করোনা ভাইরাসের জন্ম, এর ক্ষতি, এর সুবিধা ও এবং এর থেকে বাঁচার উপায়

বর্তমান সারাবিশ্বে নভেল করোনা ভাইরাস ব্যাপক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এই ভাইরাসটি সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয় চীনের উহান শহরের একটি মাছ বাজার থেকে। এবং সেখানেই এক সাইন্স ল্যাব্রটারীতে এই ভাইরাস এর নামকরণ করা হয়।

 

এই ভাইরাসটি ধীরে ধীরে সারাবিশ্বে এক মহামারীর আকার ধারণ করে নেয়।

বাংলাদেশে এই করোনা ভাইরাস বিশাল ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে চলেছে

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস এর রোগী সর্বপ্রথম ৩ জনকে শনাক্ত করা হয়। এবং পরের কয়েক দিন এর মধ্যে এই করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত এর সংখ্যা বেড়ে ১৫৮ এ পৌঁছে যায়। বর্তমানে করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিন এর আক্রান্তের সংখ্যা বিরাট আকারে বাড়ছে। এখনো পর্যন্ত এই করোনা ভাইরাস এর কোনো প্রতিকার বের হয়নি।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস এর সংখ্যা:

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয় ৩ জনকে। এদের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও এক জন নারী।

কিছু দিনের মধ্যেই এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৮ জন।

বর্তমানে করোনা ভাইরাস এর সংখ্যা প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মতো বাড়ছে।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের মোট আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ৯৮৪০ জন (০২/০৫/২০২০)

মোট করোনা ভাইরাস এর পরীক্ষা হয়েছে ৭৬০৬৬ জন এর মধ্যে সনাক্ত করা হয়েছে ৯৮৪০ জন।

মোট করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১৭৫ জন।

মোট করোনা ভাইরাসে সুস্থ হয়েছে ১৭৭ জন।

করোনা ভাইরাসের কারণে হওয়া ক্ষতি সমুহ:

নোবেল করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সকল দেশই ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে সকল শিল্পকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সকলে সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউন পালন করছে। ফলে সকল কর্ম বন্ধ রয়েছে।

করোনা ভাইরাস এর লক্ষণ:

করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত হওয়ার ১ম দিন হালকা জ্বর মাথাব্যথা ও সর্দি থাকবে

২য় দিন জ্বর ও সর্দির মাত্রা বেড়ে যবে, এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০২° হয়ে যাবে।

৩য় জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দির, ও তাপমাত্রা আরো বেড়ে যাবে এবং নতুনভাবে স্বসকষ্ট শুরু হবে।

করোনা ভাইরাসের সুবিধা:

করোনা ভাইরাসের কারণে যেমন ক্ষতি হচ্ছে তার থেকে একটু কম হলেও উপকার হচ্ছে।

প্রতিদিন এর যানবাহনের ধোঁয়া ও কলকারখানার কালো ধোঁয়া যা বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যস উৎপন্ন করে। ফলে আমাদের বায়ুমণ্ডলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এবং প্রতিদিনের ধুলো বালি, ময়লা আবর্জনা ও ডায়ীঙ্ক শিল্পের দূষিত পানি পরিবেশের সাথে মিশে পরিবেশ দূষণ করছে। অন্যদিকে জঙ্গলে সকল পশুপাখি শিকার হতে হতে এখন‌ বিলুপ্ত প্রায়।

কিন্তূ এই করোনা ভাইরাসের কারণে সকল যানবাহন এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ফলে বায়ু দূষণ হচ্ছেনা। আবার লকডাউন এর কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছেনা ফলে প্রকৃত আবারো নিজের সজীবতার মধ্য দিয়ে ডানা মেলে তুলছে। আবারো পশু পাখি শিকার না হওয়ার কারণে বিলুপ্ত প্রায় সব পশুপাখির আবার আবির্ভাব দেখা দিয়েছে। এক কথায় প্রকৃত তার নতুন জীবন পেয়েছে।

 

করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়:

 

যেহেতু করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিকার বের হয়নি তাই আমাদের নিজেদেরই সতর্ক থাকতে হবে। করোনা ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকার উপায় নিচে দেওয়া হলো:

১, পরীক্ষার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং ঘন ঘন নিজের হাত ধুতে হবে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত।

২, কারো সাথে মেলামেশা করা যাবেনা ও সকলের কাছ থেকে নীম্ন‌ত ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে।

৩, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বেড় হওয়া যাবেনা। জরুরি প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই হাতে গ্লাপ্স এবং মুখে একটি মাস্ক পড়ে নিতে হবে

সকলে মিলে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই করোনা নামক মহামারীর হাত থেকে বাঁচা যাবে।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন