আবহাওয়া পরিবর্তন ও শীতকালে জ্বর, সর্দি ও কাশি থেকে কিভাবে দূরে থাকবেন?

বাংলাদেশে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে রোগ-ব্যাধির প্রবনতাও যেন বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের শীতকালে জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রবনতা খুব বেশী দেখা যায়। বাংলাদেশের সকল জেলার সরকারী হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী শীতকালে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে সবচেয়ে বেশী রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ততা রেখে এরুপ রোগ-ব্যাধির সংক্রমন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অনেকেই অন্য ব্যক্তির সংস্পর্শে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অন্যকেও আক্রান্ত করে থাকে।

শীতকালে ভাইরাস জ্বরে সাধারণত ২ থেকে ৩ দিন শরীরে তীব্র তাপমাত্রা থাকে এবং পরবর্তীতে এই অবস্থা থেকে সর্দি ও কাশি হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের মতে জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত এবং প্রাথমি অবস্থায় প্যারাসিটেমল খাবারের পর গ্রহন করা রোগীর জন্য খুবই ভাল। বালাদেশের জনপ্রিয় ঔষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাকমের সিনিয়র ম্যানেজার ও চিকিৎসক আফরোজা আখতার বলেন যে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির প্রতিবছর ৪ থেকে ৬ বার এবং শিশুদের ১০ থেকে ১২ বার জ্বর, সর্দি ও কাশি হওয়াটা স্বাভাবিক।

চিকিৎসকরা জ্বর, সর্দি ও কাশি অবস্থায় রোগীকে সবসময় পুষ্টিকর ও ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার খেতে বলে থাকে। ভিটামিন সি’ যুক্ত খাবারের ভেতর আছে কমলালেবু, আনারস, মাল্টা, আঙ্গুর, আনারস ইত্যাদি। এসকল ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি’ থাকে। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার যেমন নরম ভাতের সাথে সিদ্ধ ডিম, চিকেন ও শাকসবজি।

শীতকালিন জ্বর, সর্দি ও কাশি থেকে যেভাবে সহজেই সুরক্ষিত থাকবেন:

আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে খুব সহজেই আপনি ভাইরাস জনিত জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এইজন্য আপনাকে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে খুব সহজেই ২ থেকে ৩ দিনের ভেতর জ্বর, সর্দি ও কাশি ভালো হয়ে যায়। এইজন্য আপনাকে সতর্কতার সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।

সময়মত ঘুমানোর অভ্যাস: শীতকালে সময়মত ঘুমানোর অভ্যাস করলে রোগ ব্যাধি থেকে দূরে থাকা যায়। এছাড়াও জ্বর, সর্দি ও কাশিতে অনেক সময় ধরে ঘুমালে শরীর তারাতারি ভালো হয়ে যায়।

গরম স্থান বা পরিবেশে থাকা: শীতে জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে গরম স্থানে থাকতে হবে। মোটা কম্বল ব্যবহার করতে হবে এবং অবশ্যই গরম কাপড় পরিধান করতে হবে।

পানি খুব বেশী পান করতে হবে: জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

শরীরের গলা ব্যাথায় যত্ন: জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে প্রচন্ড পরিমাণে পানি পান করতে হয়। এছাড়াও লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সূত্র: বাংলানিউজ২৪.কম

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন