আঠারোবছর বয়সটা অনেক ভয়ংকর।এটা সেই সময় যখন একটা মানুষের ভিত্তি গড়ে উঠে।এইসময় যে ব্যক্তি নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারে সেই পারে অসাধ্য সাধন করতে।কিন্তু এমন মানুষের সংখ্যা হয় খুব কম।আঠারো বছর বয়সটা এমন একটা সময় যখন মানুষ থাকে কৌতুহলী,আবেগি।এই বয়সে সে থাকতে চাই একটু স্বাধীনভাবে।আর এটায় হয়ে যাই গোটা জীবনের কাল।আঠারো বছর বয়স এমন একটা সময় যখন মানুষ অনেক বন্ধু হারিয়ে ফেলে।তার ভিতরে নিজেকে নতুনভাবে তৈরির ইচ্ছে সৃষ্টি হয়।সেই সৃষ্টি থেকে শত সাধনা। তুমি কিভাবে গড়ে উঠবে সেটা সম্পূর্ণ এই সাধনার উপরই নির্ভর করে।তার কাছে অপশন থাকে দুইটা।হয় সঠিক পথ বেছে সে হয়ে উঠবে সুনাগরিক আর নয়তো ভুল পথে পা বাড়িয়ে টানবে নিজের জীবনের ইতি।বেশিরভাগ মানুষই বেছে নেয় ভুল পথ খুব কম সংখ্যক মানুষই আছে যারা সঠিক পথ বেছে নিতে পারে।বেশিরভাগ মানুষের এই ভুল পথ বেছে নেওয়ার কারন হলো অপরিনত বয়সের কৌতুহল।এই বয়সের ছেলেমেয়েদের প্রথম ভুল হলো নিজের স্বাধীনতা।এই বয়সের ছেলেমেয়েরা স্বাধীন থাকতে চাই,তারা চাই কেউ যেন তাদের কোন বিষয়ে জোর না করে,এটা তারা অপছন্দ করে।ফলে তারা বাবা মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা সহজে মেনে নেয় না।তারা মনে করে তারা যা বলছে বা ভাবছে সেটাই ঠিক।কিন্তু এটা একদমই ভুল,সেজন্যই তাদের পরবর্তী জীবনে অনেক বড় ধাক্কায় পড়তে হয়।তারা কারো অধীনে থাকতে চাই না। এ বয়সের ছেলেমেয়েদের দ্বিতীয় ভুল হলো তাদের সঙ্গ।কথায় আছে সঙ্গদোষে লোহা ভাসে।তারা খারাপ সঙ্গে থেকে খারাপ হয়ে যাই।নিজেকে ওইভাবে গড়ে তুলে।ফলে তারা ছন্নছাড়া হয়ে যাই।তথাকথিত সমাজে তারা বখাটে বলে খ্যাতি পাই।এই বয়সের ছেলেমেয়েদের তৃতীয় ভুল তাদের কৌতুহল।এসময়ে কৌতুহলের বশে অনেক খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যাই।পরে তা তাদের অভ্যাসে পরিনত হয়।যার ফলে তারা আর সেই জগৎ থেকে চাইলে ও ফিরে আসতে পারে না।এই বয়সে করা কিছু সামান্য ভুলই একটা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।যে ছেলেটা একসময় স্বপ্ন দেখতো অনেক বড় ক্রিকেটার হবে,তাকে আজ খুজে পাওয়া যাই ড্রাগ হাতে কোন এক নির্জন রাস্তায়।যে মেয়েটার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একজন ডাক্তার হবে তাকে আজ খুজে পাওয়া যাই পতিতালয়ের বারান্দায়।যে ছেলে বাবাকে বলতো বাবা আমি বড় হয়ে বড় বড় প্লেন চালাবো তাকে আজ পাওয়া যাই কোন এক মাদকের আড্ডায়।বাবার চোখে শুধুই হতাশা।যে মেয়ে তার মায়ের গলা জড়িয়ে মাকে বলতো মা আমি বড় হয়ে তোমার মতো বড় বড় ভাইয়া আপুদের পড়াবো তাকে আজ খুজে পাওয়া যাই হয়তো কোন সংশোধনাগারে।আমাদের সমাজের একি অবস্থা,যেখানে সকল ভালো কাজে যুবসমাজের থাকার কথা সবার আগে,সেখানে তাদের খুজে পাওয়া যায় কোন এক নেশার আড্ডাখানায়।
(জীবনটা অনেক ক্ষুদ্র,তার থেকে ক্ষুদ্র এই কৈশরকাল।কিন্তু এই ক্ষুদ্র সময়ের নেওয়া একটা সিদ্বান্তের উপর নির্ভর করে গোটা জীবন।তাই এসময়ে সঠিক সি সিদ্ধান্ত নেওয়া সকালের দায়িত্ব কারন তোমার জজীবন শুধু তোমার নয় সাথে জুড়ে আছে তোমার পরিবারের সকল মানুষের সম্মান,তুমি তোমার বাবা মায়ের একমাত্র অবলম্বন।তাই এটাকে মোটেও অগুরুত্বপূর্ণ মনে করো না।তোমার জীবনে তোমাকেই গড়ে নিতে হবে এটা কেউ তোমাকে গড়ে দেবে না তাই আজ থেকে তৈরি হও নিজেকে মানুষ করে গড়ে তোলো)