আউটসোর্সিংয়ে কাজ পেতে যে কৌশলগুলো মাথায় রাখবেন..

তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশ ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার ফলে বর্তমানে অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে আউটসোর্সিং করছে।অনেকেই আবার ইন্টারনেট কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করছেন। নতুন প্রজন্মের তরুন-তরুনীরা অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজে মনোনিবেশ করছে। অনেকে সফল হচ্ছে আবার অনেকেই অনভিজজ্ঞতার কারনে আউটসোর্সিং করতে যেয়ে ঠিক মতো কাজ পায় না।

সঠিকভাবে কাজ করে যেমন সকল ক্ষেত্রেই সফল হওয়া যায় তেমনি আউটসোর্সিংয়েও এর ব্যতিক্রম কিছু নেই। আউটসোর্সিংয়ে কাজ পেতে হলে কিছু কৌশলী না হলেই নয়। যারা আউটসোর্সিং থেকে বিমুখ হয়ে পরছে তাদের জন্য নিচে কিছু কৌশল দেওয়া হলোঃ

১। অনেক ফ্রিলান্সার আছে যারা দু-চারটা কাজের আবেদন করেই কাঙ্খিত কাজ পেয়ে যায়। আবার পাশাপাশি অনেকেই আছেন যারা একের পর এক বা শত শত আবেদন করেও কোনো একটা কাজও পান না। কাজ পাওয়া ও না পাওয়া নির্ভর করে মূলত আপনি কত কম রেটে কাজ করার আবেদন করেছেন সেটার ওপর।

২। কাজের আবেদন করার আগে প্রথমে বায়ারের বিষয়ে তথ্য জেনে নিবেন। বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইন কি না তা জানার চেস্টা করবেন। পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড না হলে সেই বায়ারের কাছে কাজের আবেদন না করাই ভালো। কারণ হলো, ভেরিফাইড পেমেন্ট মেথড ছাড়া কোনো ফ্রিল্যান্সার ভাড়া বা হায়ার করা হয় না।

৩। জব পোস্ট করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই পোস্টে আবেদন করবেন। কারন, আপনার দেরি হলে যে কেউ কাজটি আগেই ভাগিয়ে নিতে পারে।

৪। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনি যত বেশি সময় দেবেন ততই পোস্ট পাওয়াট সাথে সাথে আবেদন করলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। মার্কেট প্লেসে কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো খুব কম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে আবার জমাও দিতে হয়।

৫। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে নিত্য নতুন পোস্ট করা হয়। এরকম পোস্টের অপেক্ষায় থাকুন ও এগুলোতে আবেদন করুন।

৬। জব পোস্টে আবেদন করার আগে দেখুন কোনো শর্ত দেয়া আছে কি না। শর্ত দেয়া থাকলে যদি আপনি সে শর্ত পূরণ করতে পারেন তাহলে আবেদন সে পোস্ট আবেদন করবেন, অন্যথায় না করাই ভালো।

আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।

Related Posts