকতায় সবসময় প্রতারণার মনোভাব বিচরণ করে।
✮নিজেকে কখনো স্বার্থপর হিসেবে মনে করেনা। বরং বলে আমি তো ঠিকই আছি, তাহলে সবাই কেন আমাকে ছেড়ে চলে যায়?
স্বার্থপর বন্ধু কবিতা,
স্বার্থপর বন্ধু sms,
বন্ধুত্ব ও স্বার্থপরতা,
বন্ধুত্ব নিয়ে স্ট্যাটাস,
বন্ধুত্ব কি,
বেইমান বন্ধু উক্তি,
স্বার্থপর বন্ধু চেনার উপায়,
স্বার্থপর বন্ধু উক্তি,
প্রকৃত বন্ধু,
স্বার্থপর বন্ধু নিয়ে উক্তি
লাইফস্টাইল
বৃদ্ধি করুন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

প্রতিটি মানুষ আলাদা তেমনি প্রতিটি মানুষের কার্যক্ষমতা ও আলাদা।আজকাল প্রায়ই সকলের মাঝে একটা কথা খুবই শোনা যায়।
তা হল অনেকে সব কিছু ভুলে যায়। কোন সাধারণ ব্যাপার মনে থাকে না। আগে যাদের সব মনে থাকতো তাদের ও এই সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে।
এই সমস্যা অনেকে খামখেয়ালি করে। কিন্তু এই সামান্য সমস্যা থেকে হতে পারে অনেক বিরাট কিছু। তাই সময় থাকতে এখনি সতর্ক হওয়া খুবই বেশি জরুরি।
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা ঠিক তেমনি এদের অসুখ ও আলাদা। ঠিক তেমনি অসুখ সাড়ানোর ঔষধ ও আলাদা। আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা আমাদের খাবারের এর উপর নির্ভর করে। আমরা কি খাই,
কেমন ধরনের খাবার খাচ্ছি তা যেমন আমাদের শরীরের উপর প্রভাব ফেলে, তেমনি আমাদের মস্তিষ্কের উপর ও প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের মস্তিস্কের সুস্থতা নিশ্চিত করতে আমাদের কিছু ডায়েট অনুসরণ করা উচিত।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ডায়েটসমূহ:
১. মাইন্ড ডায়েট : এই ডায়েট সাধারণত ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বার্ধক্য জনিত কারনে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এই ডায়েট ডায়বেটিক, রক্তচাপ, হার্ট এর বিভিন্ন রোগের আক্রমণ এর ঝুঁকি কমায়।
২.মেডিটেরিয়ান ডায়েট : মেডিটেরিয়ান ডায়েট মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিচে মেডিটেরিয়ান ডায়েট এর কিছু দিক তুলে ধরা হল :
- প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি এবং শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- এছাড়া খাবারে আমিষ জাতীয় খাবার রাখতে হবে।
- রেড মিট বা লাল মাংশ পরিহার করতে হবে।
- মিষ্টি, জাংক ফুড এবং তেলে ভাজা জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
৩. ড্যাশ ডায়েটঃ ড্যাশ ডায়েট এমন একটি ডায়েট প্রক্রিয়া যা শুধু সুস্থ মানুষের রক্তচাপ কমায় না বরং উচ্চ রক্তচাপ এ আক্রান্ত রোগীর ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
নিচে এই ডায়েটের উপকারী দিক তুলে ধরা হল :
- ১.এই ডায়েট উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট এর রোগ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- এই ডায়েট অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- এই ডায়েট ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা পালন করে।
এখন জেনে নেওয়া যাক এসকল ডায়েট এর মূল উদ্দেশ্য কি কি :
- প্রচুর পরিমানে ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
- প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেড যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- অতিরিক্ত লবন এবং চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
- চর্বিহীন মাছ মাংস খেতে হবে।
তাছাড়া মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করতে বাদাম খুবই উপকারী একটি জিনিস। বাদাম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি মানুষের উচিত বাদাম খাওয়া। তাছাড়া আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিয়মিত ৭ টি বাদাম খাবেন। এটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে খুবই উপকারী একটি জিনিস।
এসকল ডায়েট অনুসরণ করার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। ব্যায়াম আপনাকে শারিরীক এবং মানুষিক ভাবে সুস্থ রাখবে।
এছাড়াও আপনি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত দাবা খেলতে পারেন। মস্তিষ্ক মানব শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে উপরের ডায়েট অনুসরণ করতে হবে।
লাইফস্টাইল
রুক্ষ শীতে চুলের যত্ন

শীতকাল সকলের অতি প্রিয় একটি ঋতু। কিন্তু এই শীতকালে ঝামেলা পোহাতে হয় অনেক বেশি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় চুল। শীতকালে বাতাসের আদ্রতা কমে যায়। আবহাওয়া হয়ে যায় শুষ্ক ও রুক্ষ। তাই আমাদের চুল হয়ে যায় রুক্ষ। পাশাপাশি বাইরের ধুলাবালির প্রভাব আমাদের চুলের উপর পরে সবচেয়ে বেশি। যার ফলে খুশি থেকে শুরু করে নানা ধরণের চুলের সমস্যা দেখা যায়। তাই চুলের যত্নের জন্য কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো: ১.শীতকালে চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সপ্তাহে তিন দিন চুলকে গরম তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে। ২ এছাড়া চুলের যত্নে তেলের সাথে কেস্টার অয়েল একসঙ্গে গৰম করে দিতে পারেন। ভিটামিন এ কেপসুল ভেঙে বা ডিমের কুসুম মিশিয়ে লাগাতে পারেন। ৩.শীতকালে চুলের আগা ফেটে গেলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং যা চুল বৃদ্ধিতে সমস্যা করে থাকে।তাই ওই ভঙ্গুর আগা যতসম্ভব কেটে ফেললে চুলের বৃদ্ধি তে আর কোনো ধরণের সমস্যা থাকবেনা। ৪.রাতে ঘুমানোর আগে যথাসম্ভব চুল আঁচড়িয়ে হালকা করে চুল বেশে ঘুমাবেন। এতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ঘুমানোর জন্য যথাসম্ভব সিল্কের বালিশের কাভার ব্যবহার করবেন। ৫.শীতকালে খুশকির সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই চুলের যত্নে এক মুঠো জবা পাতা এবং সমপরিমাণ মেহেদী পেস্ট জোরে সাথে ১ টেবিল চামুচ লেবুর রস ভালোভাবে লাগাতে পারেন। ৬.চুলে শীতকালে উন্নত ৩ দিন মাথায় তেল ব্যবহার করুন। ৭.চুলে ধুলোবালি হাত থেকে বাঁচাতে বাইরে বের হবার আগে ছাতা অথবা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। ৮.শীতকালে মেহেদী পরিহার করুন। আপনার চুলের সাথে মানানসই কোনো শ্যাম্পো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ৯.চুলের যত্নে প্রচুর পরিমানে পানি ,সুষম খাবার খান। ১০ তাছাড়া মানুসিক চিন্তা চুল পড়ার কারণ হতে পারে। তাই যথাসম্ভব মানুষিক চিন্তা মুক্ত থাকবার চেষ্টা করুন।
You must be logged in to post a comment Login