আসসালামু আলাইকুম
আজকে আমি আপনাদের মাঝে ইন্টারনেট কিভাবে আবিষ্কার হলো এবং ইন্টারনেটের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইতিহাস তুলে ধরবো আশাকরি মনোযোগসহকারে সবাই পোস্টটি পড়বেন এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে দেখে নেবেন আর ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।সহজ ভাষায় বললে, আন্তর্জাল বা ইন্টারনেট হল এমন একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা পুরো পৃথিবীর সকল কম্পিউটারকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে। তবে আরেকটু বিস্তারিতভাবে বললে- কিছু কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত থেকে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরী করে। এভাবে পৃথিবীর অধিকাংশ কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত থেকে যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো তৈরি করেছে, সেগুলোর সমষ্টিকেই আমরা ইন্টারনেট বলি এবং আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো একে অপরের সাথে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে।
অর্থাৎ আমাদের বাসায় থাকা কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসটি যদি এই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের(ইন্টারনেট) সাথে কানেক্ট থাকে, তাহলে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকলের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা অন্য কম্পিউটারের সাথে আমরা ডেটা আদান-প্রদান করতে পারব।
এখন হয়ত আপনি প্রশ্ন করতে পারেন সকল কম্পিউটার কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থেকে নেটওয়ার্ক তৈরি করল? এই প্রশ্নের উত্তরটা আপনিই বলতে পারবেন যখন আপনি এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে শেষ করবেন ।
আর আমার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আসতে যাচ্ছে আজকে শুধু মাএ ইউটিউবার দের জন্য আমি পাঠা টু পার্ট করে সবাইকে বোঝাবো তাই আমার ওয়ান এবং টু পার্ট অলরেডি আমি পোস্ট করে দিয়েছি আপনারা অবশ্যই দেখে আসবেন।
ইন্টারনেট – এর ইতিহাস
ইন্টারনেট – এর প্রথম ধারনা আসে ১৯৫০ সালে যখন কম্পিউটার বিজ্ঞান অধ্যাপক লিওনার্ড ক্রাইনরক তার গবেষণাগার – ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস(ইউসিএলএ) থেকে অর্পানেটের মাধ্যমে একটি বার্তা স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআরআই) – তে পাঠান। ক্রাইনরকের পাঠান এই বার্তাটি ছিল ইন্টারনেটের প্রথম কোন তথ্য।
আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যারা গেম খেলতে ভালবাসেন তারা অবশ্যই আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করবেন।
আপনি হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন অর্পানেট আবার কি? অর্পানেট হল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তররের ১৯৬০ সালে তৈরি করা একটি নেটওয়ার্ক। এটিই ছিল কম্পিউটারের প্রথম নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের এক প্রান্ত ছিল ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং অন্য প্রান্ত ছিল স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।
তখনকার সময়ে ইন্টারনেট সেরা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হলেও ব্যবহারসুলভ ইন্টারনেট আসে ৭০ – এর দশকে। এই পুরদস্ত ইন্টারনেট আসার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রাখে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল। এই আইপি – এর সাহায্যে লক্ষাধিক অর্পানেটের মত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক একসাথে জুড়ে দেওয়া সহজ হয়ে গেল এবং এভাবে এর পরিধি বাড়তে লাগল। এই আন্তঃসংযোগের নাম দেয়া হল ইন্টারনেটওয়ার্ক সংক্ষেপে ইন্টারনেট। আশির দশকে ডোমেইন অর্থাৎ .com বা .org এর উৎপত্তি হল, ফলে ওয়েবসাইট এর সংখ্যা বাড়তে লাগল। ১৯৮০ সালেই ইউরোপের গবেষক, টিম বার্নাস লি WWW বা World Wide Web আবিষ্কার করলেন এবং তিনিই ১৯৮৯ সালে HTTP আবিষ্কার করলেন। এতে অনলাইনে অতি দ্রুত তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হল এবং এতেই হল বাজিমাত। এভাবেই ইন্টারনেট আমাদের মাঝে তার জায়গা করে নিল। শুধু তাই নয় আমরা প্রতিটি কাজে এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার করে থাকি এবং করছি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের পুরো বিশ্ব ডেভলপমেন্ট হচ্ছে তাই ইন্টারনেট মানুষের অতি কল্যাণকর একটি বিষয় এটি ছাড়া আমরা অচল এবং ইন্টারনেট পুরো বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করছে তাই আমরা ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার করব।
আজকের পোষ্টে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন আমার সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
পোস্ট টিতে কোন ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।