অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে মাসে কমপক্ষে ২০,০০০-২৫,০০০ টাকা ঘরে বসে ইনকাম করুন।।

অনলাইন থেকে ইনকাম করতে সবাই চায়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ তরুন-তরুণীর আগ্রহ ফ্রিল্যাসিং এ। আজকাল মানুষ ফ্রিলাসিং পেশায় কর্মরত হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আর এই টাকা ইনকামের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। আজকে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত একটি একটি মার্কেটপ্লেজ নিয়ে আলোচনা করবো। যার নাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিঃ

আধুনিক সময়ে অফলাইন মার্কেটিং এর থেকে অনলাইন মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাই অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সাধারণত চুক্তিভিত্তিক ভাবে কোনো কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করাকেই সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।

আপনাকে যদি একটা উদাহরণ দাওয়া হয় তাহলে আপনি আরও ভাল ভাবে বুঝতে পারবেন। যেমন ধরুণ, আপনার শরীরের কোনো সমস্যায় আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন। সাধারণত ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর জন্য আপনাকে একটা প্রেসক্রিপশন দিলেন। তবে খেয়াল করলে দেখবেন ডাক্তার এসব পরীক্ষা করানোর জন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা হাসপাতালের নাম বলবে। আপনি যদি ডাক্তারের কথা মত ঐ ডায়াগনস্টিক সেন্টার কিংবা হাসপাতাল থেকে আপনার পরীক্ষা করান তাহলে ডাক্তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকে। সাধারণত ডাক্তার রোগী পাঠানোর মাধ্যমে যে টাকা আয় করলেন এই বিষয়টিকে সহজ ভাষায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।

এবার মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যদি বলতে যায় তাহলে একটা উদাহরণ দিব। যেমন – যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মার্কেটার হিসেবে নিয়োগ কৃত হয়ে থাকেন,তাহলে আপনি কমিশন পাবেন ঠিক তখন, যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটর পাঠাবেন তাদের সাইটে পণ্য কেনার জন্য এবং ক্রেতা সেই পণ্যটি কিনবে, তখন এটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়ঃ

সাধারণত যখন আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের কোন পণ্য নির্বাচন করবেন বিক্রির জন্য, বিক্রেতা আপনাকে একটি ইউনিক অ্যাফিলিয়েট কোড দিবে, যেটি কিনা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন আপনার ট্রাফিক এবং টার্গেট ওয়েবসাইট টির ক্ষেত্রে। বেশির ভাগ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাধারণত আপনাকে দিবে তৈরিকৃত ট্যাক্সট লিংক, ব্যানার এবং ফর্মসমূহ, যেখানে আপনাকে আপনার নিজস্ব কোডটি বসাতে হবে এবং আপনার নিজের ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিতে হবে অর্থাৎ যার মাধ্যমে আপনি ট্রাফিক করবেন। তারপর সাধারণত দেখা যায়, আগ্রহী ক্রেতারা আপনার সাইটে দেওয়া লিংক এ যখন ক্লিক করে তখন স্বয়ংকৃত ভাবে তারা পণ্যের সাইটে চলে যায় এবং তারা যদি সেই পণ্য কেনে অথবা তাদের ওয়েবসাইট অর্থাৎ পণ্যের সাইটে ভিজিট করে, যেটার আপনি অ্যাফিলিয়েট করেছেন, তাহলে আপনি চুক্তি অনুযায়ী কমিশন পাবেন।

কেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হবেনঃ

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে সবচেয়ে গতিশীল, ক্রমবদ্ধমান এবং সর্ব উত্তম অনলাইন মার্কেটিং টেকনিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কিছু বিষয় আছে যা জানলে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হবেন। আসুন তাহলে একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলি, যা আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

খরজ কমঃ সাধারণত অনলাইন মার্কেটিং অনেক কম খরচের কেননা এতে মার্কেটারের কোন উৎপাদন খরচ বা মান নিয়ন্ত্রন খরচ নেই। সাধারণত এর সব কিছু বিক্রেতা করে থাকেন। তবে মজার একটা কথা হল মার্কেটার এর কোন প্রকার ব্যাবসায়িক স্থান এর প্রয়োজন হয় না এবং কোন কর্মচারী নিয়োগ দিতে হয় না।

গ্লোবাল মার্কেটঃ আপনি সাধারন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় মার্কেটিং করতে পারবেন। কিন্তু আপনি অনলাইন মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে মার্কেটিং করতে পারবেন।

নো ফীঃ সাধারণত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে আপনাকে কোন প্রকার টাকা প্রদান করতে হবে না বা হয় ন।

নো স্টোরেজ নো শপিংঃ এটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সব থেকে মজার বিষয়। কেননা আপনি এখানে মার্কেটিং করছেন কিন্ত আপনার কোন শপ নেই। আপনি চিন্তা মুক্ত থাকবেন পন্যটির ব্যাপারে,কারন পণ্যটি গুদামজাত করা,প্যাকেটজাত করা নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবেনা । এর সব কিছু বিক্রেতা করে থাকেন।

নো কাস্টমার সাপোর্টঃ আপনি অফলাইন এ কোন প্রোডাক্ট সেল করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কাস্টমার সাপোর্ট দাওয়া লাগে। কিন্ত অনলাইন এ সাপোর্ট দাওয়া লাগবে না এবং কোন চুক্তিতেও আপনাকে অংশ নিতে হয় না । এটা গ্রাহকের সকল অভিযোগ এর সাপোর্ট বিক্রেতা দিয়ে থাকে আপনার পক্ষ হয়ে।

প্যাসিভ ইনকামঃ সাধাররত একটি স্বাভাবিক চাকুরিতে আপনি যতখন কাজ করবেন আপনি ততখন এর থেকে একটি আয় পাবেন। এটা আপনার মার্কেটিং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনাকে ক্রমাগত আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে এবং এটা কখনও থামবে না। ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। তার জন্য আপনাকে সব সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হবে এমনটি নয়।

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন