ইংরেজী অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে ইংরেজী পারা মানুষের ডিমান্ড ইংরেজী না পারা মানুষের তুলনায় হাজার গুণ বেশি। ভালো ইংরেজী একটা মানুষকে ভালো চাকরি পেতে সাহায্য করে। ইংরেজীর চাহিতা যেহেতু বর্তমানে অনেক বেশি তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত ইংরেজীতে ভালো করার চেষ্টা করা। আপনি যদি ইংরেজীতে ভালো করতে পারেন, চাকরি জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারবেন। ইংরেজীতে ভালো করার অনেক উপায় রয়েছে, আমি এখানে কিছু তুলে ধরলাম। আশাকরি উপকার হবে।
টিপ ১- নিজেকে অনেক প্রশ্ন করুন
আপনি কেন ইংরেজী শিখতে চাচ্ছেন? সর্বপ্রথম নিজেকে এই প্রশ্নটি করুন।
ইংরেজীতে ভালো করার জন্য কী কী শিখতে হবে?
ইংরেজীতে পুরোপুরি এক্সপার্ট হতে গেলে কতদিন সময় লাগবে?
প্রতিদিন কতটুকু সময় দিতে হবে?
শেখা শেষে নিজেকে টেস্ট করার জন্য কী করতে হবে?
ইত্যাদি।
এই ধরণের ব্যাসিক প্রশ্নগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন।
তারপর সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর নোট করুন।
টিপ ২- সঠিক গোল ঠিক করুন
ইংরেজী শেখার জন্য আপনি যতগুলো টপিক শিখতে চাচ্ছেন তার তালিকা করুন।
সেই টপিক গুলোর প্রত্যেকটার উপর আলাদাভাবে নজর দিন।
প্রত্যেকটা টপিক এর পাশে একটি করে গোল রাখুন যে এই সময়ের মধ্যে আপনি এই টপিকের এতগুলো লেসন শেষ করবেন।
প্রত্যেকটা টপিকের পাশে কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ দেয়ার পাশাপাশি একটি ডেডলাইনও দিন যে এই সময়ের মধ্যে আপনি এইটা শেষ করবেনই করবেন যত যাই হোক।
কোনো একটি টপিক সেই টপিকের পাশে লিখা গোল এবং ডেডলাইন অনুযায়ী শেষ করতে না পারার সম্ভাবনা না থাকলে তার পাশে শক্ত এবং কার্যকরী মোটিভেশন সেট করুন যাতে সেই গোল পূরণের জন্য সক্রিয় এবং মোটিভেট থাকতে পারেন।
টিপ ৩- গোলের উপর ভিত্তি করে বিষয়াবলীর ম্যাপ তৈরি করুন-
আপনার সেটকরা গোলগুলোর অন্তর্ভুক্ত টপিকসমূহের বিস্তারিত জানুন।
প্রত্যেকটা টপিকের বিস্তারিতসহ সবগুলো টপিকের ম্যাপ তৈরি করুন।
প্রত্যেকটা টপিকের অন্তর্ভুক্ত লেসনগুলোর তালিকা করে ম্যাপ তৈরি করুন।
কোন লেসনগুলো তুলনামূলক সহজ এবং কোন লেসনগুলো তুলনামূলক কঠিন সেইগুলো ও পাশে নোট করুন।
সহজগুলোর উপর কিছুটা কম সময় এবং কঠিনগুলোতে একটু বেশি সময় দিবেন, সেটাও নোট করুন।
কোন টপিকের কোন লেসন কোথা থেকে শিখবেন সেটাও নোট করুন। যেমন টিউটোরিয়াল বা এই বই বা ইউটিউভ ভিডিও ইত্যাদি।
এই সবগুলো নিয়ে একটি ম্যাপ তৈরি করুন।
টিপ ৪- পড়ার ম্যাপভিত্তিক রুটিন তৈরি করুন-
পড়া ম্যাপ থেকে কোন লেসন কোথা থেকে শিখবেন সিলেক্ট করুন।
কোন টপিকে কতক্ষণ সময় লাগবে সেটা নোট করুন।
টপিকের সময় অনুযায়ী একটি রুটিন তৈরি করুন।
সকালে এই টপিকগুলো, বিকেলে এই টপিকগুলো এবং রাতে এই টপিক পড়বেন- সেইগুলোর তালিকা বানিয়ে রুটিন তৈরি করুন।
টিপ ৫- ভুল করুন-
কোনো একটা টপিক পড়ার সময়, ভুল করা নিয়ে ভয় পাবেন না।
ইচ্ছেমতো ভুল করুন।
ভুল করা জিনিসটা নিয়ে মন খারাপ না করে বরং এইটা নিয়ে বেশি বেশি গভেষণা করুন।
টিপ ৬- অনেক বেশি চর্চা-
প্রাকটিস আপনার ইংরেজী শেখাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আপনি যত বেশি প্রাক্টিস করবেন তত বেশি শিখতে পারবেন।
অনেকগুলো টপিক ক্যাচ করার পর সেই টপিক নিয়ে বেশি বেশি প্রাকটিস করুন, তাহলে সেটা ক্যাচ করতে আরো বেশি সহজ হবে।
কোনো একটা টপিক না পারলে কিংবা কঠিন মনে হলে সেইটা নিয়ে বেশি বেশি প্রাকটিস করুন তাহলে সেইটা অনেক সহজ লাগবে।
টিপ ৮- শেষ করা টপিকের রিভিও দিন-
কোনো একটা টপিক শেষ করলে কিছুদিন পর পর সেটা রিভিও দিন।
আপনি যখন কোনো একটা টপিক শেষ করে রেখে দিবেন, তখন সেটা আপনি ভুলে যাবেন কিংবা মনে রাখার সম্ভাবনা কমে যাবে, তাই রিভিও দিন।