ইউটিউব মার্কেটিং করে আয় করুন মোবাইল দিয়ে
আসাল্লামুয়ালাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা আসাকরছি আনেন ভালো আছেন।কে না চাই বাসাই বসে থেকে কিছু ভালো পরিমানের টাকা ইনকাম করতে। এই আসা টুকু আমাদের সকলেরই রয়েছে।বিষেশ করে ছাত্র এবং বেকারদে ভেতরে এই ইচ্ছেটা অনেক বেসি দেখা যাই। আর এখনতো করনাভাইরাস মহামারির কারনে পূরো পৃথিবীর কমবেসি মানুষ বেকার হয়ে বাসাই বসে আছে। আর এই কারনে অনলাইনে টাকা ইনকামের চাহিদাও অনেক গুনে বেরে গেছে। কেউ বা সারাদিনব্যাপী খাটনি করে মাথার ঘাম মাতাই ফেলে যা ইনকাম করে তা দিয়ে একদিন কনো মতে চলে যাই। আবার কেউ বা সুধুমাত্র একটি কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করছে বৈদেশিক মুদ্রা যা আমাদের দেশে অনেক গুন বেশি।তো আজ আমি আপনাদের কে তেমনি একটি অনলাইন সাইটের বিষয়ে কথা বলব। আর সেটির নাম ইউটিউব মার্কেটিং। আজকে আমরা জানবো :
- ইউটিউব মার্কেটিং কি?
- কেন ইউটিউব মার্কেটিং করবেন?
- ইউটিউব মার্কেটিং করতে কি কি
লাগবে? - কিভাবে অর্থ উপর্জন করা সম্ভব?
- কত টাকা উপার্জন সম্ভ
- ইউটিউব মার্কেটিং কি?
ইউটিউব মার্কেটিং মুলত ইউটিউব দিয়ে করা হয়।
আর ইউটিউব কি সেটা আমরা সকলেই অনেক ভালো করে জানি। তবুও বলে রাখি ইউটিউব হচ্ছে একটা ভিডিও শেয়ারিং সাইট এবং পৃথিবীর সকল ভিডিও শেয়ার সাইটের মধ্যে ইউটিউব জনপ্রিয়। ইউটিউবে মানুষের ভির অনেক বেশী। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড এবং শেয়ারের করার মাধ্যমে কোন পণ্যের বা সেবার পরিচিতি ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং। সহজ ভাসাই, ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবা’র মার্কেটিং বা সেল করাকেই ইউটিউব মার্কেটিং বলে।
- কেন ইউটিউব মার্কেটিং করবেন?
ইউটিউব মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত ট্রাফিক পাওয়া যায় যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য অনেক সময়ের ব্যপার।
কোন প্রোডাক্টের ডিজাইন, ব্যবহারবিধি, দেখতে কেমন বা উতপাদনকারী, বিভিন্ন তথ্য একজন ক্রেতা ইউটিউব থেকে সহজেই দেখে নিতে পারেন। তারপরই সেই ক্রেতা সিদ্ধান্ত নেন প্রোডাক্টটি ক্রয়ের জন্য।
- ইউটিউব মার্কেটিং করতে কি কি লাগবে?
একটি ইউটিউব একাউন্ট
একটি মোটামোটি ভালো মানের কম্পিউটার বা আপনার হাতের মোবাইল আপনি যা দিয়ে ভিডিও সুট করা থেকে ইউটিউব মার্কেটিং এর প্রাই সকল কাজি অনেক ভালো ভাবে করতে পারবেন। ইন্টারনেট কানেকশন।ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। প্রথমে ফ্রি সফটওয়্যার দিয়ে কাজ সুরু করতে পারেন।
কিছু ভাল বন্ধু যারা নিঃস্বার্থভাবে আপনার সাথে কাজ করবে। এবং ইউটিউবে একাউন্ট খোলা।
- ইউটিউবে একাউন্ট খুলতে যা করতে হবে:
একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন নিজের সঠিক নাম, বয়স এবং ফোন নম্বর দিয়ে। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করুন। সেখানে (Create Channel) পাবেন। তার মাধ্যমে নিজের
চ্যানেল তৈরী করুন। একটা ভালো প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অ্যাড করুন। এবং আপনার নিজের ক্যামেরায় তৈরী যে কোনো ফুটেজ আপলোড করুন। আর যদি ভালো ভাবে জানতে চান তাহলে আপনি ইউটিউবে সার্স করে একটি ভালো ভিডিও দেখে সিখে নিতে পারেন যে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করতে হয়।
- কিভাবে অর্থ উপর্জন করা সম্ভব?
আমরা সকলেই জানি যে ইউটিউব ভিডিও দেখার একটি ওয়েবসাইট। যেখানে সকল প্রকার ভিডিও পাওয়া যাই । প্রতিনিয়ত এখানে অনেক ভিডিও আপলোড করা হয়। কেউ হয়তো তার বা তার ব্যান্ড এর গানের ভিডিও আপলোড করেন তো কেউ আবার তার কোম্পানির কোন ভিডিও। আবার কেউ আপলোড করেন মজার মজার ফানি ভিডিও তো কেউ শিক্ষণীয় কিছু। ভিডিও দেখার সময় আমরা দেখেছি যে অনেক সময় অনেক প্রকারের ১২সেকেন্ট ৫ সেকেন্টের অনেক বিজ্ঞাপন আসে।আর যে বিজ্ঞাপন দেখা যায় সেই বিজ্ঞাপনের জন্যই আসলে ইনকামটি করা সম্ভব। অবশ্যই সব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন থাকে না। যদি কেউ তার চ্যানেল বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অনুমোদন দেয় তবেই বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। আর সেই বিজ্ঞাপন থেকে গুগল এর আয় হওয়া একটি অংশ চ্যানেল এর মালিককে দেয়া হয়। এটি প্রধানত গুগল অ্যাডসেন্স (Google AdSense) এর একটি অংশবিশেষ।
- কত টাকা উপার্জন সম্ভব?
ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ভিউ। যে ভিডিও যত বেশী ভিউ হবে সে ভিডিও তত বেশী অর্থ উপার্জন করবে। তবে মোটামুটি ভাবে প্রতি হাজার মনোটাইজ ভিউতে ১ থেকে ৫ ডলার অবধি আয় সম্ভব। আর আমরা কম বেশি জানি যে ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভব।