আমরা ডিপ্রেশন এ কেন ভুগি ??

আসসালামুআলাইকুম,

 প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন ?? আশা করি আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে লিখতে বসেছি ডিপ্রেশন নিয়ে ।বাংলাদেশের অনেক মানুষই ডিপ্রেশনে ভোগে । দেখবেন কোন কোন মানুষ তাদের পুরোটা জীবনী ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়েই পার করেছে। অথচ একবারও বুঝতে চাইনি কেন এই আমাদের ভোগান্তি ??কেন আমরা এরকম প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি ???

 

আসলে আমরা যারা স্টুডেন্ট ,বা প্রাইমারি হাই স্কুল এর যারা স্টুডেন্ট আমরা কিন্তু এইসময়ে কোন ডিপ্রেশনের মুখোমুখি হই না । কখন ডিপ্রেশনে মুখোমুখি হই যখন আমরা এসএসসি পার করে যাই বা এসএসসি পাস করি ঠিক তখনই বা এসএসসি পাশ করার পর পরই।

বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ বাংলাদেশ বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে , আসলে আমরা যখন এসএসসি পাস করি ঠিক তখনই আমাদের অনেকেরই ঘরে পারিবারিক একটা দায়িত্ব চেপে আসে । কেননা বাংলাদেশের অনেক মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে । সেক্ষেত্রে তারা ভাবে আমার ছেলে বা আমার মেয়েটি টু এস এস সি পাশ করেছে তাকে দিয়ে একটা কিছু করাতে হবে না হয় সংসার তো দিন দিন অবনতির দিকে ছুটে চলেছে।

এসএসসি পাশ করার পর এত বড় একটা চাপ নেই। এর যখন এই চাপ নিয়ে আমরা  সামনের দিকে আগাতে চাই ঠিক তখনই আমরা ডিপ্রেশনে পরে যাই ।  কি করবো বুঝতে পারিনা একদিকে নিজের পড়ালেখার চিন্তা অন্যদিকে ফ্যামিলির । আসলে ঠিক সেই মুহূর্তটা আমাদের কাছে অনেক কঠিন হয়ে যায় আর ঠিক সেই মুহুর্তেই আমরা যে দুই দিধাদন্দের মধ্যে পড়ে থাকি সেটাকেই আমরা অনেকেই ডিপ্রেশন মনে করে থাকি।

 

 

আবার অনেককেই দেখবেন গার্লফ্রেন্ড ও বয়ফ্রেন্ড নিয়ে অনেক চিন্তা করে।  আসলে এটা একটা ডিপ্রেশনের কারণ কেননা কারো যদি গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড থাকে তাহলে কিন্তু এটা নিয়ে অনেক চিন্তা করতে হয় বা ভবিষ্যতে এটা কি হবে বা পরিণতি কোন দিকে যাবে আসলে অনেকেই এটা একটা বা এক ধরনের ডিপ্রেশন বলে অভিহিত করেছে।

 

 

আমরা সবচেয়ে বেশি যে ডিপ্রেশনের ভূগে থাকি সেটা হচ্ছে আমাদের লেখাপড়া শেষ করার পর আমরা কি করব কেন করব বা কি করলে ভালো হবে এরকম একটা সিদ্ধান্তের অভাব বোধ করি এবং মাঝে মাঝে এমনটা হয় যে কি করবো আসলে কিছুই বুঝতে পারিনা।

আমার ফ্যামিলি এত কষ্ট করে আমাকে পড়ালেখা করালো আমি যদি তাদেরকে কিছু একটা উপহার দিতে না পারি তাহলে কি করলাম জীবনে । আসলে এ ধরনের একটা মন মানসিকতা থেকেই ডিপ্রেশনের সৃষ্টি হতে পারে যেটা আমরা অনেকের জীবন থেকেই পেয়ে থাকে বা দেখে থাকি।

 

আমরা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্তটি সঠিক সময় নেওয়ার চেষ্টা করব।  তাহলে  আমরা এরকম সমস্যার মুখোমুখি বা এরকম কোন ডিপ্রেশনের মুখোমুখি হব না । কেননা আমরা যে সমস্যার মুখোমুখি হই সেটা আসলে আমাদের কারনেই কারণ আমরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা আবার সঠিক সময়ে সঠিক কাজ সঠিক ভাবে করতে পারিনা । সে কারণে আমাদের এত ভোগান্তি , আমাদেরকে পদে পদে এত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।

আশা করি আপনারা সকলেই বুঝতে পারছেন। আমরা তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেব । আর এই লক্ষ্য টাকে সামনে রেখেই কাজ করে যাব। 

আজকে এপর্যন্তই । সবাই ভাল থাকবেন………

Related Posts