অফলাইনে, দাঁড়িয়ে না থেকে, অনলাইনে চলে আসুন! ডিজিটালি ক্যারিয়ার গড়ুন।

অফলাইনে সুবিধাজনক কোন কিছু করতে পারছেন না। চিন্তার কোন কারন নাই। অফলাইনে সময় নষ্ট না করে অনলাইনে চলে আসুন। বর্তমান বিশ্ব এখন সম্পূর্ণই ডিজিটাল।তাই আপনার পুরনো ধ্যান-ধারণা আর চিন্তাকে বিদায় দেবার সময় এখনই। যারা খুব টিপটপ। এবং ঘরে বসে আয় করার চিন্তাভাবনা করছেন, তাদের কাছে অনলাইন অনেকটাই নির্ভরতার জায়গা। যে কেউ চাইলে অনলাইন থেকে মোটামুটি খুব ভালো পরিমাণ আয় করতে পারে। এমনকি আপনি ভাবলে অবাক হয়ে যাবেন, অনেকেই বেশ মোটা অংকের ইনকাম করছেন অনলাইনে ঘরে বসে ।

এটা এখন নতুন কোনো কিছু নয়। কমন একটি ব্যাপার হয়ে গেছে সবার কাছে। আপনি যদি অনলাইনে আয় করার কথা চিন্তা করেন। তবে অবশ্যই আপনি পজিটিভ কোন কিছু ভাবছেন। আপনি চাইলে এখানে ফুলটাইম কিংবা পার্ট টাইম কাজ করতে পারেন। প্রতিটি কাজই মূল্যবান। শুধু আপনাকে বুঝতে হবে কোন জায়গায় কোন কাজটি করতে হবে। এতোটুকু বুঝলেই আপনি মোটামুটি আপনারা এ রাস্তাটি প্রসারিত করতে পারবেন।

যারা ভাবছেন, অনলাইনে ইনকাম করা খুব কঠিন। তারা এখনও বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।খোঁজখবর নিয়ে দেখুন আপনার চাইতে কম যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা এখান থেকে মোটামুটি ভাল অঙ্কের ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে পারবেন। আপনাকে আগে জানতে হবে অনলাইনে কি কি পদ্ধতিতে ইনকাম করা যায়। কারণ অনলাইনে ইনকাম করার অনেকগুলো মাধ্যম ও প্ল্যাটফর্ম এখন আমাদের দেশে চালু হয়ে গেছে। তবে আপনি যে প্লাটফর্মে কাজ করেন না কেন। ইনকাম আপনি করতে পারবেন যদি আপনার ইচ্ছা থাকে। আসুন দেখে নেওয়া যাক অনলাইনে ইনকাম করার কি কি সিস্টেম রয়েছে।

অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম:

  • অনলাইনে আপনি চাইলে বিজনেস করতে পারেন: অনেক ধরনের বিজনেস এখানে করা যায়। যেমন ধরুন, ইসব খুলে, হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু করে, বিভিন্ন পণ্যের অর্ডার নিয়ে তা সরবরাহ করে, অনলাইনে টিকিট বুকিং/কিংবা ফুড ডেলিভারি/অনেক ভাবে আপনি বিজনেস করতে পারেন। কারণ অনলাইন বিজনেস এখন অনেকটাই জনপ্রিয়।আপনি জেনে অবাক হবেন এখন কোরবানির পশু পর্যন্ত অনলাইনে বিক্রি হয়। সুতরাং অনলাইনে বিজনেস সম্পর্কে খুব ভালো করে রিচার্জ করার দরকার নেই।
  • ভিডিও আপলোড/কিংবা অডিও আপলোড/:কিংবা ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে পারবেন। এবং সেই চ্যানেলে আপনি ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে, অনির্দিষ্ট পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে, রীতিমতো ধুম ধামাকা ইনকাম করছে কিছু কিছু তরুণ উদ্যোক্তা। এখানে চ্যানেল খোলা/এবং পে সিস্টেম/এবং সে চ্যানেলটিকে জনপ্রিয়তা অর্জনে অনেকটাই সহজ ও সাবলীল। ভিডিও ক্যাটাগরি অনেক ধরনের হয়ে থাকে। সুতরাং বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে ইন্টারনেটে একটু খোঁজখবর রাখতে হবে। তাহলে আপনি প্রতিদিন আপডেট থাকতে পারবেন।
  • ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে :আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করাটা অনেক সহজ। সেখানেও আপনি ভিডিও আপলোড কিংবা কোন কিছু শেয়ার করে তার বিনিময়ে, অ্যাড কিংবা প্রচার করে ইনকাম করতে পারবেন। এটি সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।
  • অনলাইন নিউজ কিংবা পত্রিকাতে :আপনি চাইলে খুব সহজেই একজন রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। কারণ এখন অনলাইন রিপোর্টিং খুব জনপ্রিয়। খুব সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়।
  • অনলাইন স্কুল কিংবা কোচিং সেন্টার: অনলাইনে আপনি যেকোন শিক্ষামূলক প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারবেন। এবং সেখান থেকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক সেবা প্রদান করার মাধ্যমে আপনি বেশ চড়া মূল্যে ইনকাম করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন আপনি যে মাধ্যমেই কাজ করেন না কেন সেই মাধ্যমে আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে।
  • অ্যাপ সেবা চালু করার মাধ্যমে:অনলাইনে খুব তাড়াতাড়িই আপনি একটি ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে যে আপনার মনের মত একটি অ্যাপ তৈরী করে নিতে হবে/তারপর আপনি চাইলে এসেই অ্যাপ থেকে মানুষকে বিভিন্ন রকম সুযোগ এবং সুবিধা বিনিময় করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এখন খুবই সোজা এবং লাভজনক। দেখবেন অনেকে রাইডিং সেবা চালু করে অনেকদূর প্রসারিত হয়ে গেছে।
  • ব্লক ওয়েবসাইট: অনলাইনে আপনি চাইলে একে ব্লগ সাইট তৈরি করে নিতে পারেন/কারণ বর্তমানে ব্লকের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী/আপনি খুব সহজেই বিনামূল্যে কি ব্লক তৈরি করে সেখানে লেখালেখির মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন/মনে রাখবেন অনলাইনে ইনকাম করার যতগুলো মাধ্যম আছে সব মাধ্যমের চাইতে ব্লগ রাইটিং একদম সোজা ও জনপ্রিয়।
  • প্রোগ্রাম কনটেন্টার:বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং সেবা চালু করে আপনি এখান থেকে ভাল আয় করতে পারবেন।
  • e-medicine সার্ভিস: আপনি সচরাচর অনেক ওষুধের দোকান দেখে থাকবেন/বর্তমানে অনলাইনেও মেডিসিন সার্ভিস দেওয়া হয়/প্রয়োজনে দেখবেন এই সার্ভিসটি অনেকেই খুঁজে থাকেন/তাই আপনি চাইলে এই সাইটে এসে মোটামুটি একটি মেডিসিন সার্ভিস চালু করে মোটামুটি ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন/মনে রাখবেন মেডিসিনের চাহিদা সারা বিশ্বব্যাপী।
  • ওয়েব ডিজাইন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং: ইন্টারনেট কিংবা অনলাইন যেটাই আপনি বলেন না কেন,এখানে অনলাইনে ইনকাম করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে।ফ্রিল্যান্সিং কি সেটা আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন। নতুন করে টিউটোরিয়াল দেওয়ার কিছু নেই। আপনি যদি বিভিন্ন কাজ জানেন, সেই কাজটি আপনি অনলাইনে করে দিয়ে সেখান থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এটাকেই বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং।আপনি যদি ভাল মানের একজন ফ্রীল্যান্সার হতে পারেন তাহলে আপনাকে অন্য কোন পেশার প্রতি আর যেতে মন চাইবে না। কারণ অনলাইনে যতগুলো প্ল্যাটফর্ম আছে তার মধ্য থেকে ফ্রিল্যান্সিং একটি অসাধারণ প্রতিভা। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আপনাকে খুব ভালো ধারণা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসতে হবে। এখানে কাজের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। আপনি যত কাজ করতে পারবেন তত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং অফলাইন থেকে অনলাইন সম্পর্কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

অনলাইনে আয় করার আমি শুধুমাত্র দশটি গাইডলাইন দিলাম, তা ছাড়াও আরো অনেক রকমের মাধ্যম রয়েছে। আপনি আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন। প্রথমে যে কোন একটি দিয়ে শুরু করুন।একটি দিয়ে শুরু করার পরে আপনি অন্য সব মাধ্যমগুলো সম্পর্কে আপনা আপনি ধারণা লাভ করতে পারবেন।

একটা সময় দেখা যাবে আপনি অফলাইনে আর দাঁড়িয়ে না থেকে অনলাইনে আপনার সাফল্য খুঁজে পেয়েছেন। আপনার ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়তে, ইন্টারনেটের বিকল্প পৃথিবীতে এখনো দ্বিতীয় টি-তৈরি হয়নি।সুতরাং ঘরে বসে না থেকে ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়তে ডিজিটাল মাধ্যম ছাড়া আপনি কোন কিছুই করতে পারবেন না। সুতরাং, অফ লাইন এর পিছনে ছুটাছুটি না করে, অনলাইন দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন