আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়।
চলে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজ। এসাইনমেন্ট সিজির সম্পকে বিস্তারিত জানতে সাথেই থাকুন গ্রাথরের। এসাইনমেন্ট সিরিজের আজকের ধারাবাহিকতায় নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণীর হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
প্রশ্ন:”সকল সাধকের মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া “-উক্তিটির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন কর।
উত্তর:ঈশ্বর শব্দটির অর্থ হচ্ছে প্রভু। তিনি সর্বশক্তিমান এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি নিরাকার ,শাশ্বত এবং অবিনশ্বর। তিনি শৃঙ্খলার সহিত এই জগতের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি শক্তি ও গুনের আধার। তিনি সৃষ্টি ,স্থিতি ও পালনের একমাত্র কর্তা। তার আদি নেই তাই তিনি অনাদি। তার অন্ত নেই ,তাই তিনি অনন্ত। দেব দেবীর তারই গুন্ ও শক্তির প্রভূত। ঈশ্বর যখন নিরাকার তখন তিনি ব্রক্ষ। আবার তিনিই ভগবান এবং জীবের মধ্যে আত্নরূপে অবস্থান করে। তিনি সর্বব্যাপী ,সকল জীবের আত্মারূপে অবস্থান করে। তিনি সর্বব্যাপী ,সকল জীবের আত্মা ,সকল কাজের কর্তা এবং সকল জীবের আবাস্থল। জ্ঞানী,যোগী ,ভক্তগণ নিজ দৃষ্টকোণ থেকে ঈশ্বরের আরাধনা করে। চিরশান্তি বা মোক্ষ লাভের জন্য ভক্ত ঈশ্বরের কাছে স্তুতি করেন এবং তার কাছে প্রার্থনা জানান। ঋষিরা ঈশ্বরকে ব্রম্ম ,বা পরতাম্মা ,ভগবান ,আত্মা ,জীবত্যরূপে উপলব্ধি করেছেন। তবে সকল সাধকের মূল উদ্দেশই পরম পুরুষকে পাওয়া।
আমার পরিচিত চেনা শুনা ,তিন জন সাধকের নাম হল প্রলয় মুখার্জি ,গীতা দেবী ,কমলা দেবী। ঈশ্বরকে জিবি জ্ঞানের মধ্যে উপলব্ধি করেন তিনিই জ্ঞানী। তার সকল বিষয় ,বসনা পরিত্যাগ করে কেবল সর্বব্যাপী ও নিরাকার ব্রম্মের উপসনা করে থাকেন ,তাদের জ্ঞানী বলে। জ্ঞানী ব্যক্তিরা মানুষের জন্য ,জীবের জন্য ,ঈশ্বরের ভালোবাসা লাভের জন্য কাজ করেন। জ্ঞানযোগে তারা এসব করেন। জ্ঞান অর্থ জানা,জোগ বা যুক্ত হওয়া। তাই জ্ঞানী অর্থ দাঁড়ায় কোনো কিছু জানার জন্য বিশেষ উপায়ে যুক্ত হওয়া।
প্রলয় মুখার্জি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈশ্বরের নিকট প্রাথনা করে। তাই তাকে এই ক্ষেত্রে জ্ঞানী বলা হয়।
একই ভাবে বাকি বজ্ঞানীরা নিজেদের থেকে ঈশ্বরের আরাধনাতে নিজেকে আত্ননিয়োগ করেন