আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় করি।
বর্তমান সরকার বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে এসাইনমেন্ট পদ্ধতি চালু করেছে। স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের নিকট এসাইন্টমেন্টের প্রশ্নপত্র ইতিমধ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে করেছে। আমি তারই ধারাবাহিকতার আজ অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান এসাইন্টমেন্ট এর প্রশ্নাবলীর উত্তর তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
অষ্টম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান এসাইন্টমেন্ট উত্তর
১,কোষ বিভাজন কাকে বলে ?
উত্তর:কোষ বিভাজন :যে পদ্ধতিতে একটি মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে অপত্য কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে।
২.মিয়োসিস কোষ বিভাজন করে হ্রাস মূলক বিভাজন বলা হয় কেনো ?ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:মিয়োসিস কোষ বিভাজনা মাতৃকোষের নিয়ক্লিয়াসটি দুইবার বিভাজিত হলে ও ক্রোমোজোম বিভাজিত হয় একবার। ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। তাই মিয়োসিস বিভাজনকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয়।
৩.উদ্দীপকে উল্লেখিত বিভাজন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী ধাপটি উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে কিভাবে ভূমিকা রাখে ?ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:মাইটোসিস কোষ বিভাজনের সাথে উদ্ভিদকোষে সাথে বহুকোষী উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া এককোষী সু ক্রেন্দ্রিক জীবদেহের সম্পর্ক রয়েছে এই প্রক্রিয়ার সাথে নিম্নে মাইটোসিস গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো :
১,দৈহিক বৃদ্ধিঃমাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে জীবের দৈহিক বিভাজন ঘটে।
২.বংশবৃদ্ধিঃএককোষী সুকেন্দ্রিক জীবের বংশবৃদ্ধি তথা সংখ্যা বৃদ্ধি এই পদ্ধতিতে ঘটে।
৩.ক্ষত পূরণ :এ বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষী জীবের বিভিন্ন প্রকার ক্ষতস্থান পূরণ করে।
৪.ক্রোমোজোমের সমতা রক্ষা:এ বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষীর জীবের বিভিন্ন প্রকার ক্ষতস্থান পূরণ করে।
৫.প্রজাতি ধারাবাহিক রক্ষা:অপত্য ক্রোমোজোম রক্ষা ও জিনের বৈশিষ্ট্য মাতৃকোষের অনুরূপ হওয়ায় প্রজাতির ধারাবাহিক বজায় রাখে।
৬.জননাঙ্গ সৃষ্টি:মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষী জীবের জননাঙ্গ সৃষ্টি হয়।
৭.গুণগত বৈশিষ্ট্য এর সহনশীলতা রক্ষা:এ প্রকার বিভাজনের ফলে জীব জগতের গুনগত বৈশিষ্ট্যর সহনশীলতা বজায় থাকে।
৮.জীবজগতের স্বাভাবিক আকার,আকৃতিও আয়তন বজায় রাখতে মাইটোসিস প্রয়োজন।
।
কাজেই আলোচনা শেষে বলতে পারি জীব ও জীব জগতে মাইটোসিস এর গুরুত্ব অপরিসীম।
ঘ.উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি হলো অবিস্রাবন ,ও ব্যাপন প্রক্রিয়ার সম্মিলিত প্রয়াস।
সাধারণত উদ্ভিদ তার মূলরোমের মাধ্যমে মাটির কৈশিক পানি শোষণ করে। প্রশ্বেদনের ফলে পাতার কোষে ব্যাপন চাপ ঘাটতির সৃষ্টি হয় ,এর ফলে কোষের পাতার কোষ থেকে পানি এই কোষের দিকে ধাবিত হয়। একইভাবে ওই দ্বিতীয় কোষটিতে আবার ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয় এবং তার পাশের বা নিচের কোষ থেকে পানি টেনে নেয়। এভাবে ব্যাপন চাপ ঘাটতি ক্রমশ মূলরোমের পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং চোষক সৃষ্টি হয়। এ চোষক শক্তির টানে কৈশিক পানি মূলরোমে ঢুকে থাকে। মাটি থেকে মূলরোমের অভিস্রবণ এবং বপন প্রক্রিয়ায় এ পানি প্রবেশ করে। এভাবে মূলরোম থেকে মাটি মুখের কোর্টেন্স প্রবেশ করে। এ কাজটিকে কোষ থেকে কোষান্তরে অভিস্রবণ প্রক্তিয়া বলে।
একইভাবে পানি অন্তঃত্বক ও পরিচক হয়ে কলাগুচ্ছ পৌঁছে যায়। পানি একবার পরিবহন কলায় পৌঁছে গেলে তা জাইলেম কলার মাধ্যমে উপরের দিকে এবং পাশের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। এভাবে পানি বিভিন্ন শাখা প্রশাখা হয়ে উদ্ভিদের পাতায় পৌঁছে যায়। এ কাজে যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া কাজ করে সেগুলো হলো অভস্রাবন এবং প্রস্বেদন।
Related keyphrase: অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট, অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর,