আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন?
আশা করি ভালো আছেন।
আমিও ভালো আছি।
আজকে আপনারা আমার এই পোস্ট টে ২০২১ সালের সরকার যে অ্যাসাইনমেনন্ট প্রদান করেছে তার ৩য় সপ্তাহের ৭ম শ্রেণি র গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
তো আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক-
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ –
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে ও বিদ্যালয়ে যাওয়া তোমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অবসর সময় আনন্দ পাওয়ার জন্য তুমি বাড়ির আঙিনা বা ছাদে বাগান করার সুযোগ পেলে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা নিচের ছক ও বিবেচ্য বিষয় অনুসরণ করে একটি ধারণাপত্র তৈরি কর।
বিবেচ্য বিষয় –
১. বাগানে তুমি কি কি গাছ লাগাতে চাও?
২. বাগান করতে তুমি কি কি সম্পদ ব্যবহার করবে?
৩. এ কাজের মাধ্যমে তুমি কিভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছো?
ধাপ করনীয় কাজ
১.পরিকল্পনা
২. সংগঠন
৩. নিয়ন্ত্রণ
৪. মূল্যায়ন
★শিরোনাম- গৃহ ব্যবস্থাপনার স্তর ও গৃহ সম্পদ।
বর্তমানে যেহেতু কোভিড পরিস্থিতিতে আমার বাহিরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই এই সময়টাকে আমি কাজে লাগাতে চাই। আমার মনের আনন্দ লাভের জন্য আমি আমার বাড়ির আঙিনায় একটি বাগান করতে চাই। পারিবারিক লক্ষ অর্জনের জন্য আমাদের যে সম্পদ আছে তার ব্যবহার পরিকল্পনা, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন করাকে এক কথায় গৃহ ব্যবস্থাপনা বলে। গৃহ ব্যবস্থাপনার স্তরগুলো চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
পরিকল্পনা – গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ হলো পরিকল্পনা প্রণয়ন। পরিকল্পনাকে অনুসরণ করলে পরবর্তী কাজগুলো সহজ হবে। আমি যেহেতু বাগান করতে চাই তাই আমার অবশ্যই একটা প্রয়োজন হবে। যেমন: আমি কোথায় বাগান করব? বাগান করার সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।
সংগঠন-
পরিকল্পনামতো বিভিন্ন কাজের সমন্বয় করার নামই হলো সংগঠন। আমার বাগান তৈরি করার আগে আমি কি কি সম্পদ ব্যবহার করব তা ঠিক করব। যেহেতু এটা করতে গেলে আমার অন্যদের সাহায্য দরকার হবে।
নিয়ন্ত্রিত – পরিকল্পনাকে বাস্তবে রুপ দেওয়া ও সংগঠনের বিভিন্ন ধারা কে কার্যকর করে তোলা কে নিয়ন্ত্রন বলে।গৃহ ব্যবস্থাপনার তৃতীয এই স্তরটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পনায় যত ভালোই হয়েছে কি তা বাস্তবায়ন না করা যায় তবে কখনোই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। নিয়ন্ত্রণ স্তর এর কয়েকটি পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে কাজপ সক্রিয় হওয়াকে বোঝায়।অর্থাৎ কি কাজ করতে হবে এবং কিভাবে তা করতে হবে তা জানা থাকলে কাজ শুরু করা সহজ হয়। দ্বিতীয় য পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি লক্ষ করা যায় অর্থাৎ কাজটি নিদিষ্ট সময়ে শেষ হবে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখাবো তৃতীয় পর্যায়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মিলিত পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
বাগান তৈরীর মাধ্যমে আমি কিভাবে লাভবান হতে পারি তা নিচে বর্ণনা করা হলো –
বাগান তৈরি করলে ঘরে বসে বসে থাকার ক্লান্ত দূর হবে। এছাড়াও বাগানের ফুল, ফল ও গাছপালা মানসিক প্রশান্তি দেবে। বাগানে লাগানো ফলগুলো বিভিন্ন ঋতুতে সুমিষ্ট ও স্বাস্থ্যকর ফল দেবে তার পরিবারের সদস্যদের পুষ্টির চাহিদা মেটাবে।
মূল্যায়ন-
গৃহ ব্যবস্থাপনার শেষ স্তরটির নাম হল মূল্যায়ন।কাজটি সম্পন্ন হওয়ার পর ফলাফল যাচাই করার নামই হলো মূল্যায়ন। কাজটি সটিক করতে পারল কি না তা মূল্যায়নের মাধ্যমে জানা যায়। লক্ষে সফলতা আসে আর না হলে তার কারণ খুঁজে বের করে তা সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
আশা করি আপনারা পোস্ট টি দ্বারা উপকৃত হয়েছেন।
পোস্ট টি ভালো লাগলে অন্যদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
বুজতে কোনো অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।