অনেক ভালোবাসি তোমায় আমি বন্ধু

একটা মেয়ে একটা ছেলেকে অনেক ভালোবাসত ।ছেলেটির নাম ইমন ।ইমন অনেক ধনী ছিল ।তার যখন যা মন চায় তাই করত । মেয়েটির নাম ছিল। কনা ।কনা খুবই সাধারণ ঘরের মেয়ে ছিল ।কনার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া ।প্রথম দেখায় ইমনকে কনার ভালো লেগেছিল । ইমনর কনাকে দেখে নেশা ধরে যায়। ইমন কনাকে বলে সে তাকে অনেক ভালোবাসে ।
কনা প্রথম বিশ্বাস না করলে এক সময় তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় ।কিন্তু কনা জানত না ইমন তাকে ভালোবাসে না ‌। ইমনকনাকে মিথ্যা বলে বারবার ফাঁদে ফেলত ।

কনা বুঝেই না বুঝার ভান করে ইমনের সাথে সুন্দর করে কথা বলত ।ইমন অনেক মেয়ের সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করত ।
কনার পরিবার যখন জানতে পারল তাদের সম্পর্কের কথা প্রথমে না মানলে পরে যখন জানতে পারল ইমন অনেক ধনী তখন তার‌ বাবা মেনে নিল ।

কনারবা ইমনের বাবার কাছে পুরো ঘটনা খুলে বললো । তখন ইমনের বাবা ইমনের উপর অনেক রাগান্বিত হলেন  ।ইমনকেঅনেক কিছু বললেন এবং ইমনের বাবা  কনাকেবি করার আদেশ দিলেন ইমনকে ।ইমন তার বাবার কথার উত্তর না দিয়েই চলে গেল ।
ইমনের বাবা তখন দীর্ঘশ্বাস ফেললেন ।ইমনের বাবা একটা পরিকল্পনা করলেন ইমন বাড়ি থেকে বের হয়ে কনাকে কল দিল এবং তাকে অনেক গালাগালি করল ।

কনা ইমনের কথায় অনেক কষ্ট পেল ।কনা ঠিক করলো সে আর কোনোদিন ইমনের সাথে কথা বলবে না ।পরেরদিন ইমনের বাবা ইমনকে বললো যদি ইমন কনাকে বিয়ে না করে তাহলে সে ইমনকে ত্যাজ্য করবে । অবশেষেকনা আর ইমনের বিয়ে হয়ে গেল ।
বিয়ের রাতেই ইমন কনাকে বললো যে সে তাকে কখনোই স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবে না ।একথা বলে ইমন তার ঘর থেকে বের হয়ে নেশা করতে চলে গেল ।
কনা অনেক কান্না করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেছে সে নিজেই জানে না ।ইমনের বাবা ইমনকে রাতে ঘর থেকে চলে যেতেই দেখেই কিছু বলেনি । ইমন নেশা করে কনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গোসল করতে চলে যায় ।

কনা সকালে উঠে নাস্তা তৈরি ‌করে ইমন বাবা কনার রান্নার সুনাম করতে দেখে ইমন কিছু না খেয়েই চলে যায় ।কনার অনেক খারাপ লাগে তবুও সে কিছুই বলেনি ।

ইমনের বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে কনার ভাব হয়ে গেছিল । সে তার সাথে গল্প করত ।মন খারাপ হলে বাবার সাথে ফোনে কথা বলত ।কিন্তু সে তার বাবাকে তার কষ্টের কথা ‌কিছুই বলত না । ইমন‌ প্রতিদিন নেশা করে রাতে বাড়ি ইমন প্রতিদিন নেশা করে বাড়ি ফিরত।

একদিনই তার এক গার্লফ্রেন্ড রোনাকে নিয়ে নেশা করে রাতে বাড়ি ফিরল এবং কনাকে জেলাস করার জন্য তাকে দেখিয়ে রোনার সাথে ডান্স করল এবং রোনার অনেক প্রশংসা করল কনাকে ঘর থেকে বের করে দিল।

কনা অনেক কান্না করতে করতে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়ল । ইমন কনার কান্নার আওয়াজ যখন শুনতে পেল না।তখন বারান্দায় এসে কনাকে ঘুমাতে দেখে কনার মুখটা দেখে কনার জন্য মায়া হলো তখন কনাকে কোলে তুলে বিছানায় শুয়ে দিলো।ইমন ও কনার পাশে শুয়ে পড়লো। ইমনের বাবা দূর থেকে দেখে মুচকি হেসে চলে গেলেন।

সকালে কনা কিছু বোঝার আগেই ইমন উঠে চলে যায়। কনা মনে মনে ভাবলো সে তো বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল সে কীভাবে বিছানায় আসলো।
ইমনের বাবার ডাকে সে এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসলো। কনা ইমনের বাবার কাছে গেলো। ইমনের বাবা কনাকে বললেন ইমনকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য। কনা ইমনের বাবাকে বললো ‌যে সে যেভাবেই হোক ইমনকে সঠিক পথে নিয়ে আসবে। ইমনের বাবা কনার কথায় অনেক খুশি হলেন।
কনা রান্না করার জন্য রান্না ঘরে চলে গেল। ইমন কী কী খেতে ভালোবাসে তা কাজের মেয়ের কাছ থেকে জেনে নিলো। ইমন সারাদিনের মাঝে একবার ও বাড়ি আসলো না। কনা ইমনের জন্য অনেক অপেক্ষা করেও যখন ইমন এলো না।

তখন কনা সোফায় শুয়ে পড়লো। রাত ১২ টার দিকে ইমন এসে খেতে চাইলে কাজের মেয়ে খেতে দেয়।ইমন কনাকে না দেখে কাজের মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে কনা কোথায়। মেয়েটি বলে মেমসাহেব অনেক অপেক্ষা করে না খেয়েই ঘুমিয়ে পরে। ইমন তখন মনে মনে বলে বোকা মেয়ে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে যদি শরীর খারাপ হয় হোক তাতে আমার কি। ইমন কিছু খাবার নিয়ে রুমে চলে গেল এবং কনাকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করতে লাগলো।

কনা ঘুমের ঘোরে ইমনকে জরিয়ে ধরলো। ইমন প্রথম অনেক চেষ্টা করলো কনাকে নিজের থেকে ছাড়ানোর জন্য কিন্তু কনা ইমনকে যেনো ছাড়বেই না। অবশেষে ইমন‌ কনাকে জরিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। সকালে কনা ঘুম থেকে উঠে দেখে ইমন তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে।

কনা নিজেকে ছাড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে ওয়াসরুমে চলে যায় এবং ইমনের কথা ভাবতে থাকে। অপরদিকে ইমন ঘুম থেকে উঠে দেখে কনা নেই তারপাশে ইমন তখন ভাবতে থাকে যে কনা কি তাকে তার সাথে বিছানায় শুতে দেখেছে এসব ভাবতে ভাবতে যখন ওয়াসরুমে প্রবেশ করতে যাবে তখনই কনার সাথে ধাক্কা লাগে কনা নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই কনাকে জরিয়ে ধরে।

কনা ইমনকেক ইমনকে ছাড়ানোর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো।ইমন কনাকে বলল আমি কি এতটাই খারাপ যে আমার দিকে তাকাতেই তোমার খারাপ লাগছে। কনা কিছুই বলল না শুধু শুনলো। ইমন তখন বলল কিছু বলছি শুনতে পাচ্ছনা না কি শুনেই না শোনার ভান করছ।

কনা বলল আপনার সাথে কথা বলতে আমার ভালো লাগছে না।ইমন কনাকে থাপ্পড় মেরে বললো তোর এত বড় সাহস তুই আমাকে দেমাগ দেখাচ।আজ তোকে মেরেই ফেলবো।কনাকে আবার মারতে যাওয়ার আগেই কনা কেঁদে ফেললো।ইমন কনাকে কাঁদতে দেখে আর মারলো না।

ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। কনা অনেকক্ষণ কেঁদে ঘর থেকে বের হয়ে রান্নাঘরে গেল। কাজের মেয়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলল হঠাৎ কাজের মেয়ে বললো আপু আপনি বাজারে যাবেন আমার সাথে কনা বলল না না আমি যাব না তোমার সাহেব রাগ করবেন মেয়েটি বললো কিছুই হবে না সাহেব বাড়িতে আসার আগেই চলে আসবো।

অনেকক্ষণ কনাকে জোর করার পর কনা রাজি হলো। বাজারে যাওয়ার পর একটা ছেলে কনাকে ফলো করলো এবং বাইক থেকে নেমে কনার সাথে কথা বললো ইমনের কিছুই ভালো লাগছিলো না তাই সে ভাবলো বাড়িতে গিয়ে একটু ঘুমাবে। বাজারে আসতেই হঠাৎ কনাকে দেখলো একটা ছেলের সাথে কথা বলছে।

তার অনেক রাগ উঠলো এবং সাথে সাথেই সে বাড়িতে চলে আসলো।সেই ছেলেটি কনাকে বলল যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি কি আপনার নাম জানতে পারি। কনা বলল
জি পারেন‌ আমার নাম কনা। ছেলেটি‌ বলল খুব সুন্দর নাম।

কনা বলল ধন্যবাদ আপনাকে আমার নামের প্রশংসা করার জন্যে।এই ছেলেটি কনাকে গেইটের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল। ইমন দূর থেকে সব দেখলো।কনা রুমে ঢুকতেই ইমন বললো কোথায় গিয়েছিলে।কনা ইমনকে ইগনোর করে চলে যেতে চাইলে ইমন কনার হাত ধরে ফেললো।

ইমন আবারও বললো কোথায় গিয়েছিলে বলো। কনা তখন বললো বাজারে গিয়েছিলাম। ইমন বললো আমার কাছ থেকে পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন মনে করলে না।কনা বললো না কে আপনি আপনার কাছ থেকে পারমিশন নিতে হবে ।

ইমন বললো যে আমি কে তুই চিনিস না। কনা বললো না চিনি না। ইমন বললো আমার কথা কেমনে মনে থাকবে তর এখন তো তোর প্রেমিক আছে। যার সাথে ঘুরে বেড়ানোর জন্য বাজারে গিয়েছিলে।কনা বললো আপনি  একজন লোক আপনার সাথে কথা বলার কোনো ইচ্ছা নেই। ইমন বললো তা থাকবে কেনো এখন তো শুধু তর প্রেমিকের সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করবে।কনা বলল হ্যাঁ ।ইমন তখন রেগে গিয়ে কনাকে বললো যদি আর কোনদিন দেখি ঐই ছেলের সাথে কথা বলছিস তাহলে তকে আমি মেরেই ফেলবো।

ইমন কনাকে শাসিয়ে যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছিল। তখন ইমনের বাবা ইমনকে ডাক দেয়। ইমনের বাবা ইমনকে বললেন ইমন কাল থেকে তোমাকে আমার ব্যাবসা সামলাতে হবে।ইমন বললো না বাবা আমি এসব পারবোনা।

আমার দ্বারা এসব সম্ভব না। ইমনের বাবা ইমনকে বললেন দেখ বাবা আমার তো বয়স হয়েছে। আমার আর এসব ভালো লাগে না।ইমন বললো বাবা তুমি অন্য কারো দ্বারা কাজ করিয়ে নাও প্লিজ।আমি এখন বাইরে যাবো।ইমন এ কথা বলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে গেলো। ইমনের বাবা আর কিছুই বললেন না।

দূর  থেকেকনা সব দেখলো।আর ভাবলো কিভাবে কি করবে। ইমন যখন তার বন্ধুর বাড়ি পার্টি করতে গেলো। ইমনের বন্ধু রানা ইমনকে বললো, বন্ধু দেখ না মেয়েটা কতো সুন্দর যা এর সাথে মজা কর।ইমন বললো না বন্ধু আজ কিছুই ভালো লাগছে না।তখন ঐই মেয়েটি যার নাম ছিল লিজা।লিজা ইমনের কাছে আসলো ।

লিজা বললো মি.চলোনা ডান্স করবে।ইমন বললো আপনি বরং রানার সাথে ডান্স করেন। লিজা বললো মি.আমি আপনার সাথেই ডান্স করতে চাই।ইমন লিজার জোরাজুরিতে কিছু সময় ডান্স করলো।আর ভাবলো কনা এখন কি করছে।

কনা  কি আজ ও ঐই ছেলেটার সাথে দেখা করতে যাবে। যদি আজ ও ঐই ছেলেটার সাথে দেখা করে তাহলে কনাকে সে উচিত শিক্ষা দিবে। কনা তার স্ত্রী এভাবে পরপুরুষের সাথে কথা বলতে পারে না। স্ত্রী কিসের স্ত্রী। ও তো চাকরানী।হা ও তো চাকরানী তার যার সাথে ইচ্ছা কথা বলুক। আমার কি আমি আর ওকে নিয়ে ভাবছি কেনো।সে যাই হোক ও কেনো আমাকে কিছু না বলে চলে গেল। আমার ওর সাথে কথা বলতে হবে।

ইমন  কনাকে দিল কনা প্রথম কল দরছিলো না। কনা যখন কল দরছিলো না ইমন আরো বেশি করে দিল অবশেষে কনা কল ধরলো। কনা বললো হ্যা বলুন কি বলতে চান। কেন কল দিচ্ছেন।তখন ইমন বললো কেন আমি কি তোমায় কল দিতে পারি না।

কনা  বললো হ্যাঁ বলুন কি বলতে চান আমার অনেক কাজ আছে।কনার কথা শোনার পর ইমন বলল তা তোমার কি কাজ আছে শুনি । ইমনের কথা শুনার পর কনা বললো আজ আমি বেড়াতে যাব ।ইমন বললো তুমি কার সাথে বেড়াতে যাবে।

তোমার ওই লুচ্চা বয়ফ্রেন্ড এর সাথে।কনা বললোএকদম অনাকে গালি দিবেন না বললাম।
ইমন বললো খারাপ কি বললাম শুনি। ঠিক ওই তো বললাম। খুব খারাপ লাগছে বুঝি। তর এতো বড় সাহস তুই আমাকে না বলে তোর বাপের বাড়ি চলে গেলি।

এখনি চলে আয়।কনা বললো না আসবো না আর কোনদিন। ইমন বললো তুই আসবি তোর বাপ ও আসবো।কনা বললো আমার বাবাকে নিয়ে একদম কিছু বলবেন না।অনেক হয়েছে নিজেকে বদলান আমার আপনাকে ঘৃণা করে। ইমন বললো তুই তো তোর প্রেমিক কে ভালবাসিস ।

আমাকে তো ঘৃণাই করবি। কনা বললো আপনার সাথে কথা বলতে বিরক্ত লাগছে।কনা কলটা কেটে দিল।কনা যখন কল কেটে দিল ইমন মনে মনে বললো আমাকে দেমাগ দেখালি ইমন চৌধুরীকে তকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। গাড়ি নিয়ে ইমন যখন তার ঘর থেকে বের হলো তখন কাজের মেয়েটা বললো ভাইয়া বড় সাহেব আপনাকে তার ঘরে যেতে বলেছেন।

ইমন বললো আচছা তুমি যাও আমি আসছি। ইমন মনে মনে বলে ধ্যাৎ বাবা এই সময় ডাকছে কেনো।ইমন তার বাবার রূমে গিয়ে বললো হ্যাঁ বাবা ডাকছিলে কেনো বলো। ইমনের বাবা বললেন কেনো রে আমি কি‌ আমার ছেলের সাথে কাজের বাইরে দুইটা কথা বলতে পারবো না।

ইমন বললো আসলে বাবা আমি এইভাবে বলিনি। ইমনের বাবা বললেন সব বুঝতে পারি রে বাবা ।তা বলছি বউমার সাথে কি তর কিছু হয়েছে মেয়েটা কখন গেলো এখনো এলো না ।না বাবা কিছু হয়নি। কনা তার বাবার বাড়িতে গেছে। ইমনের বাবা বললো তাহলে যা বউমাকে নিয়ে আয়।না বাবা নিজের ইচ্ছায় যখন গিয়েছে তখন নিজের ইচ্ছায় চলে আসবে।

তুমি টেনশন করোনা কনা নিজের ইচ্ছায় খুব তাড়াতাড়ি দেখব চলে আসবে। ইমনের বাবা বললেন তোমাকে যা বলছি তাই করো তুমি এখনি যাবে কনাদের বাড়িতে এবং তাকে নিয়ে আসবে। ইমন বলল ওকে আমি যাচ্ছি। ইমন যখন কনাদের বাসায় গাড়িতে উঠলো ।তখন লিজা তাকে কল দিল । লিজা বললো বেবি, আই মিস ইউ। কোথায় তুমি।চলো না লংড্রাইভে । ইমন বললো এখন আমি ব্যাস্ত আছি। তোমার সাথে পরে কথা বলব বলেই কলটা কেটে দিল। লিজা বললো এই ছেলেটা বেশি দেমাগ দেখায়। একদম অসহ্য লাগে। ইমন গাড়ি চালিয়ে যখন মার্কেটের সামনে এলো তখন কন্যাকে ওই ছেলেটার সাথে দেখতে পেলো।

মনে মনে বলে ওর এতো বড় সাহস ওই ছেলেটার সাথে দেখা করার জন্য আমাকে মিথ্যা বলে ছিল। ইমন গাড়ি থেকে বের হয়ে কনার কাছে গেলো।ইমন বললো এখানে তুমি কি করছ।কনা বললো দেখতে পাচ্ছেন না কি করছি ।ইমন বললো দেখতে তো পাচ্ছি।ওই ছেলেটা কনাকে বললো কে ওনি ইমন বললো আমার নাম ইমন। আপনি কে ছেলেটা বললো আমার নাম ফারহান। তা ফারহান সাহেব কি কাজ করেন ।না কি কিছুই করেন না।ইমনের কথার উত্তরে ফারহান বললো ব্যবসা করি । ইমন বললো কনা বাড়িতে চলো। তোমার সাথে কথা আছে।কনা  বললো কে আপনি আর আমি আপনার সাথে যাব না। ইমন বললো আমাকে চিনতে পারছনা ।তা

কি করে চিনবে এখন তো তোমার অনেক কাছের মানুষ হয়েছে। তাদের পেয়েছ আমার কথা কি তোমার মনে থাকবে। তখন ফারহান বললো কি মশাই কনা আপনাকে চিনে না‌ তাহলে কেনো পিছু ছাড়ছেন না অনেকক্ষন আপনাকে সহ্য করছি আর না এখনি পুলিশকে কল দিচ্ছি ।

আপনাকে পুলিশের হাতে তুলে দিব। তখন দেখব আপনি কি করেন ।ইমন বললো আপনাকে কিছু বলছি না বলে আপনি যা তা বলে যাচ্ছেন ।আপনি জানেন কনাআমার কি ও আমার স্ত্রী ।ওর সাথে আমি যেমন ইচ্ছা তেমন আচরণ করতে পারব আমাকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই সো আপনি চুপ থাকুন।

ইমন কথাগুলো বলে কনাকে হাত ধরে নিয়ে আসলো বাড়িতে ।বাড়িতে এসে কনাকে অনেক গালাগালি করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল । কনা অনেকক্ষণ কেদে তারপর রান্না ঘরে রান্নাঘরে যাওয়ার সাথে সাথেই কাজের মেয়েটি বলল মেমসাহেব আপনি এসেছেন কনা বলল তোমাকে তো বলেছি আমাকে আপু বলে ডাকতে তাহলে কেন মেমশাহেব ডাকো ।সরি আপু আমার ভুল হয়ে গেছে। কাজের মেয়েটিকে কনা বলল তোমার নামটা কি আমার তো তোমাকে জিজ্ঞেস করাই হলো না আমার নাম রূপা।

কনা বললো খুবই সুন্দর নাম ।তোমার বাসায় কে কে আছে। রূপা বললো আমার বাবা আছে আমার মা নেই জানেন আপু আমার সৎ মা আছে আমাকে খুবই অত্যাচার করে। কিন্তু আমি তাকে সম্মান করি কিছুই বলি না সহ্য করি ।কি করব বলে কান্না করা শুরু করলো তখন কনা বলল কষ্ট পেওনা রুপা দেখবে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। রূপা বললো হ্যাঁ আপু হয়তো।তা আপু আপনার বাবা ভালো আছেন এখন।তা এতো তাড়াতাড়ি চলে আসলেন। আর ভাইয়াকে দেখলাম সে অনেক রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হয়েছে কি। কনা বললো কিছু না ।আমার খুব মাথা ব্যথা করছে। আমাকে চা খাওয়াতে পারবে। রুপা বললো তুমি গিয়ে শূয়ে থাকো।আমি তোমার জন্য চা করে নিয়ে আসছি।কনা বললো ঠিক আছে।কনা শূয়ে শুয়ে ভাবলো ইমন কেনো তার লাইফটা ধ্বংস করলো।সে তো ইমনকে সত্যি সত্যি ভালোবেসেছে ।

তাহলে কেন এমনটা করলো সে ।ওকি তাহলে কখনো আমাকে ভালবাসেনি। সবটাই কি অভিনয় ছিল। রুপা বল আপু তোমার জানি এসেছে তখন করা তার ভাবনা থেকে বের হয়ে অনুরুপা তুমি চা নিয়ে এসেছ তাই এখানে যাও আমি পরে খেয়ে নেব । রুপা চলে যেতে নিলেই তখন কনা বললো সোনা রুপা তোমার সাহেব কি বাড়িতে এসেছেন। রূপা বললো না আপু সাহেব তো বাড়িতে এখনো আসেনি। কনা বললো ওহ ঠিক আছে তুমি এখন যাও।কনা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিল আর মনে মনে হাসছিলো। ইমন লিজাকে কল দিয়ে বললো তার সাথে দেখা করার জন্য।লিজা ইমনের কথামতো বাড়ি থেকে বের হয়ে রানাদের বাড়িতে গোলো। ইমন লিজাকে বলল লিজা তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।লিজা বললো ওহ বেবি থ্যাংকস।বেবি তুমি কি আমাকে মিস করছো। ইমন বললো হাঁ বেবি। তুমি কি আমায় মিস করোনি ।

লিজা হাঁ বেবি আমি তোমায় অনেক মিস করেছি।চলো বেবি আজ আমারা অনেক ইনজয় করব।বেবি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ইমন বললো সত্যি বেবি। তা তুমি আমার জন্য কি কি করতে পারবে। আমি তোমার জন্য সব করতে পারি। তুমি আমার সব বেবি। ইমন বললো ওহ বেবি আই লাভ ইউ।

Related Posts

29 Comments

  1. —#গল্প টা আপনি শেষ পর্যন্ত পড়ুন কান্না আটকে রাখতে পারবেন না বিশ্বাস না হলে পড়ে দেকুন —–
    #নামঃ_বোনের_অবহেলা
    আপু ১০টা টাকা দে তো।
    – কেন?
    – স্কুল যামু।
    – টাকা নাই এখন যা।
    – এমন করিস কেন আপু দে না প্লিজ।
    – বলছি না, নাই এখন ঘ্যানর ঘ্যানর করিস না তো।
    – আপু দিবি কিনা? ( ঠাস)
    – এই নে দিলাম, হইছে এখন?
    – উহুঁ উহুঁ। ..
    কাদতেঁ কাদতেঁ বেরিয়ে গেল ঘর থেকে সোহেল ।
    এই হলো তামান্না আর ওর ভাই। তামান্না পরে
    ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে আর সোহেল পরে ক্লাস ফাইভে। সোহেল সবসময় ওর আপুর সাথে মেলামেশার চেষ্টা করে কিন্তু ওর আপু ওর সাথে এমন ব্যবহার করে। দুজনে সাপ বেজির মতো,, সোহেল ওর আপুর কাছে থাকতে চাইলেও ওর আপু ওকে ঝামেলা মনে করে দূরে রাখে।
    .
    স্কুলে যাওয়ার সময়, #সোহেল ভাবলো আপু তো আমার স্কুলের সামনে দিয়েই কলেজে যায়।
    আমার স্কুলের সামনে দিয়েই কলেজে যাওয়ার রাস্তা, তাই আমি আপুর সাথে যাব।
    সোহেল ওর আপুর ঘরে গিয়ে দেখে ওর আপু রেডি
    হয়ে গেছে কলেজে যাবার জন্য।
    .
    – আপু আপু আমাকে সঙ্গে নিয়ে যা।
    – একা যেতে পারিস না।
    – এতো গাড়ির মধ্যে একা যেতে ভয় লাগে
    তোর সাথে যাব।
    – আচ্ছা নিয়ে যাব, রাস্তায় বেরিয়ে এটা ওটা বাহানা ধরবি তো,সকালের মতো আরেক টা দিব।
    – আচ্ছা চুপ করে থাকবো।
    .
    তারপর সোহেল আর তামান্না বেরিয়ে পড়ে।
    দুজনে চুপচাপ রাস্তা দিয়ে হাটছে।
    তবুও ওদের মাঝে প্রায় ১ হাত ফাকা জায়গা
    বিরাজ করছে। সোহেলের অনেক ইচ্ছে করছে আপুর হাতটা ধরে রাস্তায় চলতে কিন্তু সোহেল ১ হাত ফাক
    দিয়ে যাচ্ছে। আর আপুর কাছে যেতে ভয়
    পাচ্ছে,যদি মাইর দেয়। .
    ওর আপু তো ওকে একটুও ভালবাসে না। সবসময় মারধোর করে। তাই এখন সোহেলের মনে
    সবসময় এক ভয় কাজ করে,,, সেটা হলো আপুর কাছে যাওয়া যাবে না, নয়তো মার খেতে হবে।
    তখন সোহেল বলে,,,
    – আপু একটু কোলে নে না।
    – কিইইইই?? ( চোখ বড় বড় করে রাগি লুক
    নিয়ে তাকালো সোহেলের দিকে)
    – না,,, কিছু বলি নাই।
    .
    সোহেল ভয় পেয়ে আরও একটু দূরে সড়ে যায়। তারপর সোহেল ওর স্কুলে চলে যায় আর ওর আপু
    একটু শান্তি পায়। মনে মনে বলতে থাকে আপদ গেছে।
    . এরপর সারাদিন সোহেল স্কুলে আর তামান্না কলেজে কাটায়। এভাবেই দিন চলছে দুজনের।
    সোহেল পাচ্ছে শুধু ওর আপুর অবহেলা। কোনো সময় একটু ভালবেসে আদর করেনি ওকে।
    সবসময় বকাঝকা আর মেরেই সময় কাটায়
    বাড়িতে ওর আপু।
    . বিকেল ৪ টার ছুটি হয় সোহেলের স্কুল।
    ওর বাসার আশেপাশে ওর কোনো বন্ধু নেই।
    তাই স্কুল ছুটি হওয়ার পর সোহেল

মন্তব্য করুন