বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। বর্তমান সময়টি ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির যুগ হিসেবে সুপরিচিতি পেয়েছে। এর ব্যবহারের সুফল যেমন রয়েছে তেমনি মন্দ প্রভাবেরও কমতি নেই বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী ও উঠতি বয়সী তরুণদের। আজকের বিষয় বয়সভেদে ইন্টারনেটের যথেচ্ছ ব্যবহার ও এর ক্ষতিকর প্রভাব।
ইন্টারনেটের প্রভাব দিন দিন সমাজে ব্যাপক আকার ধারণ করছে। তরুণরা, বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তারা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি যেমন ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপ ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে।
আজ ইন্টারনেট একটি জীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাই তরুণরা এতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের পড়াশোনার আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে। অভিভাবকরা জানেন না যে তাদের সন্তানরা ইন্টারনেটে কী করে। তাই অল্প বয়স্করা নির্ভীক এবং তারা এর খারাপ প্রভাবগুলি না জেনে যে কোনও সাইটে ভিজিট করছে। সাধারণত তারা হ্যাকিং এবং অন্যান্য মন্দ ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকে, যাকে সাইবার ক্রাইম বলা হয়। ইন্টারনেটের অত্যধিক ব্যবহার যুবকদের একাডেমিক এবং সামাজিক ভাবে ক্ষতি করে থাকে।
প্রত্যেকেই বেশি মানসিক চাপ, হতাশাগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে। যুবসমাজ সামাজিক মূল্যবোধ ও রীতিনীতি ভুলে যাচ্ছেন। তারা মুডি ও নার্ভাস হয়ে গেছে। ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার প্রত্যেকের জীবনকে ব্যাহত করছে। এক্ষেত্রে পিতামাতার ভূমিকা কার্যকর হওয়া উচিত। তাদের বাচ্চারা ইন্টারনেটে কী করছে তা তাদের খেয়াল করা উচিত। তাদের অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ইন্টারনেটে বাচ্চাদের কী অ্যাক্সেস করতে হবে এবং যদি তারা চায় যে তাদের সন্তানরা ভাল নাগরিক এবং মানুষ হিসাবে সফল হউক তাহলে অবশ্যই ইন্টারনেটের যথেচ্ছ ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পড়াশোনা বাদ দিয়ে ইন্টারনেট নিয়ে মগ্ন থাকাটা কিছুতেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুখকর নয় যদি না সেটা সুঅর্থে ব্যবহৃত হয়। বড়দের এতে সুনজর অত্যন্ত জরুরি। তাই বড়রা ছোটদের ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন হউন। আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন নৈতিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে।
সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ…..