কোরআন নাযিল হয়েছে পাঁচটি বিষয় নিয়েঃ
(১) হালাল
(২) হারাম
(৩) মুহকাম
(৪) মুতাসাবিহা
(৫) আমছাল
,
কোরআনের দাবি চয়টা বিষয়ঃ
(১) আমাকে বেশি বেশি পড়।
(২) যত টুকু পড়বে ততটুকু বুঝে পড়।
(৩) যতটুকু বুঝেছো ততটুকুর উপর আমল কর।
(৪) যতটুকু বুঝেছো বা আমল করেছো ততটুকু অন্যের নিকট প্রচার কর এবং এই কোরআনের দিকে মানুষ কে আহবান কর।
(৫) যারা তোমার দাওয়াত কবুল করেছে তাদের কে, জামাত বদ্ধ কর।
(৬) জামাত বদ্ধ হয়ে এক সাথে দাওয়াতি কাজ করার পর যদি লোক তৈরি হয়ে যায়, তবে আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহর এই কোরআনের বিধান চালু কর।
যেমনঃ –
১. হালাল : হালাল অর্থ বৈধ। অর্থাৎ বৈধ যাবতীয় কার্যাবলী হালাল। অতএব, আল্লাহ তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই এবাদতকারী হয়ে থাক। (সূরা নাহল আয়াত ১১৪)
২. হারাম : হারাম অর্থ অবৈধ কার্যাবলী। আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) যা নিষেধ করেছেন অকট্টভাবে।
আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। (সূরা বনী ইসরাঈল ৩২)
৩. মুহকাম : মুহকাম অর্থ সুস্পষ্ট। আল্লাহ বলেন,
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। (সূরা ইমরান আয়াত ৭)
আরবি مُحكَمَات (সুস্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন) সেই আয়াত সমূহকে বলা হয় যাতে যাবতীয় আদেশ-নিষেধ, বিধি-বিধান, মাসলা-মাসায়েল এবং ইতিহাস ও কাহিনী আলোচিত হয়েছে; যার অর্থ স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন এবং যেগুলো বুঝতে কোন প্রকার অসুবিধা হয় না।
৪. মুতাবিহাত : অস্পষ্ট বা রূপক। তিনিই তোমার প্রতি এই কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন; যার কিছু আয়াত সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন, এগুলি কিতাবের মূল অংশ; যার অন্যগুলি রূপক; যাদের মনে বক্রতা আছে, তারা ফিতনা (বিশৃংখলা) সৃষ্টি ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে যা রূপক তার অনুসরণ করে। বস্তুতঃ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা সুবিজ্ঞ তারা বলে, আমরা এ বিশ্বাস করি। সমস্তই আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে আগত। বস্তুতঃ বুদ্ধিমান লোকেরাই উপদেশ গ্রহণ করে। (সূরা ইমরান আয়াত ৭)
আর مُتَشَابِهَات (রূপক) আয়াতগুলো এর বিপরীত। যেমন, আল্লাহর সত্তা, ভাগ্য সম্পর্কীয় বিষয়াদি, জান্নাত ও জাহান্নাম এবং ফিরিশতা ইত্যাদির ব্যাপার। অর্থাৎ, এমন বাস্তব জিনিস যার বাস্তবতা উপলব্ধি করতে মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি অপারগ অথবা যে ব্যাপারে এমন ব্যাখ্যা করার অবকাশ বা তাতে এমন অস্পষ্টতা ও দ্ব্যর্থতা থাকে যে, তার দ্বারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি ও ভ্রষ্টতায় ফেলা সম্ভব হয়। এই কারণেই বলা হচ্ছে যে, যাদের অন্তরে বক্রতা থাকে, তারাই অস্পষ্ট আয়াতগুলোর পিছনে পড়ে থাকে এবং সেগুলোর মাধ্যমে ফিৎনা সৃষ্টি করে। যেমন খ্রিষ্টানদের অবস্থা; কুরআন ঈসা (আঃ)-কে আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রসূল বলেছে। এটা একটি পরিষ্কার ও দ্ব্যর্থহীন কথা। কিন্তু খ্রিষ্টানরা এটাকে বাদ দিয়ে কুরআনে যে ঈসা (আঃ)-কে ‘রুহুল্লাহ’ এবং ‘কালিমাতুল্লাহ’ বলা হয়েছে, সেটাকেই নিজেদের ভ্রষ্ট আকীদার দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছে। অথচ তা ভুল।
৫. আমছাল : আমছাল হলো দৃষ্টান্ত। যেমন কুরআনে মহান আল্লাহ শিক্ষামূলক অনেক জাতির দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন আদ, সামুদ, বা এই জাতীয়। সুতরাং এই দৃষ্টান্ত পেশ পিছনে কিছু কারন থাকে যাদ্বারা আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি।।
অতএব আমরা এটা করেছি তাদের সমকালীন ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আর মুত্তাকীদের জন্য উপদেশসরুপ। (সুরা বাকারা আয়াত ৬৬)
এ তাফসীর আবুল আলীয়াহ থেকে বর্ণিত। পক্ষান্তরে মুজাহিদ এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, এর অর্থ “আমরা এটাকে তাদের এ ঘটনার পূর্বের গুনাহ এবং এ ঘটনার গোনাহের জন্য শাস্তি হিসেবে নির্ধারণ করে দিলাম। [আত-তাফসীরুস সহীহ] অর্থাৎ আল্লাহ তাদের শাস্তি দুনিয়াতেই দিয়ে দিলেন।
এ ঘটনা মুত্তাকীদের জন্য উপদেশস্বরূপ কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ইয়াহুদীরা যে অন্যায় করেছে তোমরা তা করতে যেও না। এতে তোমরা ইয়াহুদীদের মত আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা বাহানা করে হালাল করে ফেলবে। (ইবনে বাত্তাহ: ইবতালুল হিয়াল: ৪৬, ৪৭)
কুরআনের দাবি গুলো :
১. আমাকে অর্থাৎ কুরআনকে বেশি বেশি পড়া। অর্থাৎ শুধু তেলাওয়াত করা না বরং কুরআনকে জেনে বুঝে বেশি বেশি পড়া এবং বাস্তব জীবনে আমল করা জরুরি। আল্লাহ বলেন,
হে মুমিনগণ! তোমরা পুর্ণাঙ্গভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্ৰ। (সূরা বাকারা আয়াত ২০৮)
ইসলামে প্রবেশ করতে পুরোপুরি জেনে বুঝে আমল করতে হবে।
২. যত টুকু পড়বে ততটুকু বুঝে পড়। আমি কোরআনকে বোঝবার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? (সূরা ক্বামার আয়াত ১৭, ২২, ৩২, ৪০)
তাই কুরআন বুঝে পড়তে হবে পাশাপাশি আমলও করে যেতে হবে।
৩ ও ৪. যতটুকু বুঝেছো ততটুকুর উপর আমল কর। যতটুকু বুঝেছো বা আমল করেছো ততটুকু অন্যের নিকট প্রচার কর এবং এই কোরআনের দিকে মানুষ কে আহবান কর।
আসলে আগের গুলো সম্পন্ন করলে এইগুলো সাথে সাথে হয়ে যাওয়ার কথা চিলো কিন্তু এখন সব উল্টাপাল্ট।
কোরআনের দাবি অনুসারে আমলঃ
(১)বেশি কোরআন পড়,
সমস্যা নাই।
(৩)অর্থসহ বুঝে বুঝে পড়,
সমস্যা নাই।
(৩)যতটুক বুঝেছো ততটুকুর উপর আমল কর,
সমস্যা নাই।
(৪)যতটুকু বুঝেছো ততটুকু মানব সমাজে প্রচার কর,
সমস্যা নাই।
(৫)প্রচার করার পর যদি লোক তৈরি হয়ে যায় তবে তাদের কে দল বদ্ধ করতে হবে।
সমস্যা নাই।
(৬) জামাত বদ্ধ হয়ে এক সাথে দাওয়াতি কাজ করার পর যদি লোক তৈরি হয়ে যায়, তবে আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহর এই কোরআনের বিধান চালু কর।
আজ সব করা যায় তবে শেষের কাজ টা আমরা করতে পারিনা। শেষের এই কাজ টি করে তারা আজ বাতিল নির্যাতনের শ্বিকার,
পঞ্চাশ টি বছর কোরআন প্রচার করে, দেশ বিদেশ ঘুরে ঘুরে হাজার হাজার অমুসলিম কে মোসলমান বানিয়েছে যিনি তিনি আজ কোথায়?
আজ আমাদের প্রিয় মানুষ টি কোরআনের পাখি, জালিমের কারাগারে বন্দি কিন্তু কেনো?
শুধু মাএ একটি কারন ঃ
কোরআনের শেষের দাবিটি পুরন করার চেষ্টা করেছে।
আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহর এই কোরআনের বিধান চালু করার চেস্টা করেছে।
পৃথিবিতে এমন কোনো নবি রাসুল আসেনি যাদের কে কাফের বেইমানেরা, ঠাট্রা,বিদ্রুপ, অন্যায়, অত্যাচার, ও জুলুম নির্যাতন করেনি
ইসলাম শান্তির ধর্ম,