আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আজকে আমি আপনাদের বলতে যাচ্ছি অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড একাউন্ট সম্পর্কে ও কিভাবে তা খুলতে হবে। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
অগ্রণী ব্যাংক হলো বর্তমানে সবচেয়ে বড় ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি টাকা রাখার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ও সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংকগুলোর একটি।
ডিপিএস কি?
অগ্রণী বা যেকোনো ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য বিভিন্ন ধরণের স্কিম থাকে সেসকল স্কিমের মধ্যে অন্যতম একটি হলো DPS (ডিপিএস)। ডিপিএস এর পূর্ণ অর্থ হলো ডিপোজিট পেনশন স্কিম। এটি একটি আর্থিক সঞ্চয় স্কিম যা মাসিক হিসেবে ব্যাংকে জমা দিতে হয়।
একটি ডিপিএস একাউন্ট খোলার পর তাকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখতে হয়। তারপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেই টাকা ম্যাচিউর হয় এবং তারপর টাকাগুলো উইথড্র করা যায়।
অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট
অগ্রণী ব্যাংক পেনশন স্কিম (APS): এতি অগ্রণী ব্যাংকের মূল ডিপিএস স্কিম। এই স্কিমে আপনার টাকা ৫ বছর কিংবা ১০ বছর রাখতে হবে। ৫ বছরের ক্ষেত্রে বার্ষিক মুনাফার হার ৭% ও ১০ বছরের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ৯%। আপনাকে প্রতি মাসে এক হাজার থেকে দশ হাজারের মধ্যে জমা রাখতে হবে। এক হাজারের গুণিতক হতে হবে।
ধরেন আপনি প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ বছরের জন্য ডিপিএস খুলবেন৷ সেক্ষেত্রে আপনার মোট মূলধন হবে ১২০×৫০০০ = ৬০০০০০ টাকা (ছয় লক্ষ টাকা)। আর মুনাফা পাবেন প্রায় ৫৪০০০ টাকা। অর্থাৎ আপনি মোট পাবেন ৬৫৪০০০ টাকা।
লাখপতি স্কিমঃ এই স্কিমের নিয়ম হচ্ছে স্কিম ম্যাচিউর হলে মোট এক লক্ষ টাকা পাবেন। এটিও একটি ডিপিএস টাইপ স্কিম। এই স্কিমে আপনার টাকা ৩ বছর বা ৫ বছরের জন্য রাখতে হবে। ৩ বছরের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিমাসে ২৭০০ টাকা করে রাখতে হবে ও এক্ষেত্রে মুনাফার হার ৫%। অপরদিকে ৫ বছরের স্কিমে আপনাকে প্রতি মাসে ১৬০০ টাকা দিতে হবে৷ মুনাফার হার ৫.৫%।
মিলিয়নিয়ার স্কিমঃ এই স্কিমের নিয়ম হচ্ছে স্কিম ম্যাচিউর হলে মোট এক লক্ষ টাকা পাবেন। এটিও একটি ডিপিএস টাইপ স্কিম। এই স্কিমে আপনার টাকা ৫, ৭ বছর বা ১০ বছরের জন্য রাখতে হবে। ৫ বছরের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিমাসে ১৪৯০০ টাকা করে রাখতে হবে ও এক্ষেত্রে মুনাফার হার ৫.০৬%। অপরদিকে ৭ বছরের স্কিমে আপনাকে প্রতি মাসে ১০১০০ টাকা দিতে হবে৷ মুনাফার হার ৫.২৮% এবং ১০ বছরের স্কিমে আপনাকে প্রতি মাসে ৬৫২০ টাকা রাখতে হিবে। মুনাফার হার ৫.৪৮%
অগ্রণী ব্যাংকে ডিপিএস চালু করার উপায়
অগ্রণী ব্যাংকে একটি ডিপিএস একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে তাদের যেকোনো ব্রাঞ্চে যেতে হবে। তারপর ওখানে থাকা অফিসারই আপনাকে সব বলে দিবে। যদিও আমি বলে দিচ্ছি কি কি লাগবে ও কি কি তথ্য দিতে হবে।
কি কি লাগবে?
১. আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি।
২. আপনার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি।
৩. আপনার নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি।
৪. আপনার নমিনির ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি।
কি কি তথ্য দিতে হবে?
১. যে ব্যক্তির নামে ডিপিএসটি খোলা হবে সে ব্যক্তির নিজের নাম।
২. তার পিতা বা স্বামীর নাম।
৩. বর্তমান, স্থায়ী ঠিকানা ও জন্মসাল
৪. জাতীয়তা
৫. টিআইএন (TIN)
তার পাশাপাশি যে কয় টাকার মাসিক হিসেবে ডিপিএসটি খুলবেন সেই টাকার পরিমাণ (১ হাজার বা তার গুণিতক)।
অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়মঃ
অগ্রণী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবেঃ
১. একাউন্ট খোলার ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করা।
২. সত্যায়িত গ্রাহকের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি।
৩. গ্রাহক কর্তৃক সত্যায়িত নমিনির ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৪. নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্ট বা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।
৫. টিআইএন (যদি থাকে)।
৬. ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে প্রাথমিক জমা দেওয়া।
তো আজকের জন্য এতটুকুই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনায় আজকের জন্য বিদায় জানাচ্ছি। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।