কক্সবাজার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে রয়েছে সবচেয়ে সুন্দর একটি জায়গা,যে যায়গায় প্রতিটি বছর শীতকালীন থেকে শুরু করে গ্রীষ্মকালে ও টুরিস্টে  ভরপুর থাকে।অর্থ্যাৎ সারাবছর টুরিস্ট থাকে, সে জায়গা টা হচ্ছে কক্সবাজার?কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে অনেক কিছু দেখলাম আর সৌন্দর্যময় কিছু জিনিস কিনে আনলাম,প্রথমে আমরা সবাই নৌকা নিয়ে আমাদের স্কুল থেকে বের হয়ে রওনা শুরু করি,,নৌকা নিয়ে হারীয়াখালী এসে সিএনজি তে উঠলাম।তারপর আমরা পৌঁছলাম টেকনাফ।টেকনাফ থেকে বাসে করে সবাই পৌঁছলাম  কক্সবাজার।কক্সবাজার এসে প্রথমে গেলাম হিমছড়ি।হিমছড়ি এসে আমরা ঘুরলাম,প্রথমে আমরা হিমছড়িতে ঘুরার টাইমে হঠাৎ দেখতে পেলাম একটা বড় হাঙ্গর মাছ।আমরা সবাই চিৎকার দিয়ে উঠলাম আনন্দে,এরপর সবাই হাঙ্গর মাছের মুখ থেকে ডুকে বের হলাম লেজ দিয়ে।হাঙ্গর মাছের ভিতরে দেখলাম অন্ধকার আর সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।তারপর সবাই হিমছড়ি উঁচু পাহাড়ে উঠে অনেক্ষণ যাবত ঘুরাফেরা করলাম।আর সবাই এক এক জন এক এক স্টাইলে সেলফি তুলেছিলাম এন্ড সবাই এক ফ্রেমে বন্দি হয়ে ফুল ছবি তুললাম।সবাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম তখন।তারপর সবাই আবার বাসে করে চলে গেলাম কক্সবাজার সী-বীচে,সেখানে গিয়ে দেখলাম কি সুন্দর সুন্দর ঝাউবন।আর কি সুন্দর করে পুলিশ ফাঁড়ি আছে মানুষের জন্য তা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।সেখানে দেখলাম অনেক রকমের মানুষ এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা লোকজন।এরপর সবাই ফুটবল খেলার জুতো পড়লাম একত্রে,আর সবাই কাপড়চোপড় খুলে পেলে  জার্সি পড়লাম।আর সবাই একত্রে দুই দলে বিভক্ত হয়ে স্যার কে রেফারি দিয়ে ফুটবল খেললাম।আমাদের ফুটবল খেলা চলছিল ৫০ মিনিটের যেখানে ২০ মিনিট ২০ মিনিট খেলা এবং বাকি ১০ মিনিট ছিল হাফ টাইম।প্রথমার্ধে আমরা ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু কপাল ভাল ছিল সবাই দ্বিতীয়ার্ধে ভাল করে পাশ খেলে তাদের কে ৩-২ এ হারিয়ে ছিলাম।এরপর ফুটবল খেলে সবাই আমরা একসাথে সমুদ্রে গোসল করলাম।গোসল করার টাইমে  স্যার আমাদের জন্য   রুম বুকিং এর জন্য চলে গেল।দেখলাম স্যার আমাদের জন্য কক্সবাজারের একটি নামীদামী হোটেল এক নামে পরিচয় সী বীচ হোটেলে রুম বুকিং করে চলে এসেছে। তাই গোসল শেষ করার সাথে সাথে আমরা রুমে এসে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। এরপর সবাই একসাথে ঐখানে রাতে ডিনার করলাম। ডিনার করে সবাই একসাথে সাউন্ডে গান দিয়ে নাচতে নাচতে রাত প্রায় দুইটা বেজে গেল।তারপর সবাই ঘুমিয়ে পড়ছিলাম,তারপর সকালে উঠে চলে গেলাম সবাই চার্কিট হাউসে,সেখানে সবাই একসাথে দৌড়ালাম, ব্যায়াম করলাম অনেক রকম।তারপর রুমে এসে নাস্তা করলাম।নাস্তা করে সমুদ্র পাড়ে গিয়ে সবাই কেনা কাটা করলাম।কেনাকাটা করার সময় দেখলাম কত সুন্দর সুদর চুড়ি,ঝিনুকের মালা,হাতের ব্যাসলাইট,সাল,গেন্জী লুঙ্গী , পেন্ট,সেন্ডেল,জুতো,সানগ্লাস,চশমা ইত্যাদি,যার যে টা যে টা চয়েস সে সেটা সেটা নিয়ে রুমে চলে এলাম। তারপর আবার বাসে উঠে বাসায় চলে এলাম।এটাই ছিল আমার জীবনে কক্সবাজার ভ্রমণের অভিঙ্গতা।

 

লেখকঃহাবিবুর রহমান

ভ্রমণঃ২০১৪ সাল

 

Related Posts