এই লেখাগুলো একবার হলেও পড়ুন,আপনিও হতে পারেন গরীব হলেও একজন সফল ব্যক্তি।

আচ্ছালামু আলাইকুম।আশা করি এখন পর্যন্ত সবাই ভালো আছেন।
আজকে আমি এই পোস্টটিতে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচন করব, যেটি দ্বারা আপনি ,আপনার পরিবার ,আপনার এলাকার মানুষ ,আত্নীয় স্বজন কেহ না কেহ উপকৃত হবেন ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মেধাবী ছাত্রছাত্রী রয়েছে।এদের মধ্যে হাজার হাজার মেধাবী গরীব ছাত্রছাত্রী রয়েছে।এই গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মনে অনেক আশা থাকে কিন্তু সবাই তা পূরণ করতে পারেনা।
কিভাবে পারবে?
তারা মেধাবী হলেও, তারা যে গরীব।এই জন্য দিনের পর দিন হাজারো মেধাবী অসহায় ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।সব মেধাবী গরীব ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন যেন শেষ না হয়ে যায়, সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের কিছু ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহায়তা হিসেবে, মেধাবী গরীব ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করে যাচ্ছে।যেই বৃত্তির টাকা পেয়ে হাজার হাজার গরীব অসহায় ছাত্রছাত্রী তাদের স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত করতে পারে।
সেই রকম একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বা ফাউন্ডেশন।যে সমস্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠান মেধাবী গরীব ছাত্রছাত্রীদেরকে আর্থিক সহায়তা করে আসছে তার মধ্যে অন্যতম এবং বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বা ফাউন্ডেশন।

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কোন কোন পর্যায়ে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বা ফাউন্ডেশন সাধারণত ২টি পর্যায়ে এই বৃত্তি প্রদান করে থাকে।তা হচ্ছে:
১: উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি পর্যায়ে ,
২: অনার্য পর্যায়,
এবার আমরা জানব কোন পর্যায়ে কত টাকা এবং কত বছর মেয়াদ :
১: উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি পর্যায়ে প্রতি মাসে ২৫০০টাকা করে দেয়া হয় এবং বাৎসরিক কিছু টাকাও দেয়া হয় ,এটার মেয়াদ ২বছর।
২: অনার্স পর্যায়ে প্রতি মাসে ৩০০০টাকা করে দেয়া হয় এবং বাৎসরিক ৬০০০টাকা করে দেয়া হয়, এটার মেয়াদ আপনার ভর্তির উপর নির্ভর করে,
1.আপনি যদি ৩বছরের কোর্স মানে ডিগ্রীতে ভর্তি হয়ে থাকেন ,তাহলে মেয়াদ ৩বছর
2.৪বছরের কোর্স মানে অনার্সে ভর্তি হয়ে থাকলে,মেয়াদ ৪বছর
এবং
3.৫বছরের কোর্স মানে মেডিকেল হলে ,মেয়াদ ৫বছর হবে।
তবে প্রতি ইয়ারে নবায়ণ করাতে হবে।
এবারে জানবো কিভাবে আবেদন করব এবং কোন সময়:
এসএসসি এবং এইচএসসি বোর্ড রেজাল্ট প্রকাশের ১ম সপ্তাহের মধ্যেই সার্কুলার দিয়ে দেয়া হয়।সার্কুলারের শর্ত অনুযায়ী কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করবেন।
এটি ২টি পর্যায়ে মনোনীত করা হয়:
১:প্রাথমিকভাবে মনোনীত,
২: চূড়ান্তভাবে মনোনী
সবার প্রথমে আপনাকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হতে হবে।আপনার সিমে ১টি ক্ষুদে বার্তা আসবে অথবা ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বা ফাউন্ডেশনের ওয়েব সাইটেও যারা প্রাথমিকভাবে মনোনীত হবেন তাদের সিরিয়াল নাম্বার দেয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে মনোনীতর পর ২টি কাগজ ডাউনলোড করতে হবে।এই কাগজ তারাই ডাউনলোড করতে পারবেন যারা শুধু মাত্র প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন।ডাউনলোকৃত কাগজের শর্ত অনুযায়ী নতুন করে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে কাগচ জমা দিবেন।
তারপর আপনাদেরকে মেথা ও পরিবারের আর্থিক দিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত মনোনীত করা হবে।
ধন্যবাদ ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডকে এবং ফাউন্ডশনকে।
এগিয়ে যাচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাক, এগিয়ে যাচ্ছে সোনার বাংলাদেশ।
কারো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে করতে পারেন।
ধন্যবাদ।

Related Posts

36 Comments

মন্তব্য করুন