করোনা ভাইরাস নিয়ে মন খারাপের কোন দরকার নাই।

এটি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা মাত্র। এটিকে আপনি ভয় পাবেন না। এটিকে আপনার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত ও হেদায়েতের পথ বলতে পারেন। কারন আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, আরশ আজীমের একমাত্র অধিপতি তিনিই। তিনিই মহান ও উত্তম পরিকল্পনাকারী এবং নিঃসন্দেহে তিনি তার দাসের প্রতি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। আজকের যে মহামারী এটা নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবহানাল্লাহু ওয়াতা’য়ালা তুলে নিবেন। এর অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে একটাই। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী, আমাদের একমাত্র উচিলা, আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবীব, হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর উম্মত আমরা। আর আমাদের মহা মুনীব আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তার হাবীবের সুন্নতের রক্ষাকারী। যুগে যুগে মহামারী এসেছিল এবং আল্লাহর অশেষ কৃপায় তা আবার চলেও গেছে। আর মহামারী যে আল্লাহ তুলে নিবেন সেটা প্রত্যেক মোমেন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। কারন মহামারী তুলে নেওয়া সুন্নতে রাসুল। যারা একসময় নামাজ পড়ত না তারা এখন মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছে। যারা এক সময় সুদ খেয়েছে তারা এখন সুদ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যারা এক সময় খারাপ কাজ করত তারা আল্লাহর ভয়ে সেখান থেকে ফিরে আসতেছে। যারা এক সময় অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল তারা এখন আল্লাহর  ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। যারা একসময় মসজিদ বিমুখ ছিল আজ মসজিদে নামাজ বন্ধের ঘোষনায় তাদের মন কেঁদে উঠতেছে। যারা একসময় টাকার পিছনে ছুটছে এখন তারা নীরবে দান করতেছে। যারা একসময় ইচ্ছে মত চলাফেরা করেছে তারা এখন সাক্ষাতে, ফোন করে, অথবা সোসাল মিডিয়ায় যার যার পারসোনাল চ্যাটে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে। আল্লাহু আকবর।

যাদের মন আজ কাঁদছে আল্লাহ ভীতিতে যাদের আজ সামাজিক পরিবর্তন এসেছে তারা নিঃসন্দেহে আল্লাহর হেদায়েত প্রাপ্ত। এটা ঈমানদারের লক্ষ্মণ। এটা রাসুলের প্রতি ভালবাসা। এটা আল্লাহকে খুশি করানোর মাধ্যম। রাসুলে কারীম (সঃ) এর প্রত্যেক বানী আজ উত্তমরুপে প্রমানিত। তিনি বলেছিলেন – তোমরা কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার কিছু নিদর্শন দেখতে পাবে সেটা হলো  যখন দেখবে, একটা দিনকে মনে হবে একটা ঘন্টার মত, একটা সপ্তাহকে মনে হবে একটা দিনের মত, একটা মাসকে মনে হবে একটা সপ্তাহ’র মত, আর একটা বছরকে মনে হবে একটা মাসের মত তখন বুঝবে কেয়ামত খুব সন্নিকটে। রাসুল (সঃ) এর বলা সেই বানী আজ বিশ্বাসীদের পাশাপাশি অবিশ্বাসীরাও প্রমাণ পাচ্ছে। আমরা সেই নবীর উম্মত যে নবী  আল্লাহর অতি প্রিয় একজন হাবীব। আমাদের উপর এই মহামারী আল্লাহ তুলে নিবেন ইন’শা আল্লাহ। একটাই অনুরোধ সকলের প্রতি সেটা  হচ্ছে, করোনা ভীতিতে আল্লাহর প্রতি যারা এখন মনোনিবেশ করেছেন তারা যেন এই দুর্যোগের ভয়াবহ মুহুর্ত কেটে গেলে অকৃতজ্ঞ হয়ে না যায়। তারা যেন তাদের মা বাবাকে আবারও বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে না আসে। তারা যেন আবার সুদ না খায়। তারা যেন আবার বেপর্দা চলাফেরা না করে। তারা যেন সবার সাথে সদ্ব্যবহার করে। তারা যেন মা-বাবাকে আর কষ্ট না দেয়। তারা যেন জুলুম না করে। তারা যেন এতিমের টাকা আত্মসাৎ না করে। তারা যেন আল্লাহ ও তার রাসুলের শানে বেয়াদবি না করে। তারা যেন সঠিক পথে নিজের বাকী জীবন পরিচালনা করে। তারা যেন যাকাত দেয়। তারা যেন সালাত আদায় করে। আসমান ও জমিনের একমাত্র মালিক হল রাব্বুল আলামীন। তিনিই আমাদের রক্ষাকর্তা, তিনিই আমাদের পালনকর্তা। আমরা তারই ইবাদত করি। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর ইলাহ নেই। আমাদের তার নিকট ফিরে যেতে হবে। অতএব আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। আল্লাহু আকবর।

Related Posts