অতিরিক্ত ওজন নয় সুস্থ থাকায় একটি শিশুর মুখ্য বিষয়

আমাদের সমাজের সব মায়েদের মুখে একটি অভিযোগ প্রায় এ শোনা যাই যে “আমার বাচ্চা একদম খেতে চায়না” | যেসব বাচ্চারা খাই এবং যেসব বাচ্চারা খায় না তাদের সবাইকে একই কথা বলতে শুনা যায় |
কিন্তু অনেক মায়েরাই জানেন না যে একটি বাচ্চার খাবার খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমান আছে | তাদের পাকস্থলী একটি নির্দিষ্ট পরিমান পর্যন্তই খাবার গ্রহণ করতে পারে | আপনি আপনার বাচ্চাকে জোর করে করে খাবার দিতে দিতে একসময় তার খাবার খাওয়ার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে যায় | বাচ্চাদের মস্তিস্ক থেকে একটি সিগন্যাল আসে যেটি দ্বারা সে বুঝতে পারে সে আর খাবার কতটুকু খাবার গ্রহণ করতে পারবে | কিন্তু অনেক মারাই জোর করে করে বাচ্চাদের খাওয়াতে খাওয়াতে একসময় বাচ্চাদের মস্তিষ্কের সেই সিগন্যালটি কাজ করা বন্ধ করে দেয় | এবং ওই বাচ্চাগুলা একসময় কতটুকু খেতে হবে সেটি বুঝতে না পেরেই খেতে থাকে এবং তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণের নাইরে চলে যায় |

বাচ্চাকে কখনো খাবার নিয়ে জোরাজুরি করবেন না ও যতটুকু খেতে চায় ঠিক ততটুকুই খেয়ে দিন | সে যা খেতে পছন্দ করে তাই খেতে দিন | অনেক সময় বাচ্চারা মাছ মাংস খেতে না চাইলেও খাবার খেতে খুব পছন্দ করে | তাকে মাছের কাবা অথবা মাংসের কাবাব করে দিতে পারেন | এই বিষয়টি আপনি সবজির ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করতে পারেন যেমন কলার কাবাব , সব সবজি মিলিয়ে পাকোড়া এমন কিছু তাকে তৈরী করে দিতে পারেন |

অনেক বাচ্চারা ভাত না খেলেও ফল খেতে খুব পছন্দ করে তাকে সেটাই খেতে দিন | বিভিন্ন ফলের জুস করেও তাকে খেতে দিতে পারেন | আইসক্রিম খেতে চাইলে তাকে তাই খেতে দিন এতে আইসক্রিম তা দুধ দিয়েই তৈরী তবে পরিমান মতো যেন তার ঠান্ডা লেগে না যায় |

খাবার নিয়ে জোরাজুরি করে কখনোই বাচ্চাদের মনে খাওয়ার বেপারে ভীতি তৈরী করবেন না | ৬ মাস বয়স থেকেই বাচ্চাকে বাড়তি খাবার দেয়ার পাশাপাশি নিজ হাতে খেতে দিন | সাদা ভাত বাটিতে করে তার সামনে দিয়ে রাখুন | সে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাই খাক কিন্তু এতে সে নিজের হাতে খাওয়া শিখবে |

যখন বাচ্চা চাবানো শিখবে তখন তাকে নরম খাবার গিলাবেন না এতে তার মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে | তাকে তখন যে কোনো খাবার চাবিয়ে খেতে দিন |

বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় অতিরিক্ত ওজনের জন্যই বাচ্চারা অসুস্থ থাকে বেশি | বাচ্চাকে তার মতন থাকতে দিন | তাকে খেলতে দিন সারাদিন কোলে নিয়ে রাখবেন না | ক্ষুধা লাগলে সে নিজের থেকেই এসে খেতে চাবে |

মনে রাখবেন একটি বাচ্চার সুস্থ থাকাটাই মুখ্য বিষয় ওজন নয় |

Related Posts

6 Comments

  1. ব্রডব্যান্ড রাউটারে পিং এবং স্পিড সমস্যার সমাধান। https://grathor.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a1%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%82/

মন্তব্য করুন