আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আমরা যে ভুল সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকে

আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। তাহলো আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে আউটসোর্সিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর আমাদের মত ইয়াং জেনারেশন এই আউটসোর্সিং এর দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। অনেকেই আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকটা সফল। আবার অনেকেই এ আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এ সেরকম সফলতা অর্জন করতে পারে নাই। আবার অনেক সময় দিয়েও সফল হতে পারছে না। আবার অনেকেই একটু সময় দিয়েই হাল ছেড়ে দিচ্ছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আমরা যে ভুল সিদ্ধান্ত গুলো নিয়ে থাকি। একটা সঠিক সিদ্ধান্ত আমাদের জীবনের সফলতার কারণ।

(১) কোন আইটি সেন্টারে ভর্তি: আমরা অনেকেই আউটসোর্সিং শেখার জন্য দেশের খ্যাতনামা আইটি সেন্টার গুলোতে ভর্তি হয়ে থাকি। এটার যথার্থতা আপনাকে সময় বলে দিবে। একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। একটি কলেজে এক হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ 50 জন ভালো ভার্সিটিতে চান্স। ঠিক তেমনি একটা আউটসোর্সিং ইনস্টিটিউট এ সবাই ভালো ফ্রিল্যান্সার হয়ে যাবে এটা কিন্তু সম্ভব নয়। ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে শিখতে হবে নিজে থেকেই।

(২) ইউটিউবের কিছু ধোকাবাজ চ্যানেল: আমাদের বাংলাদেশে অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেগুলো দেখলেই মনে হয় যে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং খুব পানির মত সহজ। যেগুলো আমাদেরকে প্রতিনিয়ত ধোকায় ফেলে দিচ্ছে।

(৩) পিটিসি সাইট ঃ অনলাইনে অনেক পিটিসি সাইট রয়েছে । যেগুলোতে আমরা অ্যাড, বিজ্ঞাপন, গেম খেলে টাকা আয় করা যায় বলে ধারণা করে থাকি। আমার জানামতে এগুলো ম্যাক্সিমামই ফেক। আপনার কোন পারফেক্ট যোগ্যতা ছাড়াই কেউ আপনাকে টাকা দিবে না।

(৪) প্রথমদিন থেকেই ইনকামের স্বপ্ন: আমরা সবাই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাই। কিন্তু আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা প্রথম দিন থেকেই ইনকামের স্বপ্ন দেখি। আরে ভাই আপনার পড়ালেখা শেষ করতে 15 থেকে 20 বছর সময় লাগে। এত সময় ব্যয় করার পরেও আপনি একটা ভালো জব পাবেন কিনা এর কোন নিশ্চয়তা নাই। আর মাত্র কিছু সময় ব্যয় করেই আপনি ভালো একটা ইনকাম করতে পারবেন এটা আসলে পুরো আকাশ কুসুম চিন্তা করা।

(৫) ভুল জায়গায় ইনভেস্টমেন্ট: আমরা অনেকেই অনলাইনে কাজ করার জন্য বিভিন্ন উপায় খুশি। আবার অনেকেই কোন কোন জায়গায় আবার ইনভেস্টমেন্ট করে থাকি। মাঝে মাঝে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট গুলো ফুল জায়গায় চলে যায়। যেটাতে আমরা অনলাইন থেকে ইনকাম এর আগ্রহ অনেকটাই হারিয়ে ফেলি।

(৬) হালাল-হারাম বিবেচনা করা: আমরা মুসলিম,আমাদের উচিত কোনটা হালাল ,কোনটা হারাম তা ভালোভাবে কনফার্ম করে দেখা।যদি মুসলমান আমরা নিজেকে দাবি করে থাকি তাহলে অবশ্যই আমাদের এই বিষয়টা ভালোভাবে লক্ষ্য করা উচিত। আমরা অনলাইনে ইনকামের চিন্তা করে অনেকেই হারাম পথে ইনকাম করে ফেলি। যেটা একজন মুসলমানের কর্মকাণ্ড নয়। তাই আমরা অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে হালাল এবং হারাম বিষয়টা ভালো কোন আলেম-ওলামার কাছ থেকে ক্লিয়ার হয়ে নেব।

আরে ভাই অনলাইনে ইনকাম করতে কে না চাই। কিন্তু অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন।
আমরা হালাল পথে চেষ্টা করব । ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদেরকে উপায় দেখিয়ে দিবেন।

আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন।

Related Posts