কুষ্টিয়ায় সকল ধরনের দোকানপাট শপিংমল বন্ধের নির্দেশ

কুষ্টিয়ায় সকল ধরনের দোকানপাট শপিংমল বন্ধের নির্দেশ

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভাল আছেন। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ এ লক ডাউন শিথিল করা হয়। বিগত 10-5-2019 থেকে প্রায় সকল শপিং মল , দোকান পাট খোলা রাখাৱ জন্য লক ডাউন শিথিল করা হয় । যাতে জন সাধারণ ঈদের জামা কাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনতে পারে। তবে দোকান পাট, শপিং মল খোলা রাখাৱ জন্য কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। শব্দ সমূহের মধ্যে বলে দেওয়া হয় যে সকল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে। অবশ্যই মাক্স পরিধান করতে হবে । কিন্তু কুষ্টিয়ায় এই ধরনের কোন নিয়ম নীতি মানায় হচ্ছে না, দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে , তাদের মধ্যে নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। তাই জেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে সব ধরনের হাট-বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। 15 ই মে 2020 শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই আদেশের পরি প্রেক্ষিতে আগামী শনিবার 16-05-2020 থেকে এই সকল বাধা নিষেধ কার্যকর হবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।

উল্লেখ্য যে দেশে দিন দিন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে আজ শুক্রবার রেকর্ড পরিমাণ করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে যার সংখ্যা প্রায় 1 হাজার 202 জন এর সাথে রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে প্রায় 15 জন এই পর্যন্ত আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন প্রায় 289 জনের মত। আজকে পর্যন্ত করনা ভাইরাসে আক্রান্তের পরিমাণ প্রায় 20 হাজার ছাড়িয়েছে এভাবে চলতে থাকলে দীর্ঘ হবে আক্রান্তের সংখ্যা আর এরই সাথে দীর্ঘ হবে মৃত্যুর মিছিল। এরই মধ্যে কুষ্টিয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয় তবে করণা ভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকি অত্যন্ত বেড়ে যাবে। নিশ্চয়ই কুষ্টিয়া বাসিন্দাদের এমন আচরণ দেশের সকল নাগরিকের মধ্যে নিন্দার ঝড় তুলেছে। আমি কুষ্টিয়ার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলতে চাই কেউ ঈদের কেনাকাটা এর বিরুদ্ধে কথা বলছে না সরকারও চায় দেশের সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয়জনের জন্য ঈদের জামা কাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনুক কিন্তু তা সীমিত পরিসরে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের মাধ্যমে কিন্তু এই সামাজিক দূরত্ব যদি না মানা হয় তবে সামনের দিনে তার বিরূপ প্রভাব ফেলবে। দূরত্ব নিশ্চয় এর মাধ্যমে আমরা কেনাকাটা করি এছাড়া সময় উপযোগী কেনাকাটার অন্যতম মাধ্যম অনলাইন শপিং এর মাধ্যমে আমরা কেনাকাটা করতে পারছি। আমাদের এটা খেয়াল রাখতে হবে যে বিপজ্জনকভাবে কেনাকাটা করতে গিয়ে অযথা বাইরে বের হয়ে আমরা ঈদের আনন্দটা কে যেন ম্লান করে না দেই। ধন্যবাদ।

Related Posts

15 Comments

মন্তব্য করুন