আপনার হৃদয়ের কষ্ট দূর হবে কিভাবে? জানতে চাইলে পড়ুন

অন্তরে যন্ত্রনা, চারিদিকে হাহাকার। ভেতরটা মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে ফেটে যাবে। আহা! এই ব্যাথাযে আর সহ্য হয়না। কেনো এমন হলো আমার সাথে? কি দোষ ছিল আমার, কেনই বা আমার সাথেই সবাই প্রতারণা করে, কেনো আমাকে আঘাত করে চলে যায়, কেনো কেউ আজ আমার পাশে নেই, কেনো আমি আজ এতো অসহায়?

যখন আমাদের কারো অবস্থা এমন শোচনীয় পর্যায়ে পৌছে তখন এই ধরনের অজস্র প্রশ্ন আমাদের মনে বার বার উকি দেয় আর বারবার আমাদের শূন্য হদয়টা গুমরে গুমরে হাহাকার করে। কিন্তু কেনো এমন হয়?

আমি যে আমার সৃষ্টিকর্তাকে দোষারোপ করি কেনো আমার সাথে এমন হয়? বা কেনো আমি সব কষ্ট পাই, আমার চারপাশে তো কতো মানুষ তারা কতো হাসিখুশি। কই তাদের তো আমার মতো কাঁদতে দেখিনা, কেউ আমার মতো কষ্ট পায়না,,,,এই রকম আরো অনেক অভিযোগ আমাদের। কিন্তু আমরা কি এর আসল কারন উপলব্ধি করতে পারি? একাকি যখন বসি তখন কি আকবারও গিভীরভাবে এ নিয়ে চিন্তা করি, The main thing is other side. আমাকে আল্লাহ একান্ত কাছে নিতে চাইছেন।আ সুবহান আল্লাহ। একান্ত কাছে,,,

এটাই মূল কারন। আল্লাহ আপনাকেই নির্বাচন করেছেন তার প্রিয় বান্দায় পরিনত করার জন্য। অথচ আমি অভিযোগ করেই যাচ্ছি, আমার সাথেই কেনো। আমরা দুনিয়ার প্রতি এতো মগ্ন থাকি যে আমাদের এই বোধটুকুই হারিয়ে যায় যে আমার অন্তরের মালিক যিনি তিনিতো এই অন্তরকে তার দিকেই নিয়ে যাবেন৷ আমি কোথায় ছিলাম, একবার ফিরে থাকাই, আমি ছিলাম দুনিয়ার পেছনে লাগামহীন ছোটা ঘোড়ার মতো, আমি আমার কেরিয়ার, আমার বাড়ি, আমার গাড়ি, আমার আভিজাত্য, আমার অহংকার নিয়ে ছিলাম।

আমার চারপাশে কতো শুভাকাঙ্ক্ষী,  আমার গার্ল্ফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড,  আমার ব্যাংক ব্যলেন্স, আমার কাড়ি কাড়ি টাকা আহ! কি লাইফ ছিল আমার। কোনো চিন্তাই ছিলনা কোনো কষ্ট ছিলনা। কতো সুকজে দিন কাটতো আমার। এতোটাই সুখে মগ্ন ছিলাম যে আমি আমার রবকেই ভূলে গিয়েছিলাম। আমার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আমার রবের অসন্তুষ্টির উপর নির্মাণ করে আমি দিব্যি দিন কাটিয়েছি। কতো নাফরমানী করেছি। গান, নাচ, মুভি, হারাম সম্পর্ক(affairs), মিথ্যা বলা, জালিয়াতি, সুদ, ঘুষ, বেঈমানী কতো নাফরমানী আমি করেছি।

একবারও কি ভেবে দেখেছি এই এতো নাফরমানী করার পরও আল্লাহ আমার উপর কোনো গযব দেননি। আমার রিজিক বন্ধ করে দেননি, আমার নিশ্বাস কখনই আটকে যায়নি। সেই মহান রব আমাকে তার আযাবে পাকড়াও না করে আমাকে একাকি করে দিয়েছেন, আমাকে সমাজ, পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের  থেকে আলাদা জরে দিয়েছেন। আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছেন। কেনো?

এর কারন হচ্ছে আল্লাহ চান আপনাকে একান্তভাবে তার দিকে রুজু করাতে, যাতে আপনি আপবার ভূল বুঝতে পারেন। তার কাছে ক্ষমা চেয়ে তার প্রিয় বান্দায় পরিনত হতে পারেন। কষ্ট দিয়ে আপনাকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন দিন শেষে মানুষ একা। একা এসেছি একাই যেতে হবে। একাই আপনাকে রবের সামনে দাড়াতে হবে। এটাই আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল। আল্লাহ এটাই বুঝাতে চান যে আমি তোমার রব তোমাকে সৃষ্টি করেছি, দুনিয়ায় পাঠিয়েছি শুধুই আমার ইবাদাত করার জন্য, আমাকেই ভালোবাসার জন্য, আর তুমি আমার অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে আছো।

তাই থামুন বোন/ ভাই। এখানেই থামুন। ফিরে যান আপনার রবের কাছে। আল্লাহ আপনার ফিরে আসার প্রতিক্ষায় আছেন। আপনাকে এখনও নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন যাতে আপনি হেদায়াত গ্রহন করেন। অসংখ্য নাফরমান বান্দাহ থেকে আল্লাহ আপনাকে বাছাই করেছেন হেদায়াতের পথের জন্য। গ্রহন করুন হেদায়াতের নেয়ামত। ঘুরে দাঁড়ান যেখানে আছেন সেখান থেকেই। জীবনকে পরিচালিত করুন একমাত্র আপনার রবের সন্তুষ্টিরর পথে। আল্লাহ আবার আপনাকে সব ফিরিয়ে দেবেন। ফিরিয়ে দেবেন দ্বিগুন নেয়ামত সহকারে। জীবনটা অন্যরকম এক অবনাবিল সুখে ভরে যাবে। দেখুন না একটা মাত্র স্টেপ নিয়ে জীবনটা কেমন পালটে যায় মুহুর্তের মধ্যে,,, সিক্ত হোক প্রতিটি অন্তর তার রবের ভালোবাসায়

Related Posts

11 Comments

  1. ব্রডব্যান্ড রাউটারে পিং এবং স্পিড সমস্যার সমাধান। https://grathor.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a1%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%82/

মন্তব্য করুন