একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের জীবন কথা ও তার স্বপ্ন। শেষ পার্ট)

ইনসিয়ার বাবা ইনসিয়ার মাকে আবার চড় মারেন। ইনসিয়া এসব সহ্য করতে পারে না সে সিয়াম কে নিয়ে বাইরে চলে যায়। আর ইনসিয়ার বাবা ইনসিয়ার মাকে মারধর করতে শুরু করেন। ইনসিয়ার মায়ের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। ইনসিয়া সন্তান হয়ে এসব সহ্য করতে পারে না। সে ছুটে চলে যায় রুমের ভিতর। গিয়ে বলে চাই না আমার ল্যাপটপ আপনি এটা বিক্রি করে হার কিনে নিয়ে আসেন। ইনসিয়ার বাবা বলেন কোথায় সেই ল্যাপটপ? ল্যাপটপ নিয়ে আসো। ল্যাপটপ নিয়ে আসা হয় তারপর ইনসিয়ার বাবা বলেন এটা উঠে বাইরে ফেলে দাও। সবাই চুপ করে থাকে।

ইনসিয়ার বাবা বলেন আমি যা করতে বলেছি তাই করো। ইনসিয়া এবার প্রচন্ড অভিমানে ল্যাপটপ উঠে বাইরে ফেলে দেয়। ল্যাপটপ ভেঙে যায় সেই সঙ্গে ভেঙে যায় ইনসিয়ার সব স্বপ্ন। কয়েকটা দিন ইনসিয়ার খুব খারাপ কাটে। সে স্কুলে যায় মন খারাপ করে। বাড়ি ফিরে মন খারাপ করে। একদিন স্কুলে ইনসিয়া কে মনমরা দেখে চইতান তার কাছে আসে। সে তার সঙ্গে সুন্দর করে কথা বলে। তার কথা শুনে ইনসিয়ার মন হালকা হয়। এরপর চইতান বলে তোমার ভিডিও তে শক্তি কুমার কমেন্ট করেছেন। দেখেছো, উনি তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান। এতবড় সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। ইনসিয়া বলে আমার ল্যাপটপ ভেঙে গেছে এখন আমি কি করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করবো? চইতান বলে আমার ফোন দিয়ে তোমার ই-মেইল আইডি লগইন করো। সেখান থেকে শক্তি কুমার এর নাম্বার বের করে আমার ফোন দিয়ে কল করতে পারো।

ইমসিয়ার এর প্লানটা পছন্দ হয়। এরপর ক্লাসে গিয়ে চইতান ইনসিয়ার আইডির পাসওয়ার্ড চায়। ইনসিয়া মুখ চেপে হেসে তার হাতে পাসওয়ার্ড লিখে দেয়। চইতান দেখতে পায় পাসওয়ার্ড হচ্ছে তার নিজের নাম চইতান। চইতান অনেক খুশি হয়। পরেরদিন তারা শক্তি কুমার এর নাম্বার বের করে তার কাছে কল করে। শক্তি কুমার ইনসিয়া কে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। তিনি নাকি প্লেন এর টিকেট এর ব্যবস্থা করে দিবেন। কিন্তু ইনসিয়া এতে ভয় পেয়ে যায়। কারণ সে কোনো দিন এরোপ্লেন এ উঠে নি আর সবচেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে তার মা বাবাকে এসব না জানিয়ে তাকে মুম্বাই যেতে হবে। কারণ তারা জানলে ইনসিয়া কে যেতে দিবে না। ইনসিয়া এবার ভেঙে পড়ে। তখন চইতান ঠান্ডা মাথায় সব প্লান করে।

তাদের প্লান হচ্ছে ইনসিয়া প্রতিদিনের মতোই স্কুল বাসে করে স্কুলে আসবে। এরপর সে লেডিস ভাতরুমে ডুকে যাবে আর এরপর জানালা দিয়ে সে লাফ দিয়ে বের হয়ে স্কুলের পেছন গেট দিয়ে পালিয়ে এয়ারপোর্টে চলে যাবে। কিন্তু তারা গিয়ে দেখে স্কুলের পেছন গেট তালা দেওয়া। তখন ইনসিয়া কে বাধ্য হয়ে দেয়াল টপকিয়ে বের হতে হয়। চইতান বলে তুই কি ঠিক আছিস? ইনসিয়া বলে হ্যাঁ তুই?চইতান বলে আমি তো ঠিকই আছি। তখন ইনসিয়া বলে আচ্ছা শুন, আমিও তোকে ভালোবাসি। তখন চইতান অনেক খুশি হয়। এরপর ইনসিয়া এয়ারপোর্টে চলে যায়। সেখান থেকে প্লেনে করে সোজা মুম্বাই। সেখানে শক্তি কুমার এর পাঠানো একজন লোক তাকে রিসিভ করার জন্য অপেক্ষা করছিলো। সে ইনসিয়া কে শক্তি কুমার এর কাছে নিয়ে যায়। ইনসিয়া দেখতে পায় শক্তি কুমার কিছুটা এলোমেলো আধপাগল টাইপের লোক। ইনসিয়া এখানে কিছুটা ভয় পেয়েছিলো। এরপর শক্তি কুমার তাকে তার নিজের লেখা একটা গান গাইতে বলে।

ইনসিয়া অনেক চেষ্টা করেও শক্তি কুমার এর লেখা এই উলটা পালটা গান গাইতে পারছিলো না। শক্তি কুমার এক পর্যায়ে অনেক বিরক্ত হয়ে বলে এই মেয়ে কে দিয়ে কিছু হবে না। তুমি বাড়ি চলে যাও। ইনসিয়া বলে স্যার ভাতরুমে যাবো। এরপর ভাতরুম থেকে এসে সরাসরি শক্তি কুমার কে বলে স্যার আপনার গানের সমস্যা আছে। আমি কি নিজের মতো একটা গান গাইতে পারি? শক্তি কুমার তাকে সুযোগ দেন। এরপর ইনসিয়া তার পছন্দের একটি গান সবাই কে শুনায়। নিজের সম্পূর্ণ আবেগ দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে সে গানটি গায়। ইনসিয়ার কন্ঠে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। আর শক্তি কুমার এর সেই গানটি এতোই পছন্দ হয় তিনি সরাসরি সেটা ক্লেমারওয়াটে পাটিয়ে দেন। তার গান সবার সেরা হলে সে ভারতের সর্বোচ্চ পুরুষ্কার পাবে। এরপর ইনসিয়া কে তিনি এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেওয়ার সময় শক্তি কুমার বলে অনেক সুন্দর কণ্ঠ তোমার, যত্নে রেখো। আমি জীবনে এতো ভয়েজ শুনেছি কিন্তু তোমার মতো গোল্ডেন ভয়েজ এর আগে শুনিনি।

ইনসিয়া বলে স্যার আপনি আমার একটা সাহায্য করবেন? শক্তি কুমার বলে হ্যাঁ অবশ্যই করবো। ইনসিয়া বলে স্যার আপনি আমার আব্বু আম্মুর ডিবোর্স করিয়ে দিবেন? শক্তি কুমার এর মথা শুনে তার গাড়ি থামিয়ে দেন। শক্তি কুমার বলেন কেন? ইনসিয়া তাকে সিব খুলে বলে, বুঝিয়ে বলে সব কিছু যে তার বাবা কতোটা খারাপ মানুষ। শক্তি কুমার বলে আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমাকে একজন উকিল এর কাছে নিয়ে যাবো, ডিবোর্স স্পেশালিষ্ট। এরপর ইনসিয়া স্কুল ছুটি হওয়ার আগেই স্কুলে ফিরে আসে। আর এবার চইতান তার জন্য চাবি ম্যানেজ করে স্কুলের গেট খুলে রেখেছিলো। বাড়ি ফিরে গিয়ে ইনসিয়া দেখতে পায় তার বাবা সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন। ইনসিয়া অনেক বড়ো হয়েছে ইনসিয়ার বাবা তার পছন্দের একজন ছেলের সাথে ইনসিয়ার বিয়ে ঠিক করেছেন। সেই ছেলে সৌদি থাকে। এই মুহূর্তে বিয়ের কথা শুনে ইনসিয়ার মনটা খারাপ হয়ে যায়। পরের দিন সে আগের দিনের মতো মুম্বাইতে শক্তি কুমার এর সঙ্গে দেখা করতে যায়। শক্তি কুমার আজ থাকে একজন উকিল এর কাছে নিয়ে যান। ইনসিয়া সেই উকিল কে সব খুলে বলে। বলে যে তার বাবা কতোটা খারাপ মানুষ। আমার বাবা কথায় কথায় আমার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করেন, ছোট ছোট বিষয় নিয়ে গায়ে হাত তুলেন। সব শুনে তিনি বলেন আমি তোমাকে একটা ফাইল রেডি করে দিচ্ছি এখানে তোমার আম্মুর সাইন নিয়ে আসবে।

এরপর তোমাদের আর কোনো চিন্তা নাই। এরপর শক্তি কুমার ইনসিয়া কে আবার এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দেন। আর বলেন বাড়ি ফিরে গিয়ে চইতান এর ফোন দিয়ে আমার ফোনে একটা মিসকল দিও। ইনসিয়া বুঝতে পারে এই লোকটা আধপাগল দেখতে হলেও তার ভিতরে আছে একজন সাদা মনের মানুষ। ইনসিয়া তাকে জড়িয়ে ধরে। শক্তি কুমার বলে দেখে শুনে যেও, আমি আছি চিন্তা করো না। বাড়ি ফিরে গিয়া ইনসিয়া তার মাকে আএই ফাইলে সাইন করতে বলে। নাজমা বলেন এটা কি? ইনসিয়া বলে তোমার আর বাবার ডিবোর্স পেপার। নাজমা বলেন এতা কোথায় পেলি? এবার ইনসিয়া তার মাকে মুম্বাই ভ্রমণের সব ঘটনা খুলে বলে। সে কিভাবে মুম্বাই গিয়েছিলো কি ভাবে শক্তি কুমার এর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। নাজমা এসব শুনে রেগে গিয়ে বলেন কি পেয়েছিস তুই? একা একা মুম্বাই যাবি আম্মু আব্বুর ডিবোর্স করাবি। যদি তর কিছু হয়ে যেতো আমার কি হতো। আর কি ডিবোর্স ডিবোর্স করিছিস তুই আমি কেন তর বাবাকে ছেড়ে দেবো? ইনসিয়া বলে তোমার সারাটা জীবন অনেক কষ্টে কেটেছে মা। কথায় কথায় বাবা তোমার উপর হাত তুলে আর এখন সৌদিতে তার পছন্দের ছেলের সঙে আমার বিয়ে দিচ্ছে। বিয়ের পর আমার জীবনটাও তোমার মতো হয়ে যাবে। আমার জীবনটা শেষ হয়ে যাবে মা। আর তুমি এতো ভীতু তোমার মেয়ের জন্য তুমি কিছুই করতে পারো না।

এরপর ইনসিয়া সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর ইনসিয়ার দাদি তার কাছে এসে বলে তর মা ভীতু নয়। তুই যখন পেটে ছিলি ডাক্তার তর মাকে পরিক্ষা করে বলেছিলো মেয়ে হবে। তর বাবা মেয়ে হবে শুনেই অনেক রেগে গিয়েছিলো। মেয়েকে পেটেই নষ্ট করে দিবে। কিন্তু তর মা এতে রাজি হয় নি। এ জন্য তর বাবা সে সময় তর মাকে অনেক মারধর করেছিলো। এতোগুলো মার খেয়েও তর মা তর বাবার পা ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলো এবার এর মেয়ে টাকে অন্তত মেনে নাও। এরপর মেয়ে হলে না হয় নষ্ট করে দিও। শুধু তর জন্য তর মা এতো কিছু করেছিলো। আর এর পরেও তুই তর মা কে ভীতু বলবি? ইনসিয়া এসব শুনে একা তার মায়ের জন্য অনেক কান্নাকাটি করে। এরপর একদিন শক্তি কুমার তাকে ফোন করে বলে তোমাকে ২০ তারিখ মুম্বাই আসতে হবে। সেদিন পুরুষ্কার দেওয়া হবে। হয়তো তুমিই সেই পুরুষ্কার টি পাবে। ইনসিয়া বলে সরি স্যার আমি আসতে পারবো না আমি অই দিন আমার বাবার সঙ্গে সৌদি চলে যাচ্ছি। শক্তি কুমার বলে এতো বড়ো সুযোগ তুমি হাতছাড়া করবে? ইনসিয়া জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেয়। এরপর চইতান ইনসিয়ার কাছে এসে বলে তুই ২০ তারিখ চলে যাচ্ছিস? ইনসিয়া বলে হ্যাঁ। চইতান বলে আমি তোকে অনেক মিস করবো। ইনসিয়া বলে আমিও তোমাকে অনেক মিস করবো। এরপর ২৯ তারিখ চলে আসে। তারা সৌদি যাওয়ার জন্য বের হয়ে পড়ে।

তাদেরকে প্রথমে প্লেনে করে মুম্বাই যেতে হবে। সেখান থেকে সরাসরি সৌদি। তারা প্লেনে উঠে আর মুম্বাই গিয়ে পৌছায়। সেখানে এয়ারপোর্টে মাল চেকিং এর সময় ইনসিয়ার বাবা দেখেন ইনসিয়া তার সাথে গিটার নিয়ে যাচ্ছে। ইনসিয়ার বাবা রেগে গিয়ে বলেন তোমাকে সৌদিতে গিটার বাজানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছি না। এটা উঠে ডাস্টবিনে ফেলে আসো যাও। ইনসিয়া প্রচন্ড অভিমানে তার গিটারটা ফেলে দেয়। শেষ বারের মতো সে তার গিটারটা একটু ছুঁয়ে দেখে। নাজমা বলেন ইনসিয়ার কাছে গিটার ছাড়া আর কিছু নেই। সে ওটা নিয়ে যাক না। ইনসিয়া বলেন ওই আবর্জনা সঙ্গে নেওয়ার দরকার নেই। নাজমা বলেন ওইটা আবর্জনা নয়। ওইটা ইনসিয়ার স্বপ্ন। ইনসিয়ার বাবা এবার ধমক দিয়ে বলেন একবার তো বলেছি গিটার এখানেই থাকবে, কথা শেষ। নাজমা বলেন ঠিক আছে গিটার এখানেই থাকবে আর আমরাও। ইনসিয়ার বাবা ইনসিয়ার মাকে মারতে আসেন। ইনসিয়ার মা বলেন থামুন এখানে চারদিকে ক্যামেরা লাগানো আছে। যদি আপনি এখানে আবার গায়ে হাত তুলেন আমি সেটা ভিডিও করে ইউটিউবে ছেড়ে দেবো। ইউটিউবে ইনসিয়ার চ্যানেল আছে সিক্রেট সুপারস্টার। মিলিওন মিলিওন সাবস্ক্রাইবার অপেক্ষা করছে শুধু মাত্র একটা ভিডিও পাওয়ার জন্য। আপনার ভিডিও ছাড়লে কি হবে বুঝতে পারছেন? আপনাকে জেলে ডুকতে হবে। এরপর ইনসিয়ার মা ইনসিয়ার দেওয়া ফাইলে সাইন করে বলে আমি আর আপনার সঙ্গে থাকবো না। ফাইল টা পড়লেই আপনি সব বুজতে পারবেন। আপনি থাকুন আপনার মতো সৌদি চলে যান।

এরপর ইনসিয়ার মা ইনসিয়া কে সঙ্গে নিয়ে বের হয়ে যাওয়া শুরু করে। ইনসিয়ার বাবা বলেন তোমরা কোথায় যাচ্ছো? পাসপোর্ট সব করা আছে চলো, ঠিক আছে গিটার টা নিয়ে নাও। তবুও ইনসিয়ার মা থামে না। গেইটে দাড়িয়ে থাকা লোকটি বলে একবার বাইরে গেলে আর ডুকতে পারবেন না। ইনসিয়ার মা বলে আমাদের আর ডুকার প্রয়োজন নেই, তারা চলে যায়। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে ইনসিয়া তার মাকে জড়িয়ে ধরে। আর তারা প্লান করে যেহেতু এখন তারা মুম্বাইতে আছে তারা সরাসরি ক্লেমারএওয়ার্ড অনুষ্ঠানে চলে যাবে। কপাল ভালো হলে ইনসিয়া সেরা কণ্ঠশিল্পী পুরষ্কার পাবে। এরপর তারা সেখানে চলে যায়। সেখানে চইতান ও এসেছিলো। আর এরপর যখন পুরষ্কার ঘোষনা করা হয় কণ্ঠশিল্পী মোনালি ঠাকুর কে স্টেজে ডাকা হয়। শক্তি কুমার পুরোপুরি অবাক হয়ে যায়। পুরুষ্কার টি ইনসিয়ার পাওয়ার কথা ছিলো। ইনসিয়া আর তার মা এতো আশা নিয়ে এসেছিল তাদের সব আশা মাটি হয়ে গেলো। ইনসিয়ার মনটা ভেঙে যায়। আসলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কোনো আশাই পূরণ হয় না। তখন স্টেজে মোনালি ঠাকুর বলেন আমাকে স্টেজে ডাকা হয়েছে পুরষ্কার নেওয়ার জন্য না, পুরষ্কার দেওয়ার জন্য। আমার হাত দিয়ে সেরা কণ্ঠশিল্পী কে পুরষ্কার টি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।

আর এ বছরের সেরা কণ্ঠশিল্পী হচ্ছে সিক্রেট সুপারস্টার। তাকে স্টেজে ডাকা হয়। আর হাজার হাজার মানুষ এসেছে শুধুমাত্র সিক্রেট সুপারস্টার এর মুখটা দেখার জন্য। সবার অনুরোধে ইনসিয়া তার মুখ দেখায়। আর স্টেযে গিয়ে বলে আমি কোন সুপারস্টার নই। আসল সুপারস্টার হচ্ছে আমার মা। ছয় বছরে ছিলাম আব্বুর পকেট থেকে টাকা চুরি করে আম্মু আমাকে গিটার কিনে দিয়েছে। একটা ল্যাপটপ এর অনেক শখ ছিলো মা তার জন্য তার গলার হার বিক্রি করে আমাকে ল্যাপটপ কিনে দিয়েছে। একজন সিংগার হওয়ার স্বপ্ন ছিলো সেটা মার জন্য পূরণ হয়েছে। আর আমি যখন তার পেটে ছিলাম বাবা চাইতেন না আমি পৃথিবীতে আসি। আমাকে পৃথিবীতে আনার জন্য মা যে পরিমান যুদ্ধটা করেছেন সেটা পৃথিবীর আর কোনো যুদ্ধা করতে পারবে না। আমার জীবনের গল্প আমার আম্মু লিখেছেন। সুপারস্টার হওয়ার স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম আর পূরণ করেছেন আমার মা। মা তুমি ভীতু নও, পৃথিবীর সেরা মা। ইনসিয়ার মা কাঁদতে শুরু করেন। ইনসিয়া ছুটে গিয়ে তার মাকে জড়িয়ে ধরে। তার জন্যেই ইনসিয়ার আজ স্বপ্ন পূরন হয়েছে।আজ ইনসিয়া প্রতিষ্ঠিত।

গল্পটি এখানেই শেষ করছি, আর হ্যা গল্পটি ভালো লাগলে বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন।
আল্লাহ হাফিজ

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন