চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ক্রিকেটার সম্পর্কে যারা ক্রিকেট খেলার পূর্বে অন্য পেশায় নিয়োজিত ছিলেন…
আমরা আমাদের তালিকায় প্রথম স্থান করে দিতে চাই টরেন্ট লেভেরক (বারমুডা) কে।
স্টার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পূর্বে তিনি পুলিশ পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। এরপর তিনি ভাগ্যবশত বারমুডা জাতীয় দলে যোগদান করেন। যেখানে তিনি একজন অফ স্পিন বোলার হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। 34 টি ওয়ানডে ম্যাচ এবং দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উইকেট সংখ্যা 32।
আমরা আমাদের তালিকায় পরবর্তীতে ইউজভেন্দ্র চাহাল কে স্থান দিতে চাই।
তিনি বর্তমানে ভারতের জাতীয় দলের একজন অন্যতম লেগ স্পিন বোলার। তবে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পূর্বে তিনি ভারতের একজন ট্যাক্স ট্রেজারার হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়াও তিনি জুনিয়র পর্যায়ে ভারতের হয়ে দাবা খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেন।
এ পর্যন্ত তিনি 84 উইকেট শিকার করেন মাত্র 39 টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে এবং 48 উইকেট শিকার করেন মাত্র 24 টি টুয়েন্টি ম্যাচে।
আমরা আমাদের তালিকায় পরবর্তীতে স্থান দিতে সেন্ডরোল কট্রেল কে।
তিনি আজ পর্যন্ত দুটি টেস্ট তিনটি ওয়ানডে এবং টেস্ট টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট 51 উইকেট স্বীকার করেন।
সচরাচর জামাইকার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিনি নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়া তিনি ওয়েস্টইন্ডিজের সেনানিবাসে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বরত ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যবশত তিনি ক্রিকেটকে তার পরবর্তী জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তিনি অতটা নিয়মিতভাবে যোগদান না করলেও তার স্যালুট পূর্ণ স্বভাবের জন্য তিনি সকলের কাছে পরিচিত। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে আউট দিয়ে স্যালুট করাটাই তার ব্যক্তিগত স্বভাব।
আমরা আমাদের তালিকায় পরবর্তীতে স্থান দিতে চলেছি নাথান লায়ন কে। একজন মাঠকর্মী যে কোনদিন দেশের অন্যতম বোলিং ফিগার এ পরিণত হবেন তা হয়তো বা খুব কম লোকেরই আন্দাজ ছিল। তবে অবশেষে সেটি ঘটে গেল। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান বোলিং ফিগারের অন্যতম স্তম্ভ। ওভালের মাঠ কর্মী হিসেবে তিনি অনেকদিন নিয়োজিত ছিলেন। আর এভাবেই উঠে আসা একজন ক্রিকেটার তিনি।
এপর্যন্ত নাথান লায়ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে 86 টি টেস্ট ম্যাচ খেলে 340 উইকেট শিকার করেন এবং 40 টি ওয়ানডেএবং দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন।
আমরা আমাদের তালিকা পরবর্তীতে স্থান করে দিতে চাই মিচেল জনসনকে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং স্তম্ভের অন্যতম ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন একজন ট্রাক ড্রাইভার ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের সার্থে হয়তোবা তিনি আজ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের একজন অন্যতম বোলিং স্তম্ভ।
2005 সালে শুরু হওয়া তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তিনি মোট 153 টি টোয়েন্টি এবং 48 টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।
বন্ধুরা আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর্টিকেলটি শেয়ার করে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে সাথেই থাকবেন এবং আমার অন্য পোস্টগুলো পড়ার জন্য আপনার আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ…