করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করবে বাংলাদেশ

 

জুনে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো শুরু করবে বাংলাদেশ।

চীন ও যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চালাবে বাংলাদেশ।প্রাথমিকভাবে এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বাংলাদেশের হয়ে কাজ করবে আইসিডিডিআরবি।

তাছাড়া করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে দেশে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি।
এই প্লাজমা থেরাপি ও দেশে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্লাজমা থেরাপি হচ্ছে একজন ব্যক্তির শরীরে উৎপন্ন এন্টিবডি অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো। কোভিড -১৯ আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যাক্তির রক্তের প্লাজমা অন্য কোভিড আক্রান্ত রোগীর দেহে প্রবেশ করিয়ে এই চিকিৎসা করা হয়।

সারা গিলবার্টের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন ও চীনের একটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যুক্তরাজ্য ও চীনের সঙ্গে আগামী জুনেই কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ।
তবে বলা যায় এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহন বাংলাদেশের গবেষনা খাতকে উন্নত করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের উদ্যোগ নেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তারা।তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য সঠিকভাবে গবেষক দল নির্বাচন ও খুবই জরুরি।

সারা গিলবার্ট এর আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন কিছুদিন আগেই মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছিল। আবিষ্কারক সারা গিলবার্টও ৮০ শতাংশ আশাবাদী ভ্যাকসিন টি নিয়ে।
তাই ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পাওয়ার সাথে সাথে যেনো ব্যাপক হারে উৎপাদনে যেতে পারে সেই প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে বলেও জানাই ঔষধ প্রশাসন কতৃপক্ষ।

এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও এদেশের গবেষনাকে সূদুর প্রসারিত করবে। তাছাড়া বিশ্বের উন্নত শক্তিশালী রাষ্ট্রের সাথে তাল মিলিয়ে করোনা সংক্রমনে মহামারি কোভিড-১৯ কে নির্মূলে বাংলাদেশকে সম্মুখ যুদ্ধে এগিয়ে রাখবে।

তাছাড়া প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিরা সুস্থ হয়ে উঠছে বলেও জানা গেছে ইতিমধ্যে। এই প্লাজমা থেরাপি সর্বপ্রথম সামনে নিয়ে এসেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

Related Posts

30 Comments

মন্তব্য করুন