একটি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার গল্প। সত্যিকার ভালোবাসার একটা চিত্র তুলে দরা হলো।

  • আজকে যাকে নিয়ে গল্পটা তার নাম হলো দীপ।দীপ একটা কোম্পানিতে চাকরী করতো বেশ ভালোই চিলো। দীপ একটা মেসে থাকতো।বেশ ভালো কাটতে লাগলো এভাবে এক বছর কেটে গেলো। হঠাৎ দীপ তার চাকরীটা হারালো তাই মন খারাপ নিয়ে বাসায় চলে আসলো।বাসায় এসে শুয়ে পড়লো। আর চিন্তা করতে লাগলো কি করবে । চিন্তা করতে করতে রাতে না খেয়ে ঘুমিয় পড়লো। সকালে ঘুম থেকে উঠে মানিব্যাগে হাত দিয়া দেখলো ৫০০০ টাকা আছে। এদিকে বাড়ি ভাড়া দিতে হবে।তাই রুমমেট হাসানকে  ৪০০০ টাকা দিয়ে বেড়িয়ে পরলো চাকরীর সন্ধানে।পথে হঠাৎ নিলীমা ডাক দিল । ও আপনাদের তো নিলীমার কথা বলাই হলোনা।নিলীমা হলো দীপের প্রেমিকা।দুজনেই একে অপরকে প্রচন্ড ভালোবাসে।

নিলীমাঃ জিঙ্গেস করলো কতবার ডাক দিলাম তোমাকে এদিকে কই যাও।রাতে কতবার কল দিলাম রিসিভ করলা না সকালে কল দিলাম মোবাইলটা বন্ধ কইরা রাখছো। দীপ হা করে তাকিয়ে রইলো মুখের দিকে আর ভাবতে লাগলো কি বলবে নিলীমার কাছে। চাকরীটা চলে গেছে এটা নিলীমাকে জানাবে কিনা ভাবতে লাগলো।

নিলীমাঃ কি হলো তাকিয়ে রইছো কেন কি বলছি শুনছো কথা বলছো না কেন।

দীপঃ কালকে শরীরটা একটু খারাপ ছিলো তাই মোবাইলটা সাইলেন্ট করে ঘুমাইছি।

নিলীমাঃ তোমাকে এ রকম দেখাচ্ছে কেন সকালে কিছু খেয়েছো।

দীপঃ হুম ( মাথা নারিয়ে)

নিলীমাঃ চলো আমার সাথে খাবে।

হাত ধরে নিয়ে গেলো একটা রেস্টুরেন্টে যেখানে আমরা সবসময় খেতাম। পেটে অনেক ক্ষুধা। কি করবো ভাবছি পকেটে মাত্র ১০০০ টাকা,এই টাকা দিয়ে কতদিন চলতে হয় কে জানে। মনে মনে খুব খারাপ লাগছে।  নিলীমা খাবার ওর্ডার দিলো।প্রতিদিনের মতো টাকাটা আমি দিলাম অবশ্য টাকা নাদিতে অনেক রিকুয়েষ্ট করছে। অনেক ঘুরাঘুরি করলাম।সেদিন আর চাকরীর খোজে যাওয়া হলোনা।

নিলীমাঃ  বাসায় গিয়ে কল দিও আমি অপেক্ষায় থাকবো।

দীপঃ হুম।

এভাবে কয়েকটা দিন কেটে গেলো।যে টাকা ছিলো সব শেষ কোনো চাকরীও পেলামনা।কত বন্ধুর চাকরী আমি দিছি আজ আমি নিজে চাকরী পাচ্ছিনা। এক বন্ধুকে কল দিলাম চাকরীর জন্য সে বললো এখন নাকি কোনো লোক নিবে না। এদিকে নিলীমার সাথেও যোগাযোগ হচ্ছেনা। ও অনেক ফোন দেয় কিন্তু কথা বলা হয়না কি বলবো কল রিসিভ করে।

পেটে খুব ক্ষুধা সামান্য মুড়ি খেয়ে আছি ২দিন,নিঃশ্বাস যেন আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসছে। যাদেরকে সবসময় আমি খাওয়াতাম আমি টাকা দিতাম তাদের কাছে টাকা চাইলে সবাই নাই বলে।পেটে ক্ষুধা নিয়ে একটু খাবারের খোজে রাস্তায় বের হলাম।ক্ষুধার যন্ত্রনা সয্য করতে পারছিলাম না। চারদিক যেন অন্ধকার হয়ে আসছে। হাটতে পারছিনা।যে কেউ দেখলে কেউ চিন্তে পারবে না। খুব শুকিয়ে গেছি। হাটতে পারছি না হঠাৎ মাথা ঘুরতে শুরু করলো।তাই পরলাম মনে হচ্ছে এখনি মারা যাবো।চোখে জাবসা দেখছি সবব।হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন নিলীমা চলে আসলো আমার অবস্থা দেখে কেঁদে ফেললো।আমায় জিঙ্গেস করলো কি হয়েছে আমি কনোরকম তাকে বুজালাম যে খুব ক্ষুধা লাগছে।সে একটা রিক্সা করে একটা রেস্টুরেন্ট এ নিয় গেলো। খাওয়া দাওয়া করিয়ে জিঙ্গেস করলো।

নিলীমাঃ কি হয়েছে তোমার চেয়ারার এ অবস্থা কেন।

দীপঃ আমার চাকরী চলে গেছে দেড় মাস আগে।পকেটে কোনো টাকা ছিলোনা।না খেয়ে এ অবস্থা হয়েছে।

নিলীমাঃ (একটা থাপ্পর মেরে) একবার আমায় বলার প্রয়োজন মনে করলা না। যদি তোমার পাশে না থাকতে পারি তাইলে ভালোবাসলাম কেন।তোমার দুঃখ কষ্টে সবসময় তোমার পাশে থাকতে চাই। যতদিন চাকরী না পাবা আমি তোমার খেয়াল রাখবো।

দীপ মুখের দিকে তাকিয়ে রইল আর তার চোখ বেয়ে পানি পরতে লাগলো।

Related Posts

39 Comments

মন্তব্য করুন