আপনারা সবাই কেমন আছেন? সবাই ভালো আছেন তো? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন। আজকে আমি ইন্টারনেটের কিছু বিষয় নিয়ে নতুন একটি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে কিছু কথা—
বর্তমান বিশ্বে এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এই দুটি নাম শুনেনি। তাই আপনাকে যদি কখনো এই প্রশ্ন করা হয় যে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কার কোনটি? তাহলে আপনি নিশ্চয় বলবেন যে সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো কম্পিউটার! কিন্তু আজকের এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে যে বিষয়টি না থাকলে আমরা এক মুহুর্তও চলতে পারি না, তা হলো ইন্টারনেট। অথচ আমরা এই ইন্টারনেট সম্বন্ধে কতটুকু জানি? ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেটের সুবিধা, অসুবিধা ইত্যাদি ইত্যাদি!!
তবে আজকের এই পোষ্টে আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত যেমন ইন্টারনেট কি , কীভাবে কাজ করে, এর সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছি।
আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণে এ পোষ্টটি অনেক অজানা তথ্যই জানতে পারবে।
ইন্টারনেট এর আভিধানিক অর্থ
আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থে ইন্টারনেট শব্দটির অর্থ হলো অন্তর্জাল বা ভিতরের জাল। তবে যদি ইন্টারনেট শব্দটিকে ভেঙে অর্থ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে এর দুটো অংশ পাওয়া যাবে। যেমন— ইন্টার (inter) থেকে ইন্টারন্যাশনাল (international) এবং নেট (net) থেকে নেটওয়ার্ক (Network)। তবে অনেকেই ইন্টারনেটকে ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। কেননা ইন্টারনেট যা মূলত কতকগুলো নেটওয়ার্ক এর সমন্বয়ে গঠিত।আর যেখানে অজস্র কোটি কোটি নেটওয়ার্ক লক্ষ লক্ষ রাউটার এর মাধ্যমে একসাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে কানেক্ট হতে পারি যেকোনো সময়।
ইন্টারনেট ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মধ্যে পার্থক্য
এখন আমি ইন্টারনেট ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মধ্যে পার্থক্য নিয়ে কিছু কথা বলব কেননা আমাদের মধ্যে অনেকেই যারা মাঝে মধ্যে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কে সমার্থক হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই শব্দ দুটি সম্পূর্ণ আলাদা। ইন্টারনেট যা হলো হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এই দুটির সমন্বয়ে এমন একটি ব্যবস্থা যা বিভিন্ন কম্পিউটার সমূহের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে।
অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সম্পর্কে যদি বলি তাহলে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত প্রদত্ত পরিষেবা গুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল ব্যবহৃত সেবা।
ইন্টারনেটের সুবিধা-অসুবিধা
ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মধ্যে পার্থক্য তো জানলাম, এবার আমি ইন্টারনেটের কিছু সুবিধা ও সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধার কথা বলব। কেননা প্রতিটি জিনিসের বিপরীতে কিছু না কিছু বিষয় থাকে যা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক।
ইন্টারনেট! যার আশির্বাদে আজ সমস্ত বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোই চলে এসেছে এবং যার কারনে আমরা বর্তমানে ঘরে বসে থেকেই সমগ্র বিশ্বকে অবলোকন করে যাচ্ছি। কিন্তু ইন্টারনেট যদিও আমাদের অনেক সাফল্য নিয়ে এসেছে তবুও এর খারাপ বা কুফল দিকও উপেক্ষা করলে চলবে না। কেননা ইন্টারনেট ব্যবহারে যতো ক্ষতিকর প্রভাব বর্তমান সময়ে যাদের উপর দেখা পড়ছে তাদের ম্যাক্সিমাম হলো আমাদের ইয়াং জেনারেশন।
ইন্টারনেটে বর্তমানে খারাপ দিকগুলির মধ্যে অন্যতম যে একটি দিকটি তা হলো পর্নোগ্রাফি যার কারণল অনেক যুবক এমনকি যুবতী পা বাড়াচ্ছে ভয়াবহ ক্ষতির দিকে। কেননা অশ্লীল ভিডিও দেখার কারনে তরুন সমাজ হয়ে উঠছে ভয়ঙ্কর অপরাধী। যার ফলে সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে ধর্ষণ এবং খুন এর মত জঘন্য সব অপকর্ম।
পর্নোগ্রাফি ছাড়াও বর্তমানে আমাদের কিশোর কিশোরিরা স্কুলবিমুখী হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারের কারনে। কেননা ভিডিও গেইমস এর কারণে বর্তমান প্রজন্মের শিশু কিশোর কিশোরিরা ঘরের বাইরে যেতে চায় না একদম। যে সময়টা তাদের মাঠে ছুটোছুটি করে, খেলাধুলো করে কাটানোর কথা, সেই সময়টা তারা অপচয় করে পাবজি কিংবা ফ্রি ফায়ার খেলে। এতে তাদের মধ্যে অনেকেই শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও মানসিকভাবে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ইন্টারনেটের আরেকটি খারাপ দিক হলো ইনফরমেশন চুরি। বর্তমান সময়টাতে আমরা অনেকেই যারা খাতা কলমে তথ্য সংরক্ষণ করার বদলে ইন্টারনেটে স্টোর করে তথ্য সংরক্ষণ করি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি যারা আমাদের কম্পিউটার হ্যাক করে অনেকের অনেক মূল্যবান তথ্য চুরি করে তাদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। সামনে নতুন এক টপিক নিয়ে যেন আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসতে পারি তার জন্য দোয়া রাখবেন।
সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।