Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ক্ষতি

অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের লক্ষণ বলতে, হৃৎপিন্ড এলোমেলো ভাবে চলা বা থেমে যাওয়া কে বুঝায়। তবে এটি কোন সমস্যা সৃষ্টি করেনা, কিন্তু বেশকিছু অনিয়মিত হৃদস্পন্দন মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে।
একজন সুস্থ মানুষের হৃদপিন্ড স্বাভাবিক অবস্থায় একটি সুন্দর তালে চলে, এই তালকে হৃদস্পন্দন বলে। হৃদপিন্ডের এই সুন্দর তাল যখন এলোমেলো হয় ( বেশি বেশি বা কম কম স্পন্দন ) তাকে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বলে। মনব দেহে পরিচালনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি হল রক্ত। হৃদপিন্ড তার সঠিক স্পন্দনের মাধ্যমে সমগ্র শরীরে পরিমান ও সময় মত রক্ত সঞ্চালন করে। যার দরুন শরীর সুস্থ থাকে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যহত হয়ে শরীর অসুস্থ হয়ে পরে। শুধু অসুস্থ নয় মৃত্যু ঝুকিও থাকে। রক্ত সঞ্চালনে ব্যহত হওয়ায় মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড নিজে এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে মরে যেতে পারে। হৃদপিন্ডকে কে বকা হয় বায়োলজিক্যাল পাম্প, যাকে মেকানিক্যাল পাম্প হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। টিভিতে বা বিভিন্ন ভিডিওতে হৃদপিন্ডকে সংকোচন হতে দেখেছেন। এই সংকোচনকে হৃদস্পন্দন বলে। হৃদপিন্ড সংকোচনের মাধ্যমে রক্তনালীতে রক্ত সঞ্চালন করে।
* চার ধরনের অনিয়মিত হৃদস্পনদনই বেশি দেখা যায়ঃ-
১. প্রি ম্যাচুর/ড্রপবিট, যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই ধরনের অনিয়মিত হৃদস্পন্দনে নাড়িতে হঠাৎ করে একটি বিট মিস হয়ে থাকে, যা রোগী নিজেই অমেক সময় বুঝতে পারে। এই স্পন্দনকে বেশি ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়। ঘন ঘন স্পন্দন হলে বিভিন্ন ধরনের রোগের আভাস পাওয়া যায়৷ যেমনঃ র্দূবল লাগা, মাথা ব্যাথা, বুকে ব্যাথা অনুভব করা ইত্যাদি।
২. SAV ( Superaventricular Tachycardia ) এটি এক ধরনের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, এতে হঠাৎ হৃদপিন্ডের গতি বৃদ্ধি পায় যার জন্য মাথা ঘুরে, বুক ধড়ফড় করে, শরীর ঘেমে যায়, অস্থিরতা, শ্বাসকষ্ট, কখনও কখনও বুকে ব্যাথা অনুভব করা, এমনকি রোগী অঙ্গান হয়প যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
৩. ভ্যানট্রিকোলার অনিয়মিত হৃদস্পন্দনঃ- এটি দু ধরনের হতে পারে, ভ্যানট্রিকোলার টেকিকার্ডিয়া, ভ্যানট্রিকোলার ফিব্রিলেশন মারাত্মক ধরনের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন যার জন্য মানুষ প্রায়ই মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। এসব রোগীর হার্টের সংকোচন-প্রসারণ এত দ্রুত ও এলোমেলো হয় যে হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালন ব্যর্থ হয় হয়। যার ফলে রোগীর খিচুনি হতে অঙ্গান হয়ে যায়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুবরন করেন রোগী।
৪. ব্রেডিকার্ডিয়াঃ- হৃদপিন্ডের গতি কমে যাওয়া হৃদপিন্ডের স্পন্দন বা নাড়ির গতি প্রতি মিনিটে ৬০ বার এর কমে আসাকে ব্রেডিকার্ডিয়া বলে। এটি হার্ট এ্যাটাকের অন্যতম কারণ। উৎসর্গ হিসেবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, মাথা ঘোরা, খুব দূর্বল অনুভব হওয়া, মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার উপক্রম হবে।
চিকিৎসাঃ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি মেডিসিমের মাধ্যমে সুফল পাওয়া যাবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি বিভিন্ন নিয়ম মাফিক চললে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন কমানে সম্ভব।

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No