আমার খৈয়াছড়া ভ্রমন কাহিনি

আমরা মানুষ যতই আধুনিক হইনা কেনো।আমাদের মোন পোরে থাকে সেই প্রকৃতির কাছে। হাত বারালেই প্রযুক্তির ঝনঝনানি 3d তো মনে করিয়ে দেয় আমি সশরিরে উপস্থিত আছি। তার পরও মোন কি মানে। তাই তো আমরা সময় পেলেই ছুটে যাই। চিরোচেনা প্রকৃতির কাছে কারন সেখানেই আছে আমাদের আসল আধি সত্তা। আর এরকম একটি জায়গার নাম হলো খৈয়াছড়া। যেখানে আছে জল তরঙ্গের শব্দ। ঝর্নার  বহোমান পানির কল, কল শব্দ। বাতাসের নিরবাক শো শো করা মাতাল বাতাস। উচ্চ পারর্বতে আহরনের মতো রোমান্সোকর ভ্রমোন।

আমার যাত্রা

আমি চট্টগ্রামেই থাকি। শহরে মধ্যে ছোট্ট একটি বাসা নানান রকম কাজ শেরে যখন বারি ফিরি তখন কেলান্ত মোন চোখ বুঝলেই ঘুম।

খুব ভোরে রওনা দিলাম হালিশহর থেকে বাসে। ঠেলতে ঠেলতে কখন যে বাসের পেছনের সিটে চলে এসেছি বুজতে পারিনি যখন বাসের সিটে বসবো অমনি বাসের কন্টাক্ট্রর বলে উঠলো  এ কে খান চলে আসছে। যাই হোক সিটে আর বসার দরকার নেই পাঁচ টাকা ভারা দিয়ে নেমে পরলাম।

কিছুখন অপেক্ষা না করে বরং চায়ের দোকানে ঢুকে এক কাপ চা সাথে দুইটি তৈলে ভাজা পরোটা নিয়ে চায়ের মধ্যে চুবিয়ে, চুবিয়ে খেয়ে ফেলাম। ঘরিতে চোখ বোলাম তখন বাজছে সকাল ৯টা একটু বেশি ১০ মি:। যাক দোকানের বাইরে আসতেই দেখছি একটা বাস হাজির। কন্টাক্ট্র হাক দিয়ে ডাক ছারছে যাবেন? ভাই যাবেন? মিরেরসরাই, বরতাকিয়া, সিতাকুন্ড যাবেন? ভাই যাবেন জিগাস করলাম কন্টাক্ট্ররকে ভাই মিরেরসরাই ভারা কত? তিনি বললেন ৬০ টাকা। আমি বোললাম না ৫০ টাকা নিবেন কন্টাক্ট্রর বোললেন যান ঘারিতে উঠেন।

যাক গারিতে আবার গুম দিব ভাবছি অমনি চোখ গেলো দুরের পাহাড়ে হালকা হালকা এক গুচ্ছ মেঘের আভা পাহাড়ের গা ঘেষে চলে যাওয়া। ওহ্ বলা হয়নি তখন ছিল ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির দিন। এভাবে দেখতে দেখতে কখন যে মিরেরসড়াই চলে আসলাম যদি না বাসের হেলপার না বলতো তো যানাই হতো না।

গারি থেকে নেমে হাটা সুরু করলাম কিছু দুর যেতেই রাস্তার দুই পাশে ধান ক্ষেত বাতাসের ঢেউ খেলানি দোলায় মোনে হয় ধান সাগরে ঢেউ উঢেছে। সামনে কালো পাহাড় আপসা আপসা দেখা আচ্ছে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মেঘ পাহাড়ের গা ঘেষে উরে যাচ্ছে। মিনিট পঁচিশ হাটার পর পৌছালাম কাঙ্ক্ষিত পাহাড়ে ওঠার পথের কাছে। এবার শূরু কোরলাম পাহাড়ে ওঠা।  হাটতে হাটতে দেখলাম পাশে ছোট্ট একটা ঝুপরি দোকান পানি, বন, কলা ইত্যাদি নিয়ে বসে আছে।

আমি কাছে গিয়ে বোলাম ভাই পানির বোতোল কত করে? দোকানি বোলেন পনেরো টাকা। আমি এক বোতল পানি কিনে নিলাম  সাথে নিলাম ছয়টি কলা ১৮ টাকা দিয়ে কিছু চকলেট নিলাম মিষ্টিতে প্রচুর গুলোকোচ থাকে শরির কেলান্ত কম হয় বাচ।

আবার ওঠা শুরু করলাম। পাহাড়ের গা বেয়ে আকাঁ বাকাঁ  রাস্তা মাঝে মাঝে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি । হাতে একটা লাঠি নিলাম যাতে পা পিছলে পরে না যাই। হাটে হেটে চলে আসলাম ঝর্নার কাছে ঠান্ডা জলে নেমে গেলাম। সাথে আরো কিছু ভ্রমোন কারি কে দেখলাম তারা বেশ আনন্দ করছে পানিতে নামে সাতাঁর কাটছে। আমি সাতাঁর কাঠলাম হাতের মোবাইল দিয়ে কিছু ছবি তুললাম বিকালে হবের আগেই রওনা দিলাম বারির উদ্যেশে। হটাৎ দরজায় টোকা ঠক ঠক আমি ঘুম থেকে উঠলাম। ভাবলাম যেখানে গিয়েছিলাম গভির ঘুমের সপ্নের মধ্যে।

Related Posts

29 Comments

মন্তব্য করুন