আইসোলেশনে থাকার সময় কি করবেন এবং কি করবেন না!

আইসোলেশন থাকার সময় তৈরি হয় হতাশা এবং একাকীত্ব।হতাশা একটি মানবিক অনুভূতি। যার আধ্যাত্মিক উপস্থিতি কখনো কোনো মানসিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে। একা থাকার এই সময় দুশ্চিন্তায় ডুবে না গিয়ে আশাবাদী হতে হবে। তা না হলে আপনি বিষণ্ণতায় ভুগবেন। ডুবে যাবেন হতাশার সাগরে। বর্তমানে এই সময়ে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল বিভিন্ন মুখরোচক খবর তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তাই কোনো খুব গুজবে কান দেবেন না। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কাজ, ও বিভিন্ন অবস্থার কারণে আপনার পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। সকল অনুভূতিগুলো আপনজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন না।
তাই এখন পরিবারকে সময় দিন পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন যারা আমাদের থেকে দূরে থাকে তাদের জন্য আমরা প্রায়ই উদ্বিগ্ন থাকি তাই এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনারা তাদের সাথে ভিডিও চ্যাটিং করতে পারেন। নিজেদের শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখুন।এ সময় অসুস্থ হলে আতঙ্কিত হবেন না নিজেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে দূরে রাখুন হসপিটালে না গিয়ে নিকটস্থ কোন হাসপাতালে হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন। অনেকে হয়ত ভাবছেন যে লকডাউন এর সময় আমরা বাড়িতে কি করতে পারি!
তাদের জন্য বলব, মহান সৃষ্টিকর্তার নামে দিন শুরু করুন বেশি বেশি ধর্মগ্রন্থ পড়ুন। সাবান পানি দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার করুন ,ব্যায়াম করুন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। জ্ঞান অর্জন করুন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন ,জীবন সহায়ক ভিডিও দেখুন, বই পড়ুন ,ব্রেইন গেম খেলুন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানুন,পর্যাপ্ত ঘুমান নৈতিক মূল্যবোধ বাড়ান ,আপনার চারপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখুন,এই সকল কিছু আপনারা লকডাউন সময় করতে পারে আমিতো পরম বন্ধু জলব ডাউন মানে আপনার নিজের জন্য নিজেকে সময় দেয়ার যথেষ্ট পরিমান ফাঁকা টাইম পাওয়া গেল ব্যস্ততার দিনগুলোতে আমরা নিজেকে ঠিক মতন সময় দিতে পারি না অথচ আমরা অনেক সময়বাইরে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছি সেটা না করে সময়টাকে আমরা ছুটির দিন ভেবে নিজের যত্ন নিতে পারি নিজের পরিবারের যত্ন নিতে পারি। আতঙ্ক নয় সজাগ থাকুন সুস্থ থাকুন।লিখাটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আশা করি লেখা টি আপনাদের ভাল লেগেছে ভাল লাগলে অবশ্যই  কমেন্ট করে সাথে থাকবেন এবং লেখাটি শেয়ার করবেন। এবং এরকম আরো অনেক লেখা পেতে আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন

Related Posts

24 Comments

মন্তব্য করুন