বর্তমানে করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাব্যবস্থা খুবই পিছিয়ে। এই সময়ে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা তারা পাচ্ছেনা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার প্রতি যথেষ্ট মনোনিবেশ করতে পারছেনা। যার দরুন শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পরছে। কিন্তু এমতাবস্থায় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।
কারন করোনা ভাইরাসের আক্রমন একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে না আসলে স্কুল কলেজ চালু রাখার চিন্তায় অগ্রসর হওয়া যায়না। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে তরুন সমাজ নানা ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জরিত হচ্ছে। এবং নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে তারা দুইবার ভাবছেনা। আর অনেক পরিবারে বাল্যবিবাহ হচ্ছে।
মেয়েরা শিক্ষা থেকে অনেক পিছিয়ে পরছে। তরুন তরুনীরা শিক্ষার অভাবে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পরছে।দেশের বর্তমান ভবিষ্যৎ ধীরে ধীরে পতিত হয়ে যাচ্ছে। গ্রাম অঞ্চলে সবধরনের সুযোগ সুবিধা না থাকার কারনে অনেক শিক্ষার্থীরাই অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই তারা লেখাপড়া দিকে অগ্রসর হতে পারছেনা।
আবার এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে মেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের লেখাপড়ার যথেস্ট সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।তার আগেই মেয়েদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হচ্ছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি অভিবাবকদের ও লেখাপড়ার বিষিয়ে যথেস্ট ধারনা দিতে হবে যেন তারা তাদের সন্তানদের ভালোভাবে শিক্ষা দিয়ে বড় করে।
তাদের দিকে যেন খেয়াল রাখে। তাদের সন্তানতা কোথায় যায়, কি করে, ঘর থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা কি ক্ষেত্রে খরচ কতে সেই বিষয়ে যেন বাবা মা যথেষ্ট খেয়াল রাখে। মা বাবার সন্তানদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরন করতে হবে যেন তারা তাদের কাছে কোনো কথা না লুকায়। তাহলে অপকর্ম অনেক কমে যাবে এবং তরুন সমাজ ভবিষ্যতে উন্নতি করতে পারবে।
তাছাড়া আমাদের সকলের চারদিকে ভালো ভাবে খেয়াল রাখা উচিৎ যেন কোথাও কোনো দুর্ঘটনা নজরে পরলে সাথে সাথে জরুরি ভিত্তিতে পুলিশকে জানানো হয়। আর সকলেই সকলের বিপদে এগিয়ে আসা উচিৎ। আমরা যদি সবাই একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করি তাহলে আমাদের দেশ থেকে অপকর্ম অনেকাংশে কমে যাবে এবং সুন্দর,সুস্থ্য দেশে পরিনত হবে।তাই আমাদের সকলের উচিৎ যে যার মতো লেখাপড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া। দেশকে উন্নতির শিখরে পৌছানোর জন্য আমাদের নিজ প্রচেষ্টার প্রয়োজন।