কল্পনা বনাম বাস্তবতা

আমরা অনেক কিছু অনুমান করি। অনেক কিছু নিয়ে ভাবি। ভাবতে ভাবতে আমরা এমন একটা পর্যায়ে চলে যাই যে কল্পনাকে বাস্তবতার সাথে তুলনা করি। আর তখনই আমরা বাস্তবতা আর কল্পনার সামলাতে চরমভাবে হিমশিম খেতে হয়। প্রত্যেকটা জিনিস তার নিজের দুনিয়ায় এ মানায় বেশি। কল্পনা যেমন কল্পনার জগতে বাস্তবতা ঠিক তেমনি বাস্তবতার জগতে।কথনো কি ভেবে দেখেছেন আপনি যেটা কল্পনা করছেন বাস্তবে তার কতটুকু প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছেন?        আজকাল আমরা অনলাইনের দুনিয়ায় বেশি এডিকটেড। টিভি এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে আমরা এক এক সংস্কৃতির পাশাপাশি অন্যান্য সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে পারছি৷ এতে যেমন আমার জানার পরিধি বাড়ছে ঠিক তেমনি কল্পনার ব্যাপ্তি বেশি ঘটে। তার ফলে আমরা বাস্তবতার সাথে হিমশিম খেতে চরম বাধাগ্রস্ত হই। আমরা নাটক সিনেমায় যা দেখি কল্পনায়  সেটা নিয়ে অনুমান করি। আর এক সময় আমরা নিজেদের বাস্তবের দুনিয়া ছেয়ে কল্পনার দিকে পা বাড়াই। এই ইমাজেশন সিন্ড্রোম এ আজকাল অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। তার নিজেও বুঝে না এবং জানে ও না তারা এই ইমাজেশন সিন্ড্রোম এ কতটা আক্রান্ত।                ইমেনেজেশন সিন্ড্রোম হল  কোন কিছু দেখে সেই জিনিসটা নিয়ে নিজেকে অনুমান করা। আজকাল তরুণ সমাজ অনেকে এই সিন্ড্রোম এ আক্রান্ত।আজকাল তরুণ প্রজন্মের অনেকে ডিপ্রেশনে এ ভুগে থাকে। ডিপ্রেশন কাটাতে তারা অন্য কিছুর দিকে এডিক্টেট হতে থাকে। কেউ হয়ত মোবাইল ফোনে,কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,কেউবা বিভিন্ন গেইমস এর প্রতি আবার কেউ কেউ বিদেশি সিরিয়াল এর প্রতি। সমস্যা বাধে তখন যখন আমরা কোন ধরনের জিনিসের উপর খুব বেশি এডিক্টেড হয়ে যাই। কল্পনার জগতে এতটাই ডুবে যাই যে বাস্তবের দুনিয়া সম্পর্কে ভুলে যেতে থাকে ।                                                     অনেকে আবার কল্পনার দুনিয়ার সাথে বাস্তবের দুনিয়ায় মিল খুজতে থাকে। যখন তারা মিল খুজে না পায় তখনই তারা হতাশায় নিমগ্ন হয়। তারা নিজেকে তখন ব্যার্থ ভাবতে থাকে। তারা তখন চরমভাবে হতাশায় নিমগ্ন হয়। আমাদের বাস্তবতার আর কল্পনার মাঝে তফাৎ বুঝতে হবে।কল্পনার রাজ্যে ডুকে না থেকে বাস্তবে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। নিজেকে সবসময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন। ব্যস্ততা আপনাকে ভবিষ্যৎতে ফোকাস করতে সহায়তা করবে। আপনাকে ডিপ্রেশন থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে।         আপনার যদি নিজেকে ভবিষ্যতে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে বাস্তবতা মেনে এগুতে হবে। জীবনে সফলতা ব্যার্থতা থাকবে।তাই বলে নিজেকে ব্যার্থ ভাববেন না। ব্যার্থতা আছে বলেই সফলতার এত কদর। জীবনে আপনি যেই অবস্থানেই থাকেন না কেন সবসময় সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করুন।কল্পনা থেকে বেড়িয়ে বাস্তবতা নিয়ে কাজ করুন। জীবনে যাই কিছু হঊক না কেন নিজের উপর ভরসা রাখুন। কোন কিছুকে নেশা হিসেবে বেছে নিবেন না। দেখবেন জীবনে আপনার কিছুর জন্য আটকাবেন না।

Related Posts