আসসালামুয়ালাইকুম
সবাই কেমন আছেন,আশা করি সবাই ভালো আসেন?
ভুতের গল্প আমরা আগে পুরাতন মানুষের মুখে যেমন দাদা -দাদি, নানা- নানির কাছে গল্প শুনি,আমরা সেগুলো গল্প শুনে ভয় পেয়ে থাকি। কিন্তু তার পরেও আমরা ভাবি ভুতের গল্প অব্যাস্তব । ভুতের গল্প অব্যাস্তব হলেও কিছু গল্প ব্যাস্তব হতে পারে।
যেমন আমি নিজেই প্রমাণিত। আমার এই গল্পটি ভালো ভাবে পড়বেন প্রিজ,
আমার নাম মোঃ নাহিদ হোসেন,
অনেক দিন আগের ঘটনা,একদিন আমি আমার নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম,আমার নানার বাড়িতে যেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট,তো নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নানার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলা বলি হচ্ছিলো,
এমন সময় আমার নানা আমাকে একটা ভুতের গল্প শুনালো,তখন সময় ছিলো সন্ধ্যা ৬ টা।ঞনানার ভুতের গল্প শুনে আমার মনে একটু ভয়ের অনুভূতি হলো।
কিন্তু আমি নানাকে একথা বললাম।তারপরে সন্ধ্যা ৭টার সময় নানার বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঠিক ৯.৫০ অথবা ১০ টার সময় বাড়িতে আসার জন্য রহনা দিলাম,তবে আমার নানা বললো যে আমি কিছু পথ এগিয়ে আসি,আমি বললাম না নানা আমি একাই যেতে পারবো।আমাদের বাড়িও নানার বাড়িতে যেতে মাঝক্ষানে একটা বড় বিল আছে।তো আমি রাতেই রাস্তা দিয়ে না গিয়ে আমি সেই বিলের রাস্তা দিয়ে আমার বাড়িতে আসতে লাগলাম।তারপর আসতে আসতে আমি বিলের মাঝক্ষানে চলে আসলাম,
তারপরের গল্প শুনলে আপনাদের গায়ের লুম খাড়া হয়ে যাবে।
তো আপনারা সবাই জানেন রাতে একা পথ চললে সব কিছু নিস্তব হয়ে থাকে,কোন শব্দ পাওয়া যায় না।তবে একটা শব্দ কানে আসে সেটা হলো শ শ শ শব্দ।তার পরে আমি রাস্তা চলতে লাগলাম,কুটকুটে অন্ধকার ।আমার হাতে একটা চার্জার লাইট ছিলো,কিন্তু বেশি চার্জ ছিলোনা। তাই দুরের কিছু দেখা যেতো না।তারপর আমি কিছু শব্দ শুনতে পাই,তখন আমার মনে পরে যাই নানার ভুতের গল্প।
আমার তখন একটু করে ভয় পেতে থাকে।
রাত টা ছিলো খুব অন্ধ কার,আর ছিলো পুবালি মিলমিলে বাতাস,
আমার লাইটের চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে।এমন সময় হেঁটে আসার সময় পিছনে থেকে কিছু শব্দ শুনতে পেলাম। বাতাস থাকার সত্যেও আমার গাঁ ঘেমে যাচ্ছিলো,তারপরেও আমি হাঁটতে লাগলাম, হঠাৎ করে আমার লাইটের চার্জ শেষ হয়ে গেল।তখন আমি আরও ভয় পেতে লাগলাম।আমি এর আগে পুরাতন মানুষের মুখে শুনেছি এই বিল খুব ভয়ানক। কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি,আমি ভাবতে ভাবতে হঠাৎ পিছন দিকে তাকালাম আর দেখতে পেলাম একটা মানুষ সাদা কাপুর পরে আমাকে ডাকচ্ছে আর আমার দিকে এগিয়ে আচ্ছেন, মানুষের পা ও মুখ কিছু বুঝতে পারলাম না,সে যেন হাওয়ার সাথে ভেসে আচ্ছেন।
আমি ওই মানুষটাকে দেখে আরো ভয় পেতে লাগলাম আর ভয়ে আমার গায়ের লুম খারা হয়ে গেলো,আর আমি কাঁপতে লাগলাম।তারপরেও আমি অনেক কষ্ট করে দৌড়াতে শুরু করি,দৌড়াতে দৌড়াতে আমি বিল পার হয়ে আমাদের গ্রামে এসে যায়, বিলের ধারে একটা বাড়ি ছিলো ,আমি সেখানে এসে চিতকার করে ওই বাড়ির পাশে পরে যাই এবংগ্যান হারিয়ে ফেলি।তারপর গ্যান ফিরে আসার পর আমি দেখি বিছানায় শুয়ে আছি।আর আমার গায়ের খুব তাপ জর হয়েছে।আমি তারপর আমার মাকে সব ঘটনা খুলে বললাম।তখন মা একজন কবিরাজ কে ডেকে আনে এবং আমাকে সুস্থ করে। তারপরের আমি বিশ্বাস করলাম এই বিল খুব ভয়ানক বিল।